সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অযোধ্যার রামজন্মভুমি মন্দিরের রাম মূর্তি গড়লেন দুই মুসলিম ভাস্কর!

  ২০২৩ শেষ হয়ে ২০২৪ শুরু হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। ২০২৪ এর শুরুতেই রামজন্মভুমি, অযোধ্যায় নব নির্মিত রাম মন্দিরে রাম লালার মূর্তি স্থাপিত হওয়ার কথা। ২০২৪ এর ২২ শে জানুয়ারির পুণ্য তিথিতে নতুন রাম মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার দিন ক্ষণ পূর্ব নির্ধারিত। উক্ত অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে সাধু সন্তদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীও।   রাম মন্দিরের পুণ্য বেদীতে পরম পুরুষ শ্রী রামের মূর্তি প্রতিষ্ঠার এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য এক একজনের কাছে এক একরকম। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা যেমন এই অনুষ্ঠানের ফসল আসন্ন লোক সভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কোন দল কতটা তুলতে পারবে তার চুল চেরা বিশ্লেষণ নিয়ে ব্যস্ত। সমাজতাত্ত্বিকরা তেমনি দুই প্রধান সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সামাজিক বন্ধনের প্রশ্নে এর কি প্রভাব পড়তে পারে তার ভাবনা ভাবতে পরিশ্রম করে চলেছেন দিন রাত। কিন্তু এই অনুষ্ঠানের সকল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু যিনি, সেই ভগবান রামের ইচ্ছা কি সেটার বিচার বোধহয় কেউ করছেন না। সনাতন ধর্মানুসারে, ভগবান তাঁর নিজের মূর্তি নিজেই গড়ে নেন। তিনি কি রূপে ভক্তদের সামনে হাজির হতে চান, সেটা তাঁর এক...

রবীন্দ্রনাথ এবং কাদম্বরীর সম্পর্ক ও কিছু অচেনা প্রশ্ন!

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর থেকে দু বছরের বড় কাদম্বরী দেবী, সম্পর্কে দুজন দেওর ও বৌদি। দেওর ও বৌদির সম্পর্ক অম্লমধুর হবে, সেটাই স্বাভাবিক;  বিশেষ করে দুজনে যদি কাছাকাছি বয়সের হয়। কিন্তু এইভাবে বললে, সম্পর্কের বাকি রঙ গুলো যেন অনাবৃত হতে পারে না। বিশেষ করে সেই সম্পর্কের রচয়িতাদের মধ্যে একজন যদি হন রবীন্দ্রনাথের মত কবি, এবং অন্য জন সেই কবি মানসকে দিনের পর দিন ধরে মায়ের শাসন, প্রেমিকার আদর দিয়ে আগলে রাখার নেপথ্য কারিগর, তাহলে ব্যাপারটা আর একরঙা থাকে না। রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরীর ষোল বছরের এই সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়েছে অনেক, লেখা হয়েছে তার থেকেও বেশি। তবু এই সম্পর্কের ষোড়শীকে নিয়ে আগ্রহের যেন শেষ নেই। এর পেছনে অবশ্য সঙ্গত কারণও রয়েছে যথেষ্ট।   একটু ফিরে দেখা যাক। শুরুতেই কাদম্বরীর জীবনে এক অদ্ভুত সমাপতন ঘটতে দেখা যায়। সেটা হল তাঁর জন্মদিনের তারিখ আর বিয়ের তারিখ দুটো এক হয়ে যাওয়া। এটা কি কিছু অলক্ষণের ইঙ্গিতবাহী ছিল? ঠাকুর বাড়ির বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায় থাকতেন ঠাকুরদেরই দেওয়া ছোট মত একটা কোঠা বাড়িতে, যেটা ছিল বার বণিতাদের পাড়া বলে কুখ্যাত হাড় কাটা গলির মধ্যে।   বাবা জগন্মোহন...

কুভেম্পু পুরষ্কারঃ শীর্ষেন্দুর মুকুটে নতুন পালক!

