সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মাদাগাস্কার থেকে বাংলাঃ দেদার রংবাজি - গ্রীষ্মের পথে, প্রান্তরে।

 

গ্রীষ্মের পথে জলের পীপাসা না মিটলেও, রঙের পীপাসা মিটবেই।
সূর্য যখন তার অনুপম কর শৃঙ্গারে আগুন ধরায় ধরিত্রীর হোমকুণ্ডে, সুরের দেবতার অগ্নিবীণা থেকে ফুটন্ত খেজুর রসের রেশমী ধারার মত হাওয়ায় ওড়ে অগ্নিশুদ্ধ মরু মূর্ছনা; রাবাবের তপ্ত তারে ছড় টেনে টেনে আগুনের হলুদ মাখা দীপক রাগে দগ্ধ সুর ওঠে পঞ্চমে, সেই দহন বেলায় স্বর্গ থেকে ঝরে পড়ে আশীর্বাদী ফুল। ফুটে ওঠে – কৃষ্ণচূড়া 
ফুরুস  কিংবা সোঁদাল হয়ে। 

কৃষ্ণচূড়ার রাজকীয় লালিমা (Royal Poinciana) যদি গ্রীষ্মের শুষ্ক নিরশ্রু দৃষ্টিপথে বয়ে আনে হৃদয়ের দু কূল ছাপানো শোণিত ধারার উচ্ছল প্লাবন, কপার কান্তি কনকচূড়া (Copper Pod) তাহলে গ্রীষ্মের নিরস দ্রিশ্যমানতায় সঞ্চারিত করে হরিদ্রাভ পরাগের তীব্র অভিসার স্পৃহা। ঝিরি ঝিরি ফার্ন সদৃশ ঘন সবুজ পাতার ভিত্তি সজ্জায় উন্মোচিত কনকচূড়ার পুষ্পমঞ্জুরি যেন অজস্র হলুদ দীপের স্বর্ণাভ পীলসুজ হয়ে ফুটে থাকে গাছের মাথায় মাথায়।


