বিচিত্র পথ নাকি পথের বৈচিত্র্য! আমরা পথিকেরা এই বৈচিত্র্য়ের কাছে নিছক দর্শক বই কিছু নয়। পথ চলে নাকি আমরা পথ চলি এ তর্ক কখনো শেষ হবে না। পথ নিজের মত করে এগিয়ে যায় গন্তব্য়হীণ গন্তব্যের দিকে। কখনো পথিকেরা সে পথে পথিক সেজে আসে আবার কখনো পথ ছেড়ে বেপথু হয়ে যায়। পথ কিন্তু তার নিজের পথ নিজেই বার করে নেয়। আসলে পথই পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় তার বুকে পা রেখে চলা পথিককে, পথ দেখায় নতুন পথের।
পথ, পথভুলোকেই বেশী পছন্দ করে। হিসেব করে পা ফেলা মানুষ তাই পথভ্রান্ত হয় বেশী। উল্টো দিকে পথভোলাদের পায়ে নিদারুন মমতায় পথ এঁকে দেয় অলীক নিশ্চিন্ততার দুর্লভ সে আলপনা। তাই হয়তো বাউলের বুকে জেগে ওঠা নদী, গানের স্রোত হয়ে বয়ে যায় কুলকুল স্বরে; যে গানের সুরে ধুয়ে যায় পথের সকল ক্লান্তি।
পথের ধু্লা কখনো বাউন্ডুলে ফুলের হলুদ পরাগ হয়ে ছড়ানো থাকে। পথ-পাগল মানুষ যুগে যুগে এই পথরেণু কেই পাথেয় করে সব হারানোর দুঃখ ভূলেছে। পথই তাদের পথ, তাদের আরাম বিরাম, দিনের শেষে ফিরে আসা শান্তির প্রিয় পথ-আশ্রম।
পথ কখনো
হারে না। হারতে দেয়ও না কাউকে।
পথ হারায় না কোথাও, পথে কিছু হারিয়েও যায় না। তিল তিল করে পথ সঞ্চয় করে
রাখে পথিকের সুখদুঃখ, হাসিকান্না, জয় পরাজয়, যা স্মৃতির ফল্গুধারা হয়ে থেকে যায় কালের পর কাল; কোন সে পথিক আসবে তার স্মৃতির পথ ধরে সেই অপেক্ষায় কাটিয়ে দেয় যুগের পর যুগ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন