সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লিপ ইয়ারঃ ২৯ শে ফেব্রুয়ারী পালনের ভিন্ন নিয়ম!

আমরা সবাই জানি ২৯ শে ফেব্রুয়ারী তারিখটা চার বছরে একবার আসে। ওই জন্যই ২৯ ফেব্রুয়ারী দিনটিকে লিপ দিবস বা অধিদিবস বলা হয়। আর বছরটাকে বলা হয় লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ।  আমরা এও জানি লিপ ইয়ার কিনা জানতে সালকে ৪ দিয়ে ভাগ করতে হয় এবং চার দ্বারা বিভাজ্য হলে তবেই সেটা লিপ ইয়ার হয়, নয়তো নয়।  এর মধ্যে হয়তো কেউ কেউ  ভেবে নিয়েছেন, আমি কে সি নাগের অঙ্ক বই নিয়ে বসেছি কি না।  আসলে আমি একটু ভূমিকা করে নিলাম। আমার আজকের আলোচনার বিষয় কিন্তু অন্য। তা একান্ত ভাবেই কেন্দ্রীভূত লিপ বেবি অর্থাৎ ২৯ শে ফেব্রুয়ারীর দিনটিতে জন্ম গ্রহণ করা শিশুদের ওপর।  প্রসঙ্গত আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোরারজী দেশাইও ছিলেন একজন লিপ বেবি। তার জন্ম হয়েছিল  ১৮৯৬ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারী।  ৯৯ টি বসন্ত পেরিয়ে মাননীয় মোরারজী দেশাই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ১৯৯৫ এর ১০ই এপ্রিল।  মোরারজী দেশাই কিন্তু কালের বিধানে ৯৯ টি জন্মদিন পাননি। পেয়েছিলেন মাত্র ২৪ টা।  প্রসঙ্গত মোরারজী দেশাই ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম কোয়ালিশন সরকারের প্রধানমন্ত্রী।  তার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় কাল ছিল ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ পর...

এখনো ভাষা-মা কাঁদে!

মাতৃভাষার অধিকার, মানুষ মাত্রেরই তার জন্মগত অধিকার। যে ভাষায় সে প্রথম কথা বলা শেখে,  সেই ভাষাতেই তাকে দিতে হবে লেখা পড়া করার অধিকার, সেই ভাষাতেই দিতে হবে তাকে সাহিত্য করা, গান গাওয়া, নাটকের সংলাপ বলার অধিকার; তার আপন সংস্কৃতিকে উদযাপন করার সমস্তরকম নৈতিক ও আইনি অধিকার তাকে দিতে হবে তার মাতৃভাষাতেই। সর্বোপরি, সেই ভাষাই হবে তার একমাত্র কাজের ভাষা, সে অফিস, বাজার, কোর্ট – কাছারি, থেকে শুরু করে সর্বত্র। এই লক্ষেই, ইউনেস্কো - ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর, প্যারিসে অনুষ্ঠিত ৩০ তম বার্ষিক অধিবেশনের সভায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস পালনের কথা। প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দেয় বাংলাদেশ সহ ২৮ টি দেশ।   সর্ব সম্মত ভাবে বেছে নেওয়া হয় ২১ শে ফেব্রুয়ারীর দিনটিকেই।   কিন্তু কেন এই দিনটি, এর প্রেক্ষিতটাও একটু বুঝে নেওয়া দরকার। ১৯৪৭ এ দেশ ভাগের পরে, নবগঠিত দেশ পাকিস্থানের অফিসিয়াল ভাষা কি হবে এই প্রশ্নে পরিষ্কার মতানৈক্য দেখা যায় সে দেশের নীতি নির্ধারক ও   দেশের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দেশের পূর্ব ভাগ – পূর্ব পাকিস্থানের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজী...

জীবনানন্দ কি সিনেমার গান লিখতে চেয়েছিলেন?