গ্রীষ্মের এমন অপরূপ রং-লীলার নেপথ্যে কিন্তু  রয়েছে প্রকৃতির অভিবাসী সংস্কৃতির অবদান। যেমন - এ দেশের গ্রীষ্মে যার অনবদ্য হলুদ শিখার সৌন্দর্য সকলের নজর কাড়ে, সেই কনকচূড়ার স্বদেশ - শ্রীলঙ্কা। আমাদের ঘরের গ্রীষ্ম-কন্যা, যার অমিত্রসুন্দর সোনালী হারের সাজে হয়ে ওঠে রমনীয়, সেই অমলতাসের আপন ভিটে, থাইল্যান্ড। আর ক্রান্তীয় অঞ্চলের লাল মস্তান - কৃষ্ণচূড়ার (
Delonix Regia) যে রংবাজি গরমের দিনে আমরা দেখি বাংলার পথে ঘাটে, তার  উৎপত্তি আবার আফ্রিকার দ্বীপ রাষ্ট্র মাদাগাস্কার' শুষ্ক অরন্যভূমিতে। ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের শুরুতে (১৮২২) জনৈক বোহেমিয়ান (অধুনা যারা চেক প্রজাতন্ত্রী হিসেবে পরিচিত) উদ্ভিদবিদ Wensel Bojer, প্রথম এর প্রেমে পড়েন। আবিষ্কৃত হয় কল্পনার রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দেওয়া নতুন উদ্দীপনা - কৃষ্ণচূড়ার। যার পর নাই নাই করে কেটে গেছে দুশোটা গ্রীষ্ম। আজ, কৃষ্ণচূড়ার লাল লাবন্যের লঙ্গরখানা -পৃথিবীর সর্বত্র। সারা পৃথিবী আজ আক্রান্ত কৃষ্ণচূড়ার লালজ্বরে। সাধারনত মে মাসের প্রথম থেকে শুরু করে জুনের অর্ধেক পর্যন্ত থাকে গ্রীষ্মের আবহে এই কৃষ্ণচূড়ার লাল আচ্ছন্নতার ঘোর।  
প্রকৃতি বিজ্ঞানের নিয়মে - লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য, অন্য যে কোনো রঙের থেকে বেশী; তাই গ্রীষ্মের দিনে, সে দুরের মাঠে হোক অথবা ট্রেন লাইনের ধারে বা নয়নজুলির পাড়ে কিংবা কোনো কলেজের ক্যাম্পাসে বা পার্কের পাঁচিল ধরে অথবা কোনো চলন্ত বাসের জানালা থেকে হঠাৎ দেখতে পাওয়া পিচ রাস্তার ধারে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া ফুলকে তাই নজর এড়িয়ে যাওয়া সম্ভম নয় কোনো ভাবে। গ্রীষ্মের ঠা ঠা রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল বিশাল পাহাড়ের মত কৃষ্ণচূড়ার মাথায় ফুটে থাকা এই রক্ত আলেখ্যর নেপথ্যে কি সত্যি সত্যি লুকিয়ে আছে কোনো করুণ ইতিহাসের স্মৃতি! কেরালার মালাবার অঞ্চলে বসবাসকারী সেন্ট থমাস গোষ্ঠীর খ্রিস্টানরা (ভারতের সিরিয়ান খ্রিস্টান সম্প্রদায়) কিন্তু সেরকমই মনে করেন। তাদের বিশ্বাস, জেরুজালেম শহরের উপকণ্ঠে - যে পাহাড়ে যীশুকে ক্রুশ বিদ্ধ করা হয়েছিল, তার পাশেই ছিল এক কৃষ্ণচূড়ার গাছ। ক্রুশ বিদ্ধের সময়, যীশু খ্রিস্টের শরীর থেকে নির্গত টাটকা রক্ত ঝরে পড়েছিল পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছ এবং ফুটে থাকা ফুলের উপর, আর সেই থেকে কৃষ্ণচূড়ার এমন রক্ত রঙ। কেরালায় কৃষ্ণচূড়াকে এই জন্যে “The Flower of Calvary”  বা ক্রুশারোপিত যীশুর খোদাই করা বিগ্রহ - ক্যাল্ভারীর ফুল বলে অভিহিত করা হয়। সব মিলিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত করার মতন কৃষ্ণচূড়ার এই 'কেরালা স্টোরি'। 
আসলে প্রবল দাবদাহে ক্লিষ্ট মানুষ, কৃষ্ণচূড়ার রক্ত ক্ষরণের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চায় তাদের অন্তরের মধ্যেকার রক্তপাতের ছবিকে; রোদে পুড়ে যাওয়া দীগন্তের গায়ে ফুটে ওঠা কৃষ্ণচূড়ার রঙে - হন্যে হয়ে খোঁজে রূপকথার রং রিলিফকে।
গ্রীষ্মের পথে তাই দূর থেকে দেখা কৃষ্ণচূড়ার এই লাল-হল্লাকে বড় অলৌকিক লাগে। ঝিম ধরা নেশায় যেন সারা চরাচরকে সে টেনে নিতে চায় তার দিকে; রঙের চুম্বকে, নির্মাণ করতে চায় অনুপেক্ষণীয় সম্মোহনী মায়াজাল চারিদিকে!
তারপরেও জ্যৈষ্ঠের মাঠ ঘাট ভাসাতে, বাঁধভাঙা এই রঙের বন্যায় - 
একা কৃষ্ণচূড়ায় রক্ষে নেই; সঙ্গে স্বর্ণচূড়ার (Peltophorum Pterocarpum) আগুন দোসর!  
দূর জঙ্গলে মাথা তুলে দাঁড়ানো কৃষ্ণচূড়ার লাল নিশান, পাশে কনকচূড়ার অগ্নিপক্ষের উড়ান তাই ইচ্ছাপূরণের বিজ্ঞাপন হয়ে সেঁটে থাকে গ্রীষ্মের মহাকাব্যিক ক্যানভাসে। 
বড় করুন লাগে, যখন পুকুরের নিস্তরঙ্গ জলে পড়া কনকচূড়ার ছবি থেকে স্খলিত হয় হলুদ অগ্নি স্ফুলিঙ্গ; বদলে যাওয়া সময়ে, সেই কনকচূড়াই যখন ভোরের সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে দেয় তার হলুদ ফুলের গুলাল, মনে হয় হলুদ শুধু আগুনের রঙ নয়, বৈরাগ্যেরও।  
এই কনকচূড়া বা স্বর্ণচুড়াকে (Yellow Flame Tree) কিন্তু অনেকে রাধাচূড়া বলে ভুল করে। রাধাচূড়া আসলে কৃষ্ণচূড়া প্রজাতিরই একটি ফুল যাদের হিন্দিতে গুলমোহর বলা হয়। এদের মধ্যে একটা বড় প্রভেদ হল, কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ আর রাধাচূড়া গুল্ম।

