সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যাংককের ধাঁচে কোলকাতায় এবার ফুড-পাথ!

  কোলকাতার street food habit সারা জগৎবিখ্যাত । সকালবেলায়  কচুরি তো বিকেলবেলায় চপ ঝাল মুড়ি;   দুপুরবেলায় আবার জমিয়ে   মুরগীর মাংসের ঝোল দিয়ে ভাত বা রুটি, সঙ্গে প্লেটের এক কোণে সুন্দর করে ফেলে রাখা - আধ   ফালি পেঁয়াজ;   চাইলে জুটে যেতে পারে তরতাজা একখানা কাঁচা লঙ্কাও । মোট কথা,   সস্তায় টাটকা খাবার  পরিবেশনে কোলকাতার ফুটপাথগুলিতে জাঁকিয়ে   বসা এই food-হকারদের  সুনাম বহু দিনের। কালো  ত্রিপলের ছাউনি - তার তলায়   চাকা লাগানো কাঠের ঠেলা থেকে বাঙালি , সাউথ ইণ্ডি য়ান,  চাইনিজ থেকে শুরু করে লাল কাপড়ে মোড়া হাঁড়িতে বিরিয়ানি সবই পাওয়া যায় গরম গরম; সঙ্গে থাকে চলমান ব্যস্ত শহর ও তার ধোঁয়া-ধুলো মাখা প্রবহমান চলচ্ছবি, যেন গরম ভাতের উপর সরস পাতি লেবু, নজর ঘোরানো যায় না। এ তো গেল str eet food এর বৈচিত্র্য  কাহন। আসলে কোলকাতার রাস্তায় প্রচুর Street food পাওয়া গেলেও, সে অর্থে নেই কোনো food street।  যদিও শহরবাসী এবং শহরে বিভিন্ন সময়ে বেড়াতে আসা অতিথিদের কাছে ধর্মতলার Dacres Lane বা পা...

রাত্রির পথে কে এমন বাঁশী বাজায় করুন সুরে?

বারোটা বাজার পর ,  রাত ক্রমশ বিপন্ন হতে শুরু করে। কারণ মধ্যরাতের চূড়া ছুঁয়ে তখন কাউণ্ট ডাউন শুরু হয় তমসা শেষের। টিক টিক করে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে রাত্রির অন্ধকার অগ্রসর হয় ভোরের আলোয় হারিয়ে যেতে। রাতের মতই বিপন্ন হতে শুরু করে রাত্রিজীবী মানুষজনও। এমনই এক বিপন্ন রাতে, একা বসে ছিলাম মহকুমা হাসপাতালের ঠিক সামনে দিয়ে চলে যাওয়া শুনশান রাস্তাটির উপর - একমাত্র খোলা সবেধন নীলমণি চায়ের দোকানের কাঠের বেঞ্চে। আকাশে, শুক্লা নবমীর মরা চাঁদ তখন ডুবু ডুবু করছে। শীতের রাত, তাই বাতি স্তম্ভের কুসুম-হলুদ আলোও কুয়াশার থকথকে সাদায় প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে। চায়ের গেলাসের ঠুং ঠ্যাং, সঙ্গে কখনো কখনো দোকানের চালায়, বটগাছের পাতা চুইয়ে পড়া শিশিরের টুপ টাপ - এই ছিল সেই অদ্ভুত রাতের নিস্তব্ধতা ভঙ্গের প্রিলিউড । যার মুল সুর বেজে ওঠে আরো খানিক বাদে; যখন ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে রাত, অথচ দেখা নেই রাতের যাত্রীদের।  বাতিস্তম্ভের নীচে প্যাডেল রিক্সার উপর কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে মোসলেম রাতের শেষ প্রহরে এসে তার বিপন্ন আশার ভার নামায় আড় বাঁশীর সাত ছিদ্রে করুন দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ফেলে। বিপন্নতার বিরল হাহাকার যেন ছড়িয়ে পড়ে ম...

উইপোকা থেকে ‘উই’কিপিডিয়ার পথে? ফিকশন কিন্তু ফেক নয় !

  ৯৮৭৬৮৫৭৩৮০ – সেলফোনের কী-প্যাডে, নির্দিষ্ট দশ অংকের নাম্বারটা টিপে ডায়াল করতেই কানে ভেসে এল – বিখ্যাত হিন্দি গানের সুরেলা মুখড়া, “পিয়া তু আব তো আ যা”!  দু এক লাইন বেজে যাওয়ার পর কেউ একজন ফোনটা ধরে ভারী গলায় একবার 'হ্যালো' বলেই চুপ করে গেলেন। কোনো জায়গায় ফোন করলে আমার বরাবরের অভ্যাস হল ঠিক জায়গায় কল করেছি কি না সেটা একবার যাচাই করে নেওয়া। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না। জানতে চাইলাম, “আচ্ছা, উইপোকার অফিস তো?” উত্তর এল, “হ্যাঁ, বলুন...”  প্রথমবার ফোন করেছি, তাই বেশ বিনয়ের সঙ্গে, যদিও তিনি তা জানতে চাননি, তবু গড় গড় করে তাকে জানিয়ে দিলাম ফোন নাম্বারটা আমি কোথা থেকে জোগাড় করেছি। গতকাল রাত্রে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎই আমার চোখ চলে যায় রাস্তার ধারে, বিদ্যুতের পোতে সাঁটা পোস্টারটির দিকে। A-4 সাইজের ঘন বাদামী রঙের পোস্টারটির বিশেষত্ব হল অনেক হাবিজাবি কথা ঠুসে ঢুকিয়ে দেওয়া নেই এর মধ্যে। শুধু ইংরেজিতে লেখা দুটি মোবাইল নাম্বার, আর তার মাঝখানে বড় করে ‘’উইপোকা’ কথাটি লেখা, বাংলায়।  কাছে গিয়ে, ভালো করে দেখলে তবে বোঝা যাবে বেশ কয়েকটি আবছা উইপোকার স্কেচও রয়েছে পোস্টারটির এদিক ওদিক করে। উই...