প্রদীপ জ্বালানোর পূর্বে যেমন সলতে পাকাতে হয়, তেমনি প্রত্যেক সফল প্রতিমা নির্মাণের পেছনে থাকে অনেকগুলি পর্ব পেরোনোর ইতিবৃত্ত । প্রথমে , দড়ির বাঁধনে বেঁধে , নির্মাণ করতে হয় একটি খড় কাঠের আদল । তারপরে ক্রমে ক্রমে তার ওপরে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয় , এরপরে থাকে রোদে শুকানোর পালা , তারপরে আবার মাটি লেপা ... এবং সবশেষে রং ও তুলির টানে ফুটিয়ে তোলা হয় মূর্তির চুড়ান্ত মৃন্ময় রূপ । একজন সফল শিল্পীর জীবনেও থাকে অনেকগুলি পর্যায় অতিক্রম করার ইতিহাস । বর্তমানে ৬৫ বছর বয়সী, শোলা শিল্পী সমীর সাহার যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই কিশোর বেলায় , যখন তার ১৫ বছর বয়স । মুর্শিদাবাদে জন্ম ও বড় হওয়া, সমীর তখন কোথাও শোলার কাজ হচ্ছে দেখলেই , এক দৃষ্টিতে , শিল্পীর হাতের দিকে চেয়ে বসে থাকতেন । কেমন করে সেই শিল্পী শোলার ওপর খুদে খুদে, সুন্দর সুন্দর নকশা তুলছেন , তা নিবিড় ভাবে নিরীক্ষণ করতেন । সে অর্থে , কেউ হাতে ধরে শেখায়নি তাকে । তারপরে নিজেই একদিন , ছেনি হাতে , শোলার ওপরে শুরু করে দিলেন খোদাই করা...
মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুঃখ পেয়ে কেউ ‘দুঃখিত’ বলে না, বলে - ভুল করে ধরা পড়ে গেলে। ছোট করে বলে, সরি। অনেকটা চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে, ছোট করে চা বলার মত। তাও সব ক্ষেত্রে নয়। অফিসের বস, তার অধস্তন মহিলা কর্মচারীকে প্রায়ই সরি বলে। তবে একটা শর্ত, মহিলাটিকে অবশ্যই যুবতী এবং সুন্দরী হতে হবে। প্রেমে পড়া ছেলেটিও তাই, কারণে অকারণে সরি বলার ছুতো খোঁজে । চোখে চোখে , মেয়েটিকে আদর করতে গিয়ে যদি মেয়েটি একান্তই লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নেয় তো কেল্লাফতে। সরি বলার এর থেকে উত্তম মুহূর্ত আর হয় না। সরি কথাটা ছোট, কিন্তু এর প্রভাব অপরিসীম। সংস্কৃতে একটা কথা আছে, বিনয়াবনত লভতে জ্ঞানম অর্থাৎ জ্ঞান লাভ করতে হলে বিনয়ী হতে হয়। ঠিক তেমনি কারুর মনে নিজের সুন্দর ভাবমূর্তি তৈরি করতে হলে, সরি বলার জন্য সিদ্ধকণ্ঠ হতে হয়। অর্থাৎ সরি বলার পেছনে একটা উদ্দেশ্য কাজ করে। এবং তা বলার জন্য সেইমত পরিস্থিতির নির্মাণ করতে হয়। এটা অনেকটা পুরনো দিনের সিনেমার নায়কের মত, প্রথমে নিজের লোককে গুণ্ডা সাজিয়ে নায়িকাকে হেনস্থা করতে পাঠানো আর তারপরে হৈ হৈ করে নিজের হিরো গিরি প্রতিষ্ঠিত করতে একটা ছদ্ম ঝাড়পিটের অবতা...