২০২৩ সালের কুভেম্পু পুরস্কার পাচ্ছেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। এই প্রথম কোনো বাঙালী সাহিত্যিক এই পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন। কন্নড় ভাষার বিশিষ্ট কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক তথা গ্রন্থ সমালোচক কুভেম্পুর নামাঙ্কিত এই পুরষ্কার, রাষ্ট্রীয় স্তরে বিভিন্ন সাহিত্যিকদের তাঁদের সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দিয়ে আসা হচ্ছে গত দশ বছর ধরে। গতবছর, ২০২২ এ যেমন বিখ্যাত তামিল লেখক ইমায়াম পেয়েছেন এই পুরষ্কার। কুভেম্পু আসলে লেখকের ছদ্মনাম। আসল নাম, কুপ্পালি ভেঙ্কটপ্পা পুট্টপ্পা (২৯ শে ডিসেম্বর, ১৯০৪ – ১১ই নভেম্বর, ১৯৯৪)। প্রসঙ্গত, বাংলায় কুভেম্পু কথার অর্থ শীতল। কুভেম্পু তাঁর দুই পর্বের মহাকাব্য ‘রামায়নম দর্শনম’ এর জন্যে ১৯৬৭ সালে জ্ঞানপীঠ পুরষ্কারে ভূষিত হন। কন্নড় ভাষায় তিনিই ছিলেন প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরষ্কার বিজেতা। এছাড়াও, তিনি সাহিত্য অ্যাকাডেমি (১৯৫৫), পদ্মভূষণ (১৯৫৮), পদ্মবিভূষণ (১৯৮৮) এবং কর্ণাটক রত্নের মত (১৯৯২) জাতীয় ও প্রাদেশিক স্তরের নানা পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন তাঁর দীর্ঘ লেখক জীবনের বিভিন্ন সময়ে। কর্ণাটক সরকার, ১৯৬৪ তে কুভেম্পুকে ‘জাতীয় কবি’র উপাধি প্রদান করেন। ১৯...

সুনীলের প্রথম চুম্বন কোনো রক্ত মাংসের শরীরকে নয়!

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর জীবনের প্রথম চুম্বন কাকে করেছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তর শিরোনামের ইঙ্গিতে যেটুকু পরিষ্কার হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে তাঁর প্রথম চুম্বনটা কোনো মানব বা মানবীর শরীরকে জড়িয়ে ছিল না। তবে সে চুম্বন হাওয়ায় ওড়ানো কোনো ফ্লাইং কিশও ছিল না। ছিল না কোনো মনুষ্যেতর প্রাণীকে আদর করেও।  অথবা কোনো উদ্ভিদ বা ফুল-পাতা বা সোনা দানাকেও ভালোবেসে জীবনের প্রথম চুমুটা  দিয়েছিলেন বলেও কিন্তু চালিয়ে দেওয়া যাবে না।  তাহলে প্রশ্ন, কাকে?  এ ক্ষেত্রে রহস্যটা আরো একটু জিইয়ে রেখে যেটা যোগ করতে চাই সেটা হল, সুনীলের এই প্রথম চুমু কিন্তু মোটেই প্লেটোনিক ছিল না। বরং যৌনতার  আবেদনে ভরা বেশ রগরগেই ছিল বলা যায়।  পাঠক মনে করতে পারেন, এত ভণিতা না করে বলে দিলেই তো হয়। কিন্তু কে না জানে, সবুরের ফল সর্বদা মিষ্টিই হয়।    তাই কৌতূহল নিরসনের পূর্বে আমাদের রোমান কবি ওভিডের বিখ্যাত কাব্য-রচনা ‘মেটামরফোসেস’ এর গল্প নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা সেরে নেওয়া জরুরী। কাহিনীর মূল চরিত্র একজন ভাস্কর, যার নাম ছিল পিগম্যালিয়ন। পিগম্যালিয়ন হাতির দাঁত দিয়ে একটি সুন্দর দেখতে নারীর মূর্তি তৈরি করেন এবং...

চলচ্চিত্র পরিচালক, রবীন্দ্রনাথের মন্দ ভাগ্য!

  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সিনেমার সম্পর্ক সেই ১৮৯৬ সালে বায়স্কোপ আসার সময় থেকে। যার শুভ পরিনয় হয় ৩৬ বছর পর ১৯৩২ সালে, ‘নটীর পূজা’ নামক চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে।   সেই ছবিতে  রবীন্দ্রনাথ অভিনয়ও করেছিলেন। কিন্তু এই বিষয়ে বিস্তারিত যাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কবি রবীন্দ্রনাথের চিত্র পরিচালক হয়ে ওঠার রোমাঞ্চকর যাত্রাপথটা কেমন ছিল। ১৯১৩ সালে, নোবেল প্রাপ্তির পরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ক্যামেরার সম্পর্ক নিবিড় হয়ে উঠেছিল এবং সবসময়ের জন্য যে তিনি ক্যামেরার নজরে থাকতে শুরু করেছিলেন এটা কারোর অজানা নয়। কিন্তু তারও আগে, ১৯০৫ সালে অর্থাৎ বঙ্গ ভঙ্গ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনের বছরেই, রবীন্দ্রনাথকে ক্যামেরাবন্দী করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, এ কথা অনেকেরই অজানা। দিনটি ছিল ১৬ই অক্টোবর, ১৯০৫। বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। ওই দিন বাংলার নব্য শিক্ষিত সমাজ এক সাধারন হরতালের ডাক দিয়েছিল। যার স্বপক্ষে কোলকাতার রাস্তায় সেদিন যে মহামিছিল আয়োজিত হয়েছিল, তাতে সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও। গাওয়া হয়েছি...