ইচ্ছেমৃত্যু হয়; যেমন গঙ্গা পুত্রের হয়েছিল! কিন্তু ইচ্ছের মৃত্যু হয় না কোনোদিন! ইচ্ছের দম থাকলে, স্বয়ং ঈশ্বরও সেই ইচ্ছেপূরণের জন্য তাঁর সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। অপূর্ণ ইচ্ছের স্রোত, মৃত চেতনাতেও প্রবাহিত হয় নিরন্তর। পার্থিব শরীরের বিনাশ, ইচ্ছেকে মূল্যহীন করতে পারে না। আসলে, আন্তরিক ইচ্ছে অবিনশ্বর ও চির অমর। মৃত্যুর পরেও সক্রিয় থাকে তার পূর্ণ হওয়ার দাবী। যেমনটি হলো ৭৬ বছর বয়সী সঞ্চিতা বক্সীর জীবনে; বেঁচে থাকতে, একান্তে জানিয়েছিলেন তাঁর ইচ্ছের কথা। কিন্তু সেটা পূরণ হোল, তাঁর জীবনাবসানের পরে। না, আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ব্যাপারে, কোনো ইচ্ছে পত্র করে যাননি তিনি। মায়ের ইচ্ছের কথা শুধু জানতেন তাঁর চক্ষুবিদ মেয়ে ও জামাই। পাশাপাশি, তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে, তাঁর মনের গোপন ইচ্ছের কথা বারবার প্রত্যয়িত হতে দেখা গেছে, মৃত্যু পরবর্তী অঙ্গদান সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠানে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি ও তাঁর দেওয়া সেইসময়কার বিভিন্ন বক্তৃতায়। এই বিষয়ে তাঁর সপ্রশ্রয় দৃষ্টিভঙ্গি সেই কথারই প্রমান দিয়ে এসছে বারবার। তিনি নিজেও ছিলেন পেশায় ডাক্তার; জন্ম, আসানসোলের মাতুলালয়ে। কিন্তু বাবা, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, মধ...
হ্যাঁ তিনিই পারলেন। আবেগ কম্পিত উচ্চারণে , ভারত আত্মার - গোপন মনের কথা তিনি শুনিয়েই দিলেন। বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিলেন সেই বার্তা , যা প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়ে এক অপ্রকাশিত করুন সুরের মতো প্রতিনিয়ত বেজে চলে , তাকে বিব্রত করে ; তবু সে আওয়াজ অস্ফুট থেকে যায়। ৬ই সেপ্টেম্বরের সন্ধ্যায় , ভারত থেকে ৭০০০ কিলোমিটার দূরে , ইতালির জল নগরী ভেনিসের মাটিতে আয়োজিত ৮২ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ২০২৫ এর মঞ্চে তখন তিনি পাদপ্রদীপের আলোয়। লাল পাড় সাদা শাড়িতে , তিনি পুরুলিয়ার নারায়নপুর গ্রামের মেয়ে। একান্তই এক স্বপ্নের পেছনে ধাওয়া করা , অদম্য উচ্ছলতায় বয়ে যাওয়া পাহাড়ী ঝর্নার মতো তাঁর ব্যক্তিত্বের ঝলক , উপস্থিত সকলকে তখন বাকরুদ্ধ করে ফেলেছে। ৮২ তম ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অনুপর্ণা রায়! নামটা বলে না দিলেও , হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এই মেয়েটি সত্যিই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁর সাফল্যের ব্যাপ্তি দিয়ে। জীবনের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র , আর তাতেই একে...