মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুঃখ পেয়ে কেউ ‘দুঃখিত’ বলে না, বলে
- ভুল করে ধরা পড়ে গেলে। ছোট করে বলে, সরি। অনেকটা চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে,
ছোট করে চা বলার মত। তাও সব ক্ষেত্রে নয়। অফিসের
বস, তার অধস্তন মহিলা কর্মচারীকে প্রায়ই সরি বলে। তবে একটা শর্ত, মহিলাটিকে অবশ্যই
যুবতী এবং সুন্দরী হতে হবে। প্রেমে পড়া
ছেলেটিও তাই, কারণে অকারণে সরি বলার ছুতো
খোঁজে। চোখে চোখে, মেয়েটিকে আদর করতে গিয়ে যদি মেয়েটি একান্তই লজ্জা
পেয়ে চোখ নামিয়ে নেয় তো কেল্লাফতে। সরি বলার এর থেকে উত্তম মুহূর্ত আর হয় না। সরি কথাটা ছোট, কিন্তু এর প্রভাব অপরিসীম। সংস্কৃতে
একটা কথা আছে, বিনয়াবনত লভতে জ্ঞানম অর্থাৎ জ্ঞান লাভ করতে হলে বিনয়ী হতে হয়। ঠিক
তেমনি কারুর মনে নিজের সুন্দর ভাবমূর্তি তৈরি করতে হলে, সরি বলার জন্য সিদ্ধকণ্ঠ হতে
হয়। অর্থাৎ সরি বলার পেছনে একটা উদ্দেশ্য কাজ করে। এবং তা বলার জন্য সেইমত পরিস্থিতির
নির্মাণ করতে হয়। এটা অনেকটা পুরনো দিনের সিনেমার নায়কের মত, প্রথমে নিজের লোককে
গুণ্ডা সাজিয়ে নায়িকাকে হেনস্থা করতে পাঠানো আর তারপরে হৈ হৈ করে নিজের হিরো গিরি
প্রতিষ্ঠিত করতে একটা ছদ্ম ঝাড়পিটের অবতারণা করা, স্বাভাবিক ভাবে সেখানে, নায়ক সব গুণ্ডাকে মেরে
পগার পার করিয়ে দেবে এবং তারপরে নায়িকাকে স্বামী বিবেকানন্দের স্টাইলে বলবে চলুন
আমি আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি। আসলে ব্যাপারটা হোল ইম্প্রেসেন বানাতে সরি বলার
মতো শুভ অবসর তৈরি করার থেকে ভালো কোনো উপায়
নেই বাজারে। তার মানে কি এই - সরি বলার নেপথ্যে থাকে ইচ্ছাকৃত
ভুল করার সুপরিকল্পিত ভাবনা!
রোগীর মৃত্যুর পরে, ডাক্তার বাড়ির লোককে যখন সরি বলে
তার পেছনে অবশ্য সেরকম কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, কিন্তু যেটা থাকে সেটা একটা সূক্ষ্ম
গাম্ভীর্যের ছলনা। যার মধ্যে ফুটে ওঠে, যুদ্ধান্তে
শহীদ হওয়ার মত মহানুভবতার অভিমান।
খবর কাগজে অনেক সময়ে ‘পড়তে হবে’ বা ‘ভুল সংশোধনী’ শিরোনামে সরি নোট প্রকাশিত হয় ছোট করে। তাতে আগের দিনের খবরে ভুল থাকার কথা স্বীকার করে, তলায় লেখা হয় অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য খবর কাগজ কর্তৃপক্ষ দুঃখিত।
খবর কাগজে অনেক সময়ে ‘পড়তে হবে’ বা ‘ভুল সংশোধনী’ শিরোনামে সরি নোট প্রকাশিত হয় ছোট করে। তাতে আগের দিনের খবরে ভুল থাকার কথা স্বীকার করে, তলায় লেখা হয় অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য খবর কাগজ কর্তৃপক্ষ দুঃখিত।
সংবাদ পত্রের কথা যখন উঠলই, এই প্রসঙ্গে বলি ২০০০ সাল নাগাদ, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী, তখনকার যিনি রাজ্য রাজনীতির ১ নং বিরোধী নেত্রী ছিলেন সেই মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়, কোনো এক সভায় তোপ দেগে বলেছিলেন – তাঁকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে
ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার। স্বভাবতই তা