জীবনানন্দ দাশের কবিতা কি গীতিধর্মী? প্রকৃতির গোপন নিঃসঙ্গতার সৌন্দর্য যার কবিতায় মূল সম্পদ, তাঁর কবিতার সুর এমনিতেই স্বতঃ উৎসারিত; কান পাতলেই শোনা যায় সে অন্তসলীলা ফল্গু স্রোতের বুঁদ করে দেওয়া সুরধ্বনি। তাই শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রের কণ্ঠে জীবনানন্দ দাশের লেখা কবিতা ‘আবার আসিব ফিরে, ধান সিঁড়িটির তীরে ...।' স্বাভাবিক ভাবে হয়ে ওঠে একটি অন্যতম জনপ্রিয় গান। জীবনানন্দ হয়তো, তাঁর কবিতার গীতিময়তার কথা অনুভবও করতেন অন্তরের সলাজ নিভৃতে। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও জীবনানন্দের বাক্সবন্দী থাকা প্রচুর অপ্রকাশিত লেখার মধ্যে কোথাও কোনো গানের দেখা পাওয়া যায় না। সেখানে পাওয়া যায় অসংখ্য কবিতা, ছোট গল্প, প্রবন্ধ এমনকি দু দুটো বড় উপন্যাস – ‘মাল্যবান’ ও ‘সুতীর্থ’। বাংলায় রবীন্দ্রনাথ থেকে কবি নজরুল অনেকেই কবিতার পাশাপাশি লিখেছেন অজস্র গান। কিন্তু জীবনানন্দ সেভাবে কোনো গান লিখে যান নি। কিন্তু সময়ের এক বাধ্যবাধকতার সামনে দাঁড়িয়ে লিখতে চেয়েছিলেন সিনেমার গান। জীবনানন্দ সিনেমার জন্য গান লিখতে চেয়ে বন্ধু অরিন্দম গুহের কাছে নিজের মনের ইচ্ছা ব্যক্তও করেছিলেন।  তবে ‘ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ নয়, দুটো পয়সার জন্...

৯৫ বছর পরে সরস্বতী পূজা পড়লো ভ্যালেন্টাইনস ডে'র দিনে!

কিশোর বয়সে, সরস্বতী প্রতিমার সৌন্দর্যে এতটাই বিমুগ্ধ হয়েছিলেন, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যে মাটির তৈরী সরস্বতীকেই জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে বসেছিলেন, অবাধ্য প্রেমিকের মতন।  সুনীল তাঁর আত্মজীবনী 'অর্ধেক জীবন'এ সে কথা লিখেওছেন অকপটে। সুনীল বলেছেন, সেটি ছিল তার জীবনের প্রথম চুমু। এরকম ঘটনা হয়তো সকলের জীবনে ঘটে না। কিন্তু আপামর বাঙালীর কাছে ফি বছর সরস্বতী পূজার দিনটি আসে দু -ভাবে।  বহিরঙ্গে থাকে ছোট শিশুদের হাতে খড়ি পড়ার শুভ আয়োজন; পাশাপাশি চলে বই খাতার ডাই কে সামনে রেখে বিদ্যার্থীদের প্রার্থনা- পুষ্পাঞ্জলির তুমুল উদ্দীপনা। কিন্তু অন্তরঙ্গে, এই দিনটির তাৎপর্য আসলে বহু আকাঙ্খিত প্রেম নিবেদনের শুভ দিন হিসেবেই অনুরণিত হয় বাঙালী তারুন্যের হৃদয়ে। এর একটা অন্যতম কারণ বোধহয়, প্রকৃতির এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে পড়া সরস্বতী পূজার নির্ঘণ্ট। মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথি, একদিকে যেমন শীতের শেষ; অন্যদিকে তেমনি বসন্তের আগমনকে সূচিত করে। হলুদ গাঁদার গন্ধে ও রঙে উজ্জীবিত সরস্বতী পূজার দিনটিতে তাই বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী কে সাক্ষী রেখে ছড়িয়ে পড়ে প্রেমের আবেশ। স...