সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৈশাখের গনগনে দুপুরঃ পথে চম্বলের দস্যুরা!

  ছোটবেলায় মেলায় দেখা একটা দৃশ্য এখনো ভুলতে পারিনি। একটা মানুষ অনেক উপর থেকে, গায়ে আগুন ধরিয়ে ঝাঁপ দিচ্ছে; নীচে অস্থায়ী ভাবে খোঁড়া ছোট্ট, চারকোনা মত একটা জলাশয় আছে - তার মধ্যে। ভীষণ ঝুঁকি পূর্ণ খেলা। যত দূর মনে পড়ে, লোকটির সারা গা মুড়ে ফেলা হয়েছিল মোটা কাপড়ের নিটোল বেষ্টনে, শুধু চোখ দুটি বাইরে বের করানো ছিল, দেখতে অনেকটা ছবিতে হেলমেট হীন মহাকাশচারীদের মত লাগছিল। আসলে জ্বলন্ত আগুন যাতে ত্বক কে না স্পর্শ করতে পারে তাই এত আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা। অনেক দিন আগের কথা। তখন ফায়ার জ্যাকেটের কথা সে ভাবে জানা ছিল না বলেই মনে হয়।  এখন যুগ অনেক এগিয়েছে। আর, সে এগোনোর মাসুল দিতে – পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে বৈশাখী দিনের স্বাভাবিক তাপমাত্রাও। সেটা কখনো ৪০ ডিগ্রি বা তাকে ছাড়িয়ে আরও উপরে। অবস্থা বুঝে স্কুল ছুটির ঘোষণা করতে হচ্ছে সরকার কে। দুপুর ১২ টার পর থেকে অসহ্য তাপদাহ থেকে বাঁচতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে না বেরনোর। সূর্যের প্রবল রোষানলে   ভূ-পৃষ্ট যেন সম্পূর্ণ এক অগ্নি বলয়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। বাইরে পা রাখা মানেই, আমার লেখা শুরুর সেই লোকটির মত মরন ঝাঁপ দেওয়া-গায়ে আগুন লাগিয়ে। মনে হচ্ছে যেন ...

রাজপথে ধোনি ও গেইলের যৌথ ব্যাটিং!

রাজপথে ক্রিকেট? রেড রোডে ঈদের নামাজ আর ধর্মঘটের দিন  রাজপথে , জমিয়ে ব্যাট-বলের ঠোকাঠুকি - দৃশ্যগুলি প্রায় মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডী পাঠ শোনার মত  স্বাভাবিক  এবং রুটিন ঘটনা। কিন্তু ছবিটা গত এক দশকে খানিকটা পাল্টেছে। ২০২২ থেকে রেড রোডেই শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা কার্নিভ্যাল। পাশাপাশি উৎসবে-আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো মিছিল, শোভাযাত্রা আগেও ছিল এখনো আছে। কিন্তু ধর্মঘটের দিন, রাজপথে ব্যাট এবং বলের লড়াই আর দেখা যায় না গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। সেই সময়ে দেখেছি ধর্মঘটের দিন, ভর দুপুরেও বিবাদী বাগের অফিস পাড়ায় বিরাজ করতো মধ্যরাতের নীরবতা! যানবাহন এবং মানুষের কোলাহলমুক্ত স্টিফেন  হাউসের সামনের রাজপথটায় দিব্যি চলতো ব্যাট হাতে বল পেটানোর ধুম। রাজপথের কালো পিচে লেখা হতো ক্রিকেট বলের উত্থান এবং পতনের রোমাঞ্চকর সব গল্প ।   আমরা জানি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। সম্প্রতি ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক এম এস ধোনি এবং ক্রিস গেইলকে একই সাথে  রাজপথের বিজ্ঞাপনী পর্দায় দেখা যাওয়ার মধ্যে   কি   তেমনি কিছুর  ইঙ্গিত আছে?  রাজপথের মাথায় ম...

ট্রেন পথে বশীকরণ, 'নীলঞ্জনা ক্লাব' এবং বুড়ো ভাম!

বশীকরনের একেবারে পসরা সাজিয়ে লিপস্টিকের মত সাঁটানো, ট্রেন কামরার আনাচে কানাচে। প্রলুব্ধ আপনি হবেনই। বেছে নেবেন কাউকে আপনার পছন্দ মতন। সত্যি কথা বলতে কি, ব্যর্থ প্রেমে সফলতা পেতে কে না চায়। এটা আরও সত্যি, লোকাল ট্রেনের ভিড়ে-চাপটা ডেলি ‘পাষণ্ড’ দের ক্ষেত্রে, কারণ এমনিতে তো চারদিক থেকে ধেয়ে আসা পদাঘাতগুলো থেকে তাদের রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তাই বশীকরনেই রক্ষা। শত্রু দমন থেকে সংসারে অশান্তি, হাতে অর্থ না থাকা থেকে ছেলেমেয়েদের পড়ায় মন না বসা – সবকিছুতেই তো পেরে না ওঠার অস্থিরতা , তাই টাঁক মাথা, ঘর্মাক্ত, নুয়ে পড়া, এলেবেলে ব্যর্থকামদের জীবনে বশীকরনের হাতছানি উপেক্ষা করার সাধ্য কোথায়! সেটা জানেন সমঝদাররা। তাই আয়োজনের কোনো খামতি রাখেননি তারা। গেট থেকে শুরু করে ট্রেন কামরার দেওয়াল, ছাদ – ছাড়েননি সম্ভাব্য নজরে পড়ার মতন কোনো স্থানকেই। গাঢ় রঙের আয়তাকার কাগজের বুকে  ততোধিক রঙিন ফোলানো অক্ষরে ভরা এই  তন্বী - বহ্নী লিফলেট গুলো যে এক নজরে যাত্রী বেচারাদের  তাদের রূপের ঘনঘটায়  বশীভূত করে ফেলবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সর্বোপরি সমস্ত সমস্যার - সে দাম্পত্য কলহ থেকে শুরু ক...