সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সোনালী স্মৃতির পথ ধরেঃ হলিউডকে “না”, ২ নং ঢাকুরিয়া কালী বাড়ি লেনের মালকিনের!

ঢাকুরিয়ার বিখ্যাত কালী বাড়ির ঠিক মুখে - পেল্লাই তিনতলা বাড়িটার সম্পর্কে যখন থেকে জেনেছি , তখন থেকে যাতায়াতের পথে আটপৌরে ওই বাড়িটার দিকে তাকিয়ে বিভূতিভূষণের শঙ্করের মত কবে যে এই 'চাঁদের পাহাড়' অভিযানের স্বপ্ন আমার সফল হবে এই ভাবনায় একেবারে কাতর হয়ে পড়েছি। কালী মন্দিরের সামনে জুতো খুলে মায়ের কাছে প্রনাম সারতে গিয়ে অনেক সময় এই প্রার্থনাও করেছি মা যেন একবার আমাকে বাড়িটাতে ঢোকার সুযোগ করে দেন। শেষমেশ, যাই হোক আমার ইচ্ছা পূরণ হয়। এক রবিবারের দুপুরে বাড়িটির নীচে দাঁড়িয়ে আমি যাকে ফোন করি – তিনি এই বাড়ির বর্তমান মালিক দেবব্রত দাস। ফোন ধরে তিনি আমাকে তিন তলায় উঠে আসতে বলেন। ঢোকার মুখে- মাথায় ওভারসিজ ব্যাঙ্কের সাইনবোর্ড লাগানো । মনে হতে পারে ব্যাঙ্কের অফিসে যাচ্ছি, যাই হোক রবিবার বলে সে ভয় নেই। ঢুকেই ডানদিকে উপরে যাওয়ার সিঁড়ি, ভর দুপুরেও তাতে বেশ আলোর অভাব, বিশেষ করে রোদ থেকে এলে একটু অন্ধকারই লাগে। যাই হোক দোতলায় ব্যঙ্কের অফিস ফেলে তিনতলায় পৌঁছতে দেবব্রত বাবু সাদরে আমাকে তাঁর ডাইনিং এর চেয়ারে বসান। আমি বেশ রোমাঞ্চিত! মাথার উপর একখানা পুরনো দিনের পেল্লাই ব্লেডের পাখা বেশ মজলিশি ঢঙ্গে ঘুরে...

শিলা-বৃষ্টির যুগলবন্দী! পথে-প্রান্তরে।

বৃষ্টি বনে শিলা ছড়িয়ে মেঘমালা ওই হাসে।  ঘাসের বুকে লুটিয়ে পড়ে, ইচ্ছেটা নেই বশে। গ্রীষ্মের দাবদাহ জুড়িয়ে অপরাহ্ণের সুবাতাস, সঙ্গে বৃষ্টি রস সিক্ত শিলা সন্দেশের সুমধুর পরিবেশন। প্রকৃতির এই দারুন আয়োজনে কেউই মুগ্ধ না হয়ে থাকতে পারে না। চলুন একবার মনের জানালায় উঁকি দেওয়া একান্ত ভালো লাগা এই মুহূর্ত গুলিকে, বাস্তবের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। উপরের এবং নীচের চলচ্ছবি দুটি সেল ফোনের ক্যামেরা বন্দী করেছে আমার পিসতুতো বোন নীল মাইতি। জায়মান প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ধরে রাখার এই সুন্দর প্রচেষ্টা, ও যে দক্ষতা এবং শিল্প চেতনা থেকে করেছে, তা তার দৃষ্টিকোণ  যেটা থেকে সে ভিডিও টিকে শুট করেছে, তার প্রমান দেয়।  নীল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নার্সিং সার্ভিসে রয়েছে বেশ কয়েক বছর। চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থেকেও তার এই প্রয়াস সত্যিই তারিফের দাবী রাখে। আশা করি ভিডিও দুটি উপভোগ্য হবে।  পরিশেষে আমার লেখা কবিতাটি শুধু এই চলচ্ছবি দুটোর আবহ কথা হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে মাত্র।  

বিজন পথ এবং হঠাৎ বসন্ত!

বিজন পথ। দু পাশে বিস্তীর্ণ ধূধূ মাঠ। ছায়া হীন দ্বিপ্রহর। তপনতাপে কম্পিত দিকচক্রবাল। মেঘ ছায়া অভিলাষে  ত্রস্ত প্রাণ ভাবে, দীগন্তের ওপারে বুঝি জুড়াবে দগ্ধ পরান। দূরে কোথাও জলের সিক্ততা, পথের নিদারুন ছলনা বৈ কিছু নয়। একাকী পথিক তা জানে না এমন নয়। প্রকৃতি বিজ্ঞানে একেই বলে আলোকের অভ্যন্তরীন পূর্ণ প্রতিফলন। চলভাষের ক্যামেরায় ধরা থাকে পথের বুকে ক্রমশ অপস্রিয়মাণ সে মরীচিকার স্থিরচিত্র। ধরা থাকে না, ক্রমশ অপস্রিয়মাণ দীকবালিকা যে মায়াবী ছলনায় রৌদ্রবিলাসী এই পথ এবং তার পথিককে টেনে নিয়ে চলে ক্রমাগত অন্ত থেকে অন্তহীনতার পথে, সেই সোনার হরিণ শিকারের রূপকথা চিরকালই থেকে যায় অধরা।   তাকে ছুঁতে গিয়েও ছুঁতে না পারার মধ্যে না জানি কোন জেদ কাজ করে, ক্লান্ত হয়েও ক্লান্ত না হওয়ার ভাণ করে যেন শেষ দেখেই ছাড়বে এমন ভাব নিয়ে পথিক ছুটে যায় আকাশ ও মাটির মিলিত শয্যায় শুয়ে থাকা ছায়া ছায়া সবুজের বিকিনি পরা দিককন্যার পানে। এমনি করে কখন যে দুপুর গড়িয়ে সূর্য, মধ্য গগন ছেড়ে পশ্চিমের অলস বৈকালিক-কোণ থেকে আলোকসম্পাত করা শুরু করে পূবের মাচায় ঘটমান দৃশ্যপটের উপর, স্পষ্ট হয় পূব পানে অগ্রসর পথিকের ছায়া যখন দ...