জন্ম এক অজ্ঞাতকুলশীল লেখকের মননে। তখনো লেখক বাংলা সাহিত্যের আকাশে মহা নক্ষত্র সম রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রদের উপস্থিতির সামনে নেহাতই তুচ্ছ একজন। অনেক নবাগতদের মধ্যে তিনিও একজন। যার আত্মপরিচয় দেওয়ার মত তখন শুধু একটি দুটি ছোট গল্প - 'প্রবাসী' পত্রিকায় প্রকাশিত "উপেক্ষিতা" এবং পরে "উমারানী"। এছাড়া "মৌরিফুল" গল্পের জন্য ১৯২৩ সালে প্রথমবার একটা পুরস্কার প্রাপ্তি। হ্যাঁ, এমনই এক স্বল্প পরিচিত লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রথম উপন্যাস "পথের পাঁচালী" লেখা শুরু করেন ১৯২৫ সালের ৩শরা এপ্রিল ভাগলপুরে। কিন্তু ভাগলপুর কেন? নিয়তিতাড়িত বিভূতিভূষণ দ্বিতীয় বারের জন্য শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে ভাগলপুরে এসেছিলেন একেবারে অন্য ধরনের চাকরি নিয়ে, এক অন্য অবতারে। জমিদার খেলাত ঘোষ এস্টেটের ভাগলপুরস্থিত জঙ্গল মহলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হয়ে। বিধাতা পুরুষ হয়তো The Song of Road - এক সরল পথের মায়াবী পাঁচালী লেখার জন্য বিভূতিভূষণকে বাংলা সাহিত্যের আর এক দিকপাল শরৎচন্দ্রের বিচরনধন্য ভাগলপুরের এই লোকালয় থেকে দূরে নির্জন আরন্যক পরিবেশে এনে ফেলে...