গ্রীষ্মের পথে জলের পীপাসা না মিটলেও, রঙের পীপাসা মিটবেই। সূর্য যখন তার অনুপম কর শৃঙ্গারে আগুন ধরায় ধরিত্রীর হোমকুণ্ডে, সুরের দেবতার অগ্নিবীণা থেকে ফুটন্ত খেজুর রসের রেশমী ধারার মত হাওয়ায় ওড়ে অগ্নিশুদ্ধ মরু মূর্ছনা; রাবাবের তপ্ত তারে ছড় টেনে টেনে আগুনের হলুদ মাখা দীপক রাগে দগ্ধ সুর ওঠে পঞ্চমে, সেই দহন বেলায় স্বর্গ থেকে ঝরে পড়ে আশীর্বাদী ফুল। ফুটে ওঠে – কৃষ্ণচূড়া ফুরুস কিংবা সোঁদাল হয়ে। কৃষ্ণচূড়ার রাজকীয় লালিমা ( Royal Poinciana) যদি গ্রীষ্মের শুষ্ক নিরশ্রু দৃষ্টিপথে বয়ে আনে হৃদয়ের দু কূল ছাপানো শোণিত ধারার উচ্ছল প্লাবন, কপার কান্তি কনকচূড়া ( Copper Pod) তাহলে গ্রীষ্মের নিরস দ্রিশ্যমানতায় সঞ্চারিত করে হরিদ্রাভ পরাগের তীব্র অভিসার স্পৃহা। ঝিরি ঝিরি ফার্ন সদৃশ ঘন সবুজ পাতার ভিত্তি সজ্জায় উন্মোচিত কনকচূড়ার পুষ্পমঞ্জুরি যেন অজস্র হলুদ দীপের স্বর্ণাভ পীলসুজ হয়ে ফুটে থাকে গাছের মাথায় মাথায়। গ্রীষ্মের এমন অপরূপ রং-লীলার নেপথ্যে কিন্তু রয়েছে প্রকৃতির অভিবাসী সংস্কৃতির অবদান। যেমন - এ দেশের গ্রীষ্মে যার অনবদ্য হলুদ শিখার সৌন্দর্য সকলের নজর কাড়...