হেডলাইন হয়ে যায় পরের দিন। তার প্রতিক্রিয়ায়, অনিল বিশ্বাস, তদানীন্তন সি পি আই এম
দলের জেনারেল সেক্রেটারি তথা ‘গণশক্তি’ পত্রিকার সম্পাদক ও বিশিষ্ট তাত্ত্বিক নেতা
যা বললেন তাতে জল আরও ঘোলা হয়ে গেল। ধীর ও স্থিতধী ধাতের, অনিল বাবু সাংবাদিকদের
জানালেন, উনাকে কে মারবে, উনি তো যমেরও অরুচি। স্বাভাবিকভাবেই মমতাকে তা আহত
করেছিল। সেটা সম্ভবত আঁচ করেছিলেন অনিল বিশ্বাস। কারণ তখন রাজনীতিতে, সৌজন্য বোধের
কিছুটা হলেও অবশিষ্ট ছিল। যার প্রমান পাওয়া গেল পরের দিন সমস্ত খবরের কাগজে, অনিল
বাবু রীতিমত বিবৃতি দিয়ে জানালেন, তিনি এ কথা বলার জন্য ভীষণ ভাবে দুঃখিত।
ট্রেনে বাসে কিছু মানুষ, পায়ে পা লাগলেই সরি বলে। ছোট বড় নির্বিশেষে সকলকেই বলে; অভ্যাস হয়ে যাওয়ার মত, কথায় কথায় সরি বেরিয়ে পড়ে তাঁদের মুখ থেকে। এইসব ক্ষেত্রে আবার যার উদ্দেশ্যে সরি বলা হয় তিনি সন্তুষ্ট হওয়ার বদলে রেগে যান। গরু মেরে জুতো দান হচ্ছে গোছের ভাবনা গজরাতে থাকে তাঁর মনের মধ্যে।
কখনো কখনো সরি বলা শুধু একটি ফর্মালিটি, স্রেফ কথার কথা; রেলওয়ে স্টেশনে যেমন বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত আজকে অমুক ট্রেনকে বাতিল করতে হোল। পরক্ষণেই আবার, কুইনাইন বড়ি খাওয়ার পরে, মুখে এক মুঠো চিনি গুঁজে দেওয়ার মত করে বলা হয় - অনিচ্ছাকৃত এই অসুবিধার জন্য, যাত্রী সাধারণের কাছে রেল কর্তৃপক্ষ গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে, কিংবা মঞ্চ থেকে সঞ্চালক যখন, মাইক হাতে ঘোষণা করেন, প্লিজ দর্শকসাধারণ আপনারা শান্ত হয়ে বসুন, আপনাদের পছন্দের শিল্পী এখনও এসে পৌঁছাননি, সেই কারণে অনুষ্ঠান যথাসময়ে শুরু করা যাচ্ছে না। এর জন্য আমরা যারপরনাই দুঃখিত। ব্যাস, সরি বলে দিয়েছে মানে বাবুসোনা হয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় কি। এই সব ক্ষেত্রে, আসলে সরি বলে নিজের পিঠ থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার তাগিদই বেশী পরিলক্ষিত হয়। সরি বলার মধ্যে ভড়ং যতটা থাকে আন্তরিকতা ততটা নয়। কারুর অনিচ্ছাকৃত রূঢ় আচরনে যদি কেউ প্রকৃতই দুঃখ পায়, সে ক্ষেত্রে শুধু সরি বলে তাঁর দায় সারেন না দুঃখদানকারী ব্যক্তি। এই প্রসঙ্গে একটি ছোট ঘটনার কথা, যেটি আমার স্মৃতিতে এখনও জ্বলজ্বল করছে, বললে মনে হয় ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। টিফিনের আগের পিরিয়ডে, সংস্কৃত ক্লাশ নিচ্ছেন, আমাদের সবার প্রিয় অশোক মিশ্র স্যার। পণ্ডিত মানুষ। এছাড়া শিক্ষক হিসেবেও খুবই নিয়মানুবর্তী। পাট করা ধুতির ওপর কটকি ছাপের পাঞ্জাবি পরে, বুকের কাছে বোতাম গুলো সবসময় খোলাই থাকতো তাঁর। বেঁটে তবে শারীরিক গঠন বেশ মজবুত ছিল, সব মিলিয়ে চেহারায় বেশ একটা সম্ভ্রমের ভাব লেগে থাকতো। মার্জিত ও ধীর স্বভাবের অশোক বাবু, রাগারাগি করা তাঁর অভ্যেসে ছিল না। কিন্তু সেদিন ঘটলো উল্টো। দ্বিতীয় বেঞ্চে বসা দুজন ছেলে লাগাতার নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাচ্ছিল। পড়াতে পড়াতে একবার সতর্ক ও করেছিলেন স্যার ওদের। কিন্তু কথা শোনেনি। দ্বিতীয়বার, একটু ধমকের সুরেই বলেছেন, “অ্যায়, কথা বন্ধ করে, এদিকে মন দে – নইলে...”