সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

'সরি' বলার নেপথ্যে!

মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুঃখ পেয়ে কেউ ‘দুঃখিত’ বলে না, বলে - ভুল করে ধরা পড়ে গেলে। ছোট করে বলে, সরি। অনেকটা চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে, ছোট করে চা বলার মত।  তাও সব ক্ষেত্রে নয়। অফিসের বস, তার অধস্তন মহিলা কর্মচারীকে প্রায়ই সরি বলে। তবে একটা শর্ত, মহিলাটিকে অবশ্যই যুবতী এবং সুন্দরী হতে হবে।  প্রেমে পড়া ছেলেটিও তাই,  কারণে অকারণে সরি বলার ছুতো খোঁজে। চোখে চোখে, মেয়েটিকে আদর করতে গিয়ে যদি মেয়েটি একান্তই লজ্জা পেয়ে চোখ নামিয়ে নেয় তো কেল্লাফতে। সরি বলার এর থেকে উত্তম মুহূর্ত আর হয় না।  সরি কথাটা ছোট, কিন্তু এর প্রভাব অপরিসীম। সংস্কৃতে একটা কথা আছে, বিনয়াবনত লভতে জ্ঞানম অর্থাৎ জ্ঞান লাভ করতে হলে বিনয়ী হতে হয়। ঠিক তেমনি কারুর মনে নিজের সুন্দর ভাবমূর্তি তৈরি করতে হলে, সরি বলার জন্য সিদ্ধকণ্ঠ হতে হয়। অর্থাৎ সরি বলার পেছনে একটা উদ্দেশ্য কাজ করে। এবং তা বলার জন্য সেইমত পরিস্থিতির নির্মাণ করতে হয়। এটা অনেকটা পুরনো দিনের সিনেমার নায়কের মত, প্রথমে নিজের লোককে গুণ্ডা সাজিয়ে নায়িকাকে হেনস্থা করতে পাঠানো আর তারপরে হৈ হৈ করে নিজের হিরো গিরি প্রতিষ্ঠিত করতে একটা ছদ্ম ঝাড়পিটের অবতারণা করা,  স্বাভাবিক ভাবে সেখানে, নায়ক সব গুণ্ডাকে মেরে পগার পার করিয়ে দেবে এবং তারপরে নায়িকাকে স্বামী বিবেকানন্দের স্টাইলে বলবে চলুন আমি আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি। আসলে ব্যাপারটা হোল ইম্প্রেসেন বানাতে সরি বলার মতো শুভ অবসর তৈরি করার থেকে ভালো কোনো  উপায় নেই বাজারে তার মানে কি এই - সরি বলার নেপথ্যে থাকে ইচ্ছাকৃত ভুল করার সুপরিকল্পিত ভাবনা!
রোগীর মৃত্যুর পরে, ডাক্তার বাড়ির লোককে যখন সরি বলে তার পেছনে অবশ্য সেরকম কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, কিন্তু যেটা থাকে সেটা একটা সূক্ষ্ম গাম্ভীর্যের ছলনাযার মধ্যে ফুটে ওঠে, যুদ্ধান্তে শহীদ হওয়ার মত মহানুভবতার অভিমান।
খবর কাগজে অনেক সময়ে ‘পড়তে হবে’ বা ‘ভুল সংশোধনী’ শিরোনামে সরি নোট প্রকাশিত হয় ছোট করে। তাতে আগের দিনের খবরে ভুল থাকার কথা স্বীকার করে, তলায় লেখা হয় অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য খবর কাগজ কর্তৃপক্ষ দুঃখিত।
অনিল বিশ্বাস ও মমতা
সংবাদ পত্রের কথা যখন উঠলই, এই প্রসঙ্গে বলি ২০০০ সাল নাগাদ, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তখনকার যিনি রাজ্য রাজনীতির ১ নং বিরোধী নেত্রী ছিলেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কোনো এক সভায় তোপ দেগে বলেছিলেন – তাঁকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার। স্বভাবতই  তা হেডলাইন হয়ে যায় পরের দিন। তার প্রতিক্রিয়ায়, অনিল বিশ্বাস, তদানীন্তন সি পি আই এম দলের জেনারেল সেক্রেটারি তথা ‘গণশক্তি’ পত্রিকার সম্পাদক ও বিশিষ্ট তাত্ত্বিক নেতা যা বললেন তাতে জল আরও ঘোলা হয়ে গেল। ধীর ও স্থিতধী ধাতের, অনিল বাবু সাংবাদিকদের জানালেন, উনাকে কে মারবে, উনি তো যমেরও অরুচি। স্বাভাবিকভাবেই মমতাকে তা আহত করেছিল। সেটা সম্ভবত আঁচ করেছিলেন অনিল বিশ্বাস। কারণ তখন রাজনীতিতে, সৌজন্য বোধের কিছুটা হলেও অবশিষ্ট ছিল। যার প্রমান পাওয়া গেল পরের দিন সমস্ত খবরের কাগজে, অনিল বাবু রীতিমত বিবৃতি দিয়ে জানালেন, তিনি এ কথা বলার জন্য ভীষণ ভাবে দুঃখিত।  
ট্রেনে বাসে কিছু মানুষ, পায়ে পা লাগলেই সরি বলে। ছোট বড় নির্বিশেষে সকলকেই বলে; অভ্যাস হয়ে যাওয়ার মত, কথায় কথায় সরি বেরিয়ে পড়ে তাঁদের মুখ থেকে।  এইসব ক্ষেত্রে আবার যার উদ্দেশ্যে সরি বলা হয় তিনি সন্তুষ্ট হওয়ার বদলে রেগে যান। গরু মেরে জুতো দান হচ্ছে গোছের ভাবনা গজরাতে থাকে তাঁর মনের মধ্যে

কখনো কখনো সরি বলা শুধু একটি ফর্মালিটি, স্রেফ কথার কথা; রেলওয়ে স্টেশনে যেমন বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত আজকে অমুক ট্রেনকে বাতিল করতে হোল। পরক্ষণেই আবার,  কুইনাইন বড়ি খাওয়ার পরে, মুখে এক মুঠো চিনি গুঁজে দেওয়ার মত করে বলা হয়  - অনিচ্ছাকৃত এই অসুবিধার জন্য, যাত্রী সাধারণের কাছে রেল কর্তৃপক্ষ গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে,  কিংবা মঞ্চ থেকে সঞ্চালক যখন, মাইক হাতে ঘোষণা করেন, প্লিজ দর্শকসাধারণ আপনারা শান্ত হয়ে বসুন, আপনাদের পছন্দের শিল্পী এখনও এসে পৌঁছাননি, সেই কারণে অনুষ্ঠান যথাসময়ে শুরু করা যাচ্ছে নাএর জন্য আমরা যারপরনাই দুঃখিত ব্যাস, সরি বলে দিয়েছে মানে বাবুসোনা হয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় কি।   এই সব ক্ষেত্রে, আসলে সরি বলে নিজের পিঠ থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার তাগিদই বেশী পরিলক্ষিত হয়। সরি বলার মধ্যে ভড়ং যতটা থাকে আন্তরিকতা ততটা নয়। কারুর অনিচ্ছাকৃত রূঢ় আচরনে যদি কেউ প্রকৃতই দুঃখ পায়, সে ক্ষেত্রে শুধু সরি বলে তাঁর দায় সারেন না দুঃখদানকারী ব্যক্তি। এই প্রসঙ্গে একটি ছোট ঘটনার কথা, যেটি আমার স্মৃতিতে এখনও জ্বলজ্বল করছে,  বললে মনে হয় ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবেতখন আমি ক্লাস এইটে পড়ি। টিফিনের