ঢাকুরিয়ার বিখ্যাত কালী বাড়ির ঠিক মুখে - পেল্লাই তিনতলা বাড়িটার সম্পর্কে যখন থেকে জেনেছি , তখন থেকে যাতায়াতের পথে আটপৌরে ওই বাড়িটার দিকে তাকিয়ে বিভূতিভূষণের শঙ্করের মত কবে যে এই 'চাঁদের পাহাড়' অভিযানের স্বপ্ন আমার সফল হবে এই ভাবনায় একেবারে কাতর হয়ে পড়েছি। কালী মন্দিরের সামনে জুতো খুলে মায়ের কাছে প্রনাম সারতে গিয়ে অনেক সময় এই প্রার্থনাও করেছি মা যেন একবার আমাকে বাড়িটাতে ঢোকার সুযোগ করে দেন। শেষমেশ, যাই হোক আমার ইচ্ছা পূরণ হয়। এক রবিবারের দুপুরে বাড়িটির নীচে দাঁড়িয়ে আমি যাকে ফোন করি – তিনি এই বাড়ির বর্তমান মালিক দেবব্রত দাস। ফোন ধরে তিনি আমাকে তিন তলায় উঠে আসতে বলেন। ঢোকার মুখে- মাথায় ওভারসিজ ব্যাঙ্কের সাইনবোর্ড লাগানো । মনে হতে পারে ব্যাঙ্কের অফিসে যাচ্ছি, যাই হোক রবিবার বলে সে ভয় নেই। ঢুকেই ডানদিকে উপরে যাওয়ার সিঁড়ি, ভর দুপুরেও তাতে বেশ আলোর অভাব, বিশেষ করে রোদ থেকে এলে একটু অন্ধকারই লাগে। যাই হোক দোতলায় ব্যঙ্কের অফিস ফেলে তিনতলায় পৌঁছতে দেবব্রত বাবু সাদরে আমাকে তাঁর ডাইনিং এর চেয়ারে বসান। আমি বেশ রোমাঞ্চিত! মাথার উপর একখানা পুরনো দিনের পেল্লাই ব্লেডের পাখা বেশ মজলিশি ঢঙ্গে ঘুরে...