। শুনে, ওদের মধ্যে একজন – অরিন্দম গোস্বামী বলে, ফিক করে যেই না হেসে উঠেছে, স্যার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ছুটে গিয়ে, আরিন্দমের চুলের মুঠি ধরে, এমন জোরে জোরে মারতে শুরু করলেন তার গালে পিঠে যে, সকলেই আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছি। রেগে গেলে, গায়ের ফরসা রঙ যে পুরো আগুনের আঁচের মত গনগনে লাল বর্ণ ধারন করে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। গোটা ক্লাশ, হতচকিত। এদিকে স্যার মেরে চলেছেন। মারতে মারতে, ছেলেটা যখন অসাড়ের মত বেঞ্চের ওপর শুয়ে পড়েছে, তখন স্যার থামলেন। তারপরে ধীরে ধীরে, ব্ল্যাকবোর্ডের কাছে রাখা নিজের চেয়ারের দিকে গিয়ে, কি ভেবে আবার স্যার ফিরে এলেন শুয়ে থাকা অরিন্দমের কাছে। কাঁদতে কাঁদতে অরিন্দমের চোখ তখন মাকাল ফলের মত লাল হয়ে গেছে। ক্লাস গোটা স্তব্ধ, কি হয় – কি হয় ভেবে। অশোক স্যার, দেখলাম তার দু হাত দিয়ে অরিন্দমকে টেনে তুলতে লাগলেন বেঞ্চ থেকে; আমরা ভাবছি স্যারের রাগ বোধহয় তখনও শান্তি হয় নি। আবারও বুঝি মারবেন! ভয়ে, অরিন্দম তখন ঠক ঠক করে কাঁপতে শুরু করেছে। মুখে কারও টুঁ শব্দটি ও নেই। সে এক আশ্চর্য স্তব্ধতা ক্লাস জুড়ে; হঠাৎ মেঘের বজ্রপাতের মত, সে দুঃসহ নীরবতা ভাঙলেন স্যার নিজেই; হাউ হাউ করে কেঁদে উঠলেন স্যার, অরিন্দমকে বুকে জড়িয়ে। আমরা দেখলাম, অরিন্দমের নাক চোখের জল - অবাধ আশ্লেষে লেপটে যাচ্ছে স্যারের পাঞ্জাবির বুকে, আর স্যার অরিন্দমের পিঠে ক্রমাগত তাঁর স্নেহের হাত বুলিয়ে চলেছেন। দেখে আমাদের চোখেও জল এসে গিয়েছিল। সত্যিই এই দৃশ্য কখনোই ভুলতে পারবো না।
আসলে সরি বলাটা খুবই পানসে, আবেগহীন শুকনো জমির বুকে কেতাবী এক বাচন শৈলী ছাড়া কিছু নয়।
ট্রেনে বাসে কিছু মানুষ, পায়ে পা লাগলেই সরি বলে। ছোট বড় নির্বিশেষে সকলকেই বলে; অভ্যাস হয়ে যাওয়ার মত, কথায় কথায় সরি বেরিয়ে পড়ে তাঁদের মুখ থেকে। এইসব ক্ষেত্রে আবার যার উদ্দেশ্যে সরি বলা হয় তিনি সন্তুষ্ট হওয়ার বদলে রেগে যান। গরু মেরে জুতো দান হচ্ছে গোছের ভাবনা গজরাতে থাকে তাঁর মনের মধ্যে।
কখনো কখনো সরি বলা শুধু একটি ফর্মালিটি, স্রেফ কথার কথা; রেলওয়ে স্টেশনে যেমন বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত আজকে অমুক ট্রেনকে বাতিল করতে হোল। পরক্ষণেই আবার, কুইনাইন বড়ি খাওয়ার পরে, মুখে এক মুঠো চিনি গুঁজে দেওয়ার মত করে বলা হয় - অনিচ্ছাকৃত এই অসুবিধার জন্য, যাত্রী সাধারণের কাছে রেল কর্তৃপক্ষ গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে, কিংবা মঞ্চ থেকে সঞ্চালক যখন, মাইক হাতে ঘোষণা করেন, প্লিজ দর্শকসাধারণ আপনারা শান্ত হয়ে বসুন, আপনাদের পছন্দের শিল্পী এখনও এসে পৌঁছাননি, সেই কারণে অনুষ্ঠান যথাসময়ে শুরু করা যাচ্ছে না। এর জন্য আমরা যারপরনাই দুঃখিত। ব্যাস, সরি বলে দিয়েছে মানে বাবুসোনা হয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় কি। এই সব ক্ষেত্রে, আসলে সরি বলে নিজের পিঠ থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার তাগিদই বেশী পরিলক্ষিত হয়। সরি বলার মধ্যে ভড়ং যতটা থাকে আন্তরিকতা ততটা নয়। কারুর অনিচ্ছাকৃত রূঢ় আচরনে যদি কেউ প্রকৃতই দুঃখ পায়, সে ক্ষেত্রে শুধু সরি বলে তাঁর দায় সারেন না দুঃখদানকারী ব্যক্তি। এই প্রসঙ্গে একটি ছোট ঘটনার কথা, যেটি আমার স্মৃতিতে এখনও জ্বলজ্বল করছে, বললে মনে হয় ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। তখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। টিফিনের আগের পিরিয়ডে, সংস্কৃত ক্লাশ নিচ্ছেন, আমাদের সবার প্রিয় অশোক মিশ্র স্যার। পণ্ডিত মানুষ। এছাড়া শিক্ষক হিসেবেও খুবই নিয়মানুবর্তী। পাট করা ধুতির ওপর কটকি ছাপের পাঞ্জাবি পরে, বুকের কাছে বোতাম গুলো সবসময় খোলাই থাকতো তাঁর। বেঁটে তবে শারীরিক গঠন বেশ মজবুত ছিল, সব মিলিয়ে চেহারায় বেশ একটা সম্ভ্রমের ভাব লেগে থাকতো। মার্জিত ও ধীর স্বভাবের অশোক বাবু, রাগারাগি করা তাঁর অভ্যেসে ছিল না। কিন্তু সেদিন ঘটলো উল্টো। দ্বিতীয় বেঞ্চে বসা দুজন ছেলে লাগাতার নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাচ্ছিল। পড়াতে পড়াতে একবার সতর্ক ও করেছিলেন স্যার ওদের। কিন্তু কথা শোনেনি। দ্বিতীয়বার, একটু ধমকের সুরেই বলেছেন, “অ্যায়, কথা বন্ধ করে, এদিকে মন দে – নইলে...”। শুনে, ওদের মধ্যে একজন – অরিন্দম গোস্বামী বলে, ফিক করে যেই না হেসে উঠেছে, স্যার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ছুটে গিয়ে, আরিন্দমের চুলের মুঠি ধরে, এমন জোরে জোরে মারতে শুরু করলেন তার গালে পিঠে যে, সকলেই আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছি। রেগে গেলে, গায়ের ফরসা রঙ যে পুরো আগুনের আঁচের মত গনগনে লাল বর্ণ ধারন করে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। গোটা ক্লাশ, হতচকিত। এদিকে স্যার মেরে চলেছেন। মারতে মারতে, ছেলেটা যখন অসাড়ের মত বেঞ্চের ওপর শুয়ে পড়েছে, তখন স্যার থামলেন। তারপরে ধীরে ধীরে, ব্ল্যাকবোর্ডের কাছে রাখা নিজের চেয়ারের দিকে গিয়ে, কি ভেবে আবার স্যার ফিরে এলেন শুয়ে থাকা অরিন্দমের কাছে। কাঁদতে কাঁদতে অরিন্দমের চোখ তখন মাকাল ফলের মত লাল হয়ে গেছে। ক্লাস গোটা স্তব্ধ, কি হয় – কি হয় ভেবে। অশোক স্যার, দেখলাম তার দু হাত দিয়ে অরিন্দমকে টেনে তুলতে লাগলেন বেঞ্চ থেকে; আমরা ভাবছি স্যারের রাগ বোধহয় তখনও শান্তি হয় নি। আবারও বুঝি মারবেন! ভয়ে, অরিন্দম তখন ঠক ঠক করে কাঁপতে শুরু করেছে। মুখে কারও টুঁ শব্দটি ও নেই। সে এক আশ্চর্য স্তব্ধতা ক্লাস জুড়ে; হঠাৎ মেঘের বজ্রপাতের মত, সে দুঃসহ নীরবতা ভাঙলেন স্যার নিজেই; হাউ হাউ করে কেঁদে উঠলেন স্যার, অরিন্দমকে বুকে জড়িয়ে। আমরা দেখলাম, অরিন্দমের নাক চোখের জল - অবাধ আশ্লেষে লেপটে যাচ্ছে স্যারের পাঞ্জাবির বুকে, আর স্যার অরিন্দমের পিঠে ক্রমাগত তাঁর স্নেহের হাত বুলিয়ে চলেছেন। দেখে আমাদের চোখেও জল এসে গিয়েছিল। সত্যিই এই দৃশ্য কখনোই ভুলতে পারবো না।
আসলে সরি বলাটা খুবই পানসে, আবেগহীন শুকনো জমির বুকে কেতাবী এক বাচন শৈলী ছাড়া কিছু নয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন