সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দূর পথে দীপ্যমান অরন্য শিখা!

If winter comes can spring be far behind! বজ্রপাতের অশনি সংকেত যদি পড়া যায় আকাশের গায়ে ফুটে ওঠা বিদ্যুৎ লেখায়, আকাশ ভাঙার শব্দে কি কোনো চমক বাকি থাকে? মাঘের শীত যদি এসেই পড়ে দাওয়ায়, ফাগুনের গুঞ্জন কি থাকে দূরের হাওয়ায়? হেঁয়ালি হদ্দ বাঙালি শীতের হাজত বাস কাটায় দূর পথে দীপ্যমান অরন্য শিখায় ফুটে ওঠা শোণিত ধারায় হেদিয়ে যাওয়া হৃদয়ের নীল ধমনীতে রঙের উৎসব পালনের একান্ত বাসনায়। বছর কাটে – রোদে পুড়ে, জলে ভিজে, দিনান্তিকে ঘরে ফেরা পাখিদের কলরবে, হয়তো বা মধ্যাহ্নে বাউলের রৌদ্র দগ্ধ কণ্ঠে গানের চাতকীতে – সময় যে এখানে কখন ঝড়ের মুখে কখন জাবর কাটে পালক বোলানো পবনের সুখে – কেউ জানে না। কালের খেয়ালে-একদিন এসে পড়ে বুড়ো মাথার খুসকি ওড়ানো পৌষ-মাঘের পর্ণ মোচনের সেই রুক্ষতার দিন গুলো, ঝড়ে ওড়া খড় হীন চালার মত ওরা দাঁড়িয়ে থাকে পথেপ্রান্তরে; ধূসর কাণ্ডের ওপর পত্র হীন ডালা পালার কঙ্কাল মাথায়- সকল তরুবাসী আশ্রিতের দ্বারা পরিত্যক্ত হয়ে  রঙচটা রৌদ্র-প্রবাসে। রাত্রি শেষে শিশির সিক্ত বৃক্ষ তলে সকালের নরম রোদ যেন অবাধ প্রেমবারি, কখন যে বেলা গড়িয়ে বিকেলের পথে পড়ে থাকা ছিন্ন হলুদ পত্রের উপর এসে পড়ে আলোক শূন্...

শিকাগো থেকে শিয়ালদহঃ বিস্মরণের পথে ইতিহাস?

  ১৮৯৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে উন্মোচিত হয়েছিল এক অপরাজেয় বিজয়পথের। সারা পৃথিবী ছড়িয়ে পড়া এই পথের নীল নকশা যিনি রচনা করেছিলেন তিনি এক ভারতীয় সন্ন্যাসী। শিকাগোর The Permanent Memorial of Art Palace (অধুনা যেটি The Art Institute of Chicago নামে পরিচিত) এর Fullerton Hall এ অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম বিশ্ব ধর্ম মহাসভার সূচনা দিবস অর্থাৎ ১১ই সেপ্টেম্বরের পুণ্য তিথিতে তার তেজদীপ্ত এবং চির কিংবদন্তী সেই বক্তৃতা দানের পর, কার্যতই সেই বীর সন্ন্যাসী সওয়ার হয়েছিলেন ভারতীয়ত্বের বিজয় কেতন উড়িয়ে অগ্রসর হওয়া এক দুর্দম বিজয়রথের। দীর্ঘ চার বছর তার রথের চাকা আমেরিকা, ইউরোপের পথে পথে রেখে গেছে ভারতীয় আধ্যাত্মিক মহিমার   কত অমলিন সাক্ষর। ঐতিহাসিক সেই যাত্রাপথ, শিকাগো থেকে শুরু হয়ে কোলকাতার শিয়ালদহ ষ্টেশনে এসে পৌঁছায় ১৮৯৭ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি। বিশ্ববিজয়ের পর, ঘরের ছেলের ঘরে ফিরে আসার সেই গৌরবময় ইতিহাস আজ ১২৫ বছর অতিক্রান্ত।        কোলকাতার সিমলাপল্লীর বীরেশ্বর দত্ত ওরফে নরেন্দ্রনাথ আনুষ্ঠানিক ভাবে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন ১৮৮৭ সালের জানুয়ারি মাসে। তখন ত...

"পথে হল দেরী" - তবে উত্তম-সুচিত্রার নয়!

পথে হল দেরী - এই লাইনটির গায়ে বেশ একটা কবিতা কবিতা গন্ধ আছে। আসলে পথে যখন দেরী হয়, তখন কেউ নিষ্ঠুর গদ্যের সুরে বলে না দেরী করে ফেললাম, এটা অনেকটা খুনির খুন করে ফেললাম বলার মত সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই কর, দেখি তোমার কত বুকের পাটা ধাঁচের। সবাই বলে, দেরী হয়ে গেল। ভাববাচ্যে। মানে দেরী কেউ করে না। দেরী হয়ে যায়। অনিচ্ছাকৃত।  বাংলার চলচ্চিত্র ইতিহাসে প্রথম রঙিন ছবি মুক্তি পেল ১৯৫৭ সালে্র ৫ই ডিসেম্বর। প্রথমে নির্বাক সাদাকালো (বিল্বমঙ্গল, ১৯১৯), তারপর যদিও বা বোল ফুটল (জামাইষষ্টি, দেনাপাওনা- ১৯৩১)  রঙের ছোঁয়া পেতে পেতে দেরী হয়ে গেল এতগুলো বছর। অর্থাৎ, বাংলা ছবির সাদাকালো থেকে রঙিন হওয়ার 'পথে হল দেরী'। মনে হতে পারে, এই কারনেই বুঝি এই ছবির নাম হয়ে গেল "পথে হল দেরী"। তাই কি? এটা কিন্তু আমার নিজস্ব অভিমত, কাকতালীয় ভাবে এই ঐতিহাসিক বিলম্ব কাটিয়ে যে ছবিটি প্রথম রঙিন ছবি হিসেবে মুক্তি পেল তার এমন নামকরনের প্রশ্নে যেন এই বিলম্বেরই সরল স্বীকারোক্তি আছে বলে মনে হতে পারে। যাই হোক, এর কোন দায় কিন্তু ছবির কাহীনিকার প্রতিভা বসুর ওপর বর্তায় না। আসলে তিনি এবং পরিচালক বিভূতি লাহা (অ...