আগের পিরিয়ডে, সংস্কৃত ক্লাশ নিচ্ছেন, আমাদের সবার প্রিয় অশোক মিশ্র স্যার পণ্ডিত মানুষ। এছাড়া শিক্ষক হিসেবেও খুবই নিয়মানুবর্তী পাট করা ধুতির ওপর কটকি ছাপের পাঞ্জাবি পরে, বুকের কাছে বোতাম গুলো সবসময় খোলাই থাকতো তাঁরবেঁটে তবে শারীরিক গঠন বেশ মজবুত ছিল, সব মিলিয়ে চেহারায় বেশ একটা সম্ভ্রমের ভাব লেগে থাকতো। মার্জিত ও ধীর স্বভাবের অশোক বাবু, রাগারাগি করা তাঁর অভ্যেসে ছিল না।  কিন্তু সেদিন ঘটলো উল্টো।  দ্বিতীয় বেঞ্চে বসা দুজন ছেলে লাগাতার নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাচ্ছিল।  পড়াতে পড়াতে একবার সতর্ক ও করেছিলেন স্যার ওদের। কিন্তু কথা শোনেনি। দ্বিতীয়বার, একটু ধমকের সুরেই বলেছেন,  “অ্যায়, কথা বন্ধ করে, এদিকে মন দে – নইলে...” শুনে, ওদের মধ্যে একজন – অরিন্দম গোস্বামী বলে, ফিক করে যেই না হেসে উঠেছে, স্যার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননিছুটে গিয়ে, আরিন্দমের চুলের মুঠি ধরে, এমন জোরে জোরে মারতে শুরু করলেন তার গালে পিঠে যে, সকলেই আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছি।  রেগে গেলে, গায়ের ফরসা রঙ যে পুরো আগুনের আঁচের মত গনগনে লাল বর্ণ ধারন করে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। গোটা ক্লাশ, হতচকিত। এদিকে স্যার মেরে চলেছেন। মারতে মারতে, ছেলেটা যখন অসাড়ের মত বেঞ্চের ওপর শুয়ে পড়েছে, তখন স্যার থামলেন। তারপরে ধীরে ধীরে, ব্ল্যাকবোর্ডের কাছে রাখা নিজের চেয়ারের দিকে গিয়ে,  কি ভেবে আবার স্যার ফিরে এলেন শুয়ে থাকা অরিন্দমের কাছে। কাঁদতে কাঁদতে অরিন্দমের চোখ তখন মাকাল ফলের মত লাল হয়ে গেছে। ক্লাস গোটা স্তব্ধ, কি হয় – কি হয় ভেবে। অশোক স্যার, দেখলাম তার দু হাত দিয়ে অরিন্দমকে টেনে তুলতে লাগলেন বেঞ্চ থেকে; আমরা ভাবছি স্যারের রাগ বোধহয় তখনও শান্তি হয় নি।  আবারও বুঝি মারবেন! ভয়ে, অরিন্দম তখন ঠক ঠক করে কাঁপতে শুরু করেছেমুখে কারও টুঁ শব্দটি ও নেই। সে এক আশ্চর্য স্তব্ধতা ক্লাস জুড়ে; হঠাৎ মেঘের বজ্রপাতের মত, সে দুঃসহ নীরবতা ভাঙলেন স্যার নিজেই; হাউ হাউ করে কেঁদে উঠলেন স্যার, অরিন্দমকে বুকে জড়িয়ে। আমরা দেখলাম, অরিন্দমের নাক চোখের জল - অবাধ আশ্লেষে লেপটে যাচ্ছে স্যারের পাঞ্জাবির বুকে, আর স্যার অরিন্দমের পিঠে ক্রমাগত তাঁর স্নেহের হাত বুলিয়ে চলেছেন। দেখে আমাদের চোখেও জল এসে গিয়েছিল। সত্যিই এই দৃশ্য কখনোই ভুলতে পারবো না।
আসলে সরি বলাটা খুবই পানসে, আবেগহীন শুকনো জমির বুকে কেতাবী এক বাচন শৈলী ছাড়া কিছু নয়।     

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...