সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৃষ্টিবালার তেরো স্বর!

বৃষ্টি ভীষণ মেয়েলি , নামেই রয়েছে কেমন ফেমিনিস্ট গন্ধ। সন্ধ্যায় তাই যখন বৃষ্টি আসে -   ফিসফিস করে, কথা বলে ; যেন কত গোপনীয়তা কন্ঠস্বরে। জানালা খুলে দিলে , মিষ্টি করে ছুঁয়ে দিয়ে যায় আদর ক’রে। খোলা ছাদে, একা আসতে বলে। হাওয়ায় বৃষ্টির আঁচল , সর্বদাই ভেজা থাকে ; তাই দিয়ে রোদে পোড়া মুখে , চোখে কত না আহ্লাদ তার! যখন মন - নুপুরের তিন তাল শুনতে চায়, তখন বৃষ্টি নর্তকীর মতো টাপুর টুপুর ধ্বনি তুলে নেচে দেয় শাল বৃক্ষের দীর্ঘ পত্রফলক পরে। কিশোরবেলায় যখন একান্তই স্কুলে যেতে মন সায় দেয় না , তখন বৃষ্টি ঝমঝম করে ঝরে পড়ে রাগী দিদিমনিদের মতন। বাড়ির বাইরে , রঙ্গন গাছটির মাথায় ফুটে থাকা লাল , থোকা থোকা ফুল গুলো তখন ভীষণ নাজেহাল , বৃষ্টির কড়া শাসনে ; কেঁদে কেঁদে খালি মাথা দুলিয়ে যায় - ওপরে নীচে। আবার ভূতের গল্প শুরু হলে কিন্তু , টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ে ; ভয় পেয়ে যাওয়া কোনো কিশোরীর বুকের মতন, টিপ টিপ করা সেই স্বর। রহস্যের রাত্রে বৃষ্টি পড়ে নিঃশব্দে । যেন অচিনপুরে বন্দী থাকা কোনো রাজকন্যা;   মুক্তির অপেক্ষায় যে নিতান্তই অসহায়,  মূক-কন্যা সেজে ঝরে যায় অবিরাম...

কাঁথি এবং কাঁথির কাজু কথকতা!

কাজুবাদাম খেতে যতটা ভালো মূল্যটাও কিন্তু মন্দ কিছু নয় । তবে কিনা কাজুবাদাম বলে কথা । ছোটবেলায় , ভুগোল বইয়ের পাতায় যখন পড়লাম সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল হিসেবে কাঁথির (পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ) ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য গুলোর কথা - যার মধ্যে সমুদ্র , ঝাউবন , সামুদ্রিক মাছ , বালিয়াড়ি ছাড়াও সেই সর্বজনবিদিত সুদীর্ঘ ও সুস্বাদু কাজুবাদাম ও তার সুরম্য জঙ্গলে ঘেরা ভূপ্রকৃতির বিশেষ সুনন্দিত  বর্ণনাকথা - তখন যাকে বলে গর্বে একেবারে ষাঁড়াষাড়ির জোয়ার বয়ে যেতো বুকের মধ্যে । কারণ আমার বাড়ির (কাঁথি শহর থেকে ৩ কিমি পূর্বে অবস্থিত বালিয়াড়ি ঘেরা জনপদ, দারুয়া) কাছেই যে কত অযত্নে বেড়ে ওঠা কাজুবাদামের জঙ্গল ছিল , একেবারেই প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা , কে কবে সে গাছ লাগিয়েছিল কেউ বলতে পারে না । উঁচু উঁচু বালিয়াড়ি - একেবারে পাহাড়ের মতোই তার সুউচ্চ চূড়া , আর তার কোলে পিঠে গজিয়ে যাওয়া কাজুর নাতিদীর্ঘ গাছ ও তার চতুর্দিকে বিস্তৃত ডালায় পালার ঘনিয়ে আসা ছায়া আঁধারি ঝোপ । কেউ কখনো বেড়া দেওয়ার কথা ...

মাদ্রাজী মুম্বাই আমঃ স্ববিরোধীতার নয়া উপমা!

কাঁঠালের আমসত্ত্ব পুরনো আইটেম ।   যদিও বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই । তবে সোনার পাথর বাটি বানানোর কারিগরেরা কিন্তু তাদের উৎপাদন যথারীতি বজায় রেখেছেন । এবং তা চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ বহাল তবিয়তেই ।  কিরকম ? বলছি। এমনিতে আম ভীষণ গনতান্ত্রিক ফল। ফলের রাজা বলে কিছু মানুষ , আমকে রাজতন্ত্রের মহিমা প্রদান করতে চায় বটে , তবে আম আর উর্দু আওয়াম , সাধারণ উচ্চারণে যা আম এর মতোই শোনায় , দুটি শব্দের মধ্যে অর্থগত তারতম্য থাকলেও আমের উপভোক্তা হিসেবে আম জনতার মধ্যে কিন্তু কোনো প্রভেদ নেই। সেখানে রাজা , প্রজা সকলেই আম ভক্ত আওয়াম। সে পেট্রোল পাম্পের সাধারণ কর্মচারী , নান্টু মন্ডল হোক কি বহুজাতিক কোম্পানির বড় আধিকারিক - আম কেনার ক্ষেত্রে সকলেই এক।  যে কথা প্রথমেই বলছিলাম , সেটা হলো তেঁতুলের আম আচার বা ঐ জাতীয় স্ববিরোধী জিনিস যারা বানান তারা কিন্তু এই বাজারেও বেশ আছেন , এবং বলা যায় স্বমহিমায় আছেন। সে দুধের দইবড়া হোক কি আমের টমেটো চাটনি , তাদের স্ববিরোধী সৃজনে কি...