ছোটবেলায় মেলায় দেখা একটা দৃশ্য এখনো ভুলতে পারিনি। একটা মানুষ অনেক উপর থেকে, গায়ে আগুন ধরিয়ে ঝাঁপ দিচ্ছে; নীচে অস্থায়ী ভাবে খোঁড়া ছোট্ট, চারকোনা মত একটা জলাশয় আছে - তার মধ্যে। ভীষণ ঝুঁকি পূর্ণ খেলা। যত দূর মনে পড়ে, লোকটির সারা গা মুড়ে ফেলা হয়েছিল মোটা কাপড়ের নিটোল বেষ্টনে, শুধু চোখ দুটি বাইরে বের করানো ছিল, দেখতে অনেকটা ছবিতে হেলমেট হীন মহাকাশচারীদের মত লাগছিল। আসলে জ্বলন্ত আগুন যাতে ত্বক কে না স্পর্শ করতে পারে তাই এত আঁটোসাঁটো ব্যবস্থা। অনেক দিন আগের কথা। তখন ফায়ার জ্যাকেটের কথা সে ভাবে জানা ছিল না বলেই মনে হয়। এখন যুগ অনেক এগিয়েছে। আর, সে এগোনোর মাসুল দিতে – পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে বৈশাখী দিনের স্বাভাবিক তাপমাত্রাও। সেটা কখনো ৪০ ডিগ্রি বা তাকে ছাড়িয়ে আরও উপরে। অবস্থা বুঝে স্কুল ছুটির ঘোষণা করতে হচ্ছে সরকার কে। দুপুর ১২ টার পর থেকে অসহ্য তাপদাহ থেকে বাঁচতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে না বেরনোর। সূর্যের প্রবল রোষানলে ভূ-পৃষ্ট যেন সম্পূর্ণ এক অগ্নি বলয়ে রূপান্তরিত হচ্ছে। বাইরে পা রাখা মানেই, আমার লেখা শুরুর সেই লোকটির মত মরন ঝাঁপ দেওয়া-গায়ে আগুন লাগিয়ে। মনে হচ্ছে যেন ...