রঙের জলসায়, গ্রীষ্মের কোনো প্রান্তর যদি ফুলে ফুলে ঢাকা হয় আর গ্রীষ্মবেলার ওই ফুলেল প্রান্তরকে যদি নানান রঙে সাজানো সুদৃশ্য একটা রেকাবি ধরা হয়, তবে অপূর্ব এই রংসাজির যে রঙে - দীগন্তে ছড়িয়ে পড়ে অতিজাগতিক নীল রোমাঞ্চের ঢেউ; রৌদ্র রঙে ঝলসে যাওয়া চোখে, যে রঙের পরশে ফুটে ওঠে নীলচে-বেগুনী ছায়ামাখা সুললিত অঞ্জন ধারা, সে রঙ - ব্রহ্মদেবের প্রিয় ফুল, জারুলের (Lagerstroemia Speciosa)! মহারাষ্ট্রের রাজ্য ফুল - জারুলের এই অভিজাত নীল রং কেবল যুব রানীর চোখের নীলাঞ্জনের সঙ্গেই তুলনীয়। গ্রীষ্মের পথে - যার আকর্ষণ কোনো রাজকুমারীর হাতে ধরা প্রেমপুষ্পের (Queen's Flower) চেয়ে কম কিছু নয়।
রঙের উৎসবে, অমলতাসের সোনালী ধারার (Golden Shower Flower) অনর্গলতা আবার গ্রীষ্ম-বালার কবরী সজ্জায় যোগ করে অন্য ব্যাঞ্জনা
। বাংলায় সোঁদাল (Cassia Fistula) নামে পরিচিত, এটি আবার থাইল্যান্ডের জাতীয় ফুল এবং কেরালার রাজ্য ফুল।
একটা প্রবাদ আছে - যে খায় চিনি, তাকে যোগায় চিন্তামণি - এটা যে সত্যি তার প্রমান হয় কিছুদিন আগে যখন গড়িয়া ষ্টেশন রোডের উপরে ফুলে ফুলে ভর্তি এক সোঁদালকে দেখি; আমার তো একেবারে আর্কিমিডিসের মতন ইউরেকা বলে চেঁচিয়ে উঠতে ইচ্ছা করছিল। দক্ষিণ ভারতীয় মহিলাদের কেশসজ্জার মত পত্র শূন্য ডালা পালা থেকে ঝুলছিল অসংখ্য ফুলের থোকা যেন খোঁপায় বাঁধা হলুদ ফুলের গজরা। এমনই সৌন্দর্যের মায়াজাল এই সোঁদালের। পরিশেষে বলবো ফুরুসের কথা, গ্রীষ্মের সময় যা ফুটে ওঠে বেগুনী, কমলা সহ নানান মনোরম রঙে। 

 

এরপরেও আছে - গাছে গাছে ঝুলে থাকা পান্না সবুজ আম, কমলাবর্ণ খেজুর কিংবা পিঙ্গলবর্ণ তাল বা ভ্রমরকৃষ্ণ জামকুল, এরাও গ্রীষ্মের পথে রংবাজি কিছু কম দেখায় না! আহা! রংবাজির কি মহিমা সত্যি!


[চিত্র নিজস্ব]


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...