সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

চলচ্চিত্র পরিচালক, রবীন্দ্রনাথের মন্দ ভাগ্য!

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সিনেমার সম্পর্ক সেই ১৮৯৬ সালে বায়স্কোপ আসার সময় থেকে। যার শুভ পরিনয় হয় ৩৬ বছর পর ১৯৩২ সালে, ‘নটীর পূজা’ নামক চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে।  সেই ছবিতে  রবীন্দ্রনাথ অভিনয়ও করেছিলেন। কিন্তু এই বিষয়ে বিস্তারিত যাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কবি রবীন্দ্রনাথের চিত্র পরিচালক হয়ে ওঠার রোমাঞ্চকর যাত্রাপথটা কেমন ছিল।

১৯১৩ সালে, নোবেল প্রাপ্তির পরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ক্যামেরার সম্পর্ক নিবিড় হয়ে উঠেছিল এবং সবসময়ের জন্য যে তিনি ক্যামেরার নজরে থাকতে শুরু করেছিলেন এটা কারোর অজানা নয়। কিন্তু তারও আগে, ১৯০৫ সালে অর্থাৎ বঙ্গ ভঙ্গ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনের বছরেই, রবীন্দ্রনাথকে ক্যামেরাবন্দী করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, এ কথা অনেকেরই অজানা।
দিনটি ছিল ১৬ই অক্টোবর, ১৯০৫। বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। ওই দিন বাংলার নব্য শিক্ষিত সমাজ এক সাধারন হরতালের ডাক দিয়েছিল। যার স্বপক্ষে কোলকাতার রাস্তায় সেদিন যে মহামিছিল আয়োজিত হয়েছিল, তাতে সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও। গাওয়া হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথের লেখা দেশাত্মবোধক গান। রবীন্দ্রনাথ সহ সেদিনকার সেই র‍্যালির ছবি ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন, হিরালাল সেন। হিরালাল নির্মিত ‘The Story of Real Patriotism’ নামক তধ্যচিত্রের মুল বিষয় ছিল বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধী ওই র‍্যালির উপর ভিত্তি করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য ওই তথ্যচিত্রের এখন আর কোনো হদিস পাওয়া যায় না।
তারপরে এল ১৯১৭ সাল। শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণে অভিনীত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য।  রবীন্দ্রনাথ নিজেও অভিনয় করছিলেন ওই নৃত্যনাট্যে। নিতীন বোসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুরো নৃত্যনাট্যকে ক্যামেরাবন্দি করার জন্যে। পরে নিতীন বোস রবীন্দ্রনাথকে সেই ভিডিওটি দেখালে রবীন্দ্রনাথ শিশুর মত আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েন এবং ফিরে ফিরে সেটি দেখতে চান।  এর থেকে প্রমান হয়, রবীন্দ্রনাথ কতটা দুর্বল ছিলেন চলচ্চিত্রের প্রতি।
১৯২০ তে মদন থিয়েটার কোম্পানির পক্ষ থেকে ধিরেন গঙ্গোপাধ্যায় যখন রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক ‘বিসর্জন’ কে নিয়ে সিনেমা বানাবার প্রস্তাব দেন, রবীন্দ্রনাথ একবাক্যে অনুমতি দিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, রবি ঠাকুর এর জন্য কোনো পয়সা না নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।  কিন্তু তখন নারী চরিত্রে অভিনয় করার কাউকে না পাওয়ার কারণে, সেই ছবি বাস্তবায়িত হয় নি।
১৯২৩ সালে নরেশ মিত্র, রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প ‘মানভঞ্জন’ কে নিয়ে একই নামে একটা ছবি বানান, তাতে রবীন্দ্রনাথকে দেখা যায় ছবির শুরুতে ভূমিকা করতে। ‘মানভঞ্জন’ এর আবার রিমেক তৈরি করা হয় ১৯৩০ সালে। মধু বোসের পরিচালনায়। রবীন্দ্রনাথই সেই ছবির নাম বদলে গল্পের মূল নারী চরিত্র গিরিবালার নামে ছবির নতুন নামকরণ করেন 'গিরিবালা'। শুধু তাই নয়, ছবির প্রথম শো দেখতে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন সিনেমা হলে। এটা থেকে বোঝা যায় সিনেমার প্রতি রবীন্দ্রনাথের আকর্ষণ কতটা তীব্র ছিল।
শুধু গল্প নয়, রবীন্দ্রনাথ তাঁর লেখা গান, কবিতাকেও সিনেমায় ব্যবহার করতে দিয়েছেন অবলীলায়। প্রমথেশ বড়ুয়ার ছবি ‘মুক্তি’ তে আবহ সঙ্গীত হিসেবে তাঁর লেখা কবিতা ‘দিনের শেষে, ঘুমের দেশে’ কে পঙ্কজ মল্লিক যখন ব্যাবহার করার আর্জি নিয়ে এলেন, রবীন্দ্রনাথ সহর্ষে রাজি হয়ে গেলেন। পঙ্কজ মল্লিকের গাওয়া এই গান শুনে রবীন্দ্রনাথ যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন বলে শোনা যায়। শুধু ‘মুক্তি’ নয়, এর পরে রবীন্দ্রনাথেরই কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘গোরা’য় কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীত পরিচালনায় তাঁর লেখা গানের ব্যবহারে তাঁর কোনোরকমের আপত্তি ছিল না।
নির্বাক থেকে সিনেমা সবাক হলে ইংরেজিতে টকিস নামটি বহুল প্রচলিত হয়। কিন্তু বাংলায় ছিল না কোনো যুতসই নাম। সে ক্ষেত্রেও সেই রবীন্দ্রনাথকেই নামতে হয়েছিল মাঠে। ইষ্ট বেঙ্গল সিনেমা সোসাইটির অনুরোধে, রবীন্দ্রনাথ সিনেমার বাংলা নাম দিয়েছিলেন, ‘রূপবানী’। যা আজ ইতিহাস।
অনেকেই জানেন না, রবীন্দ্রনাথ তাঁর জার্মান সফর কালে বার্লিনের UFA স্টুডিওর কর্ণধারের কাছ থেকে পেয়েছিলেন স্ক্রিপ্ট লেখার বিশেষ আমন্ত্রন। সেটা ১৯৩০ সালের কথা।  রবীন্দ্রনাথ লিখেওছিলেন ‘The Child’ নামের একটা চিত্রনাট্য। কিন্তু সেই সময়কার বিশ্ব রাজনীতির পরিস্থিতি খুব একটা ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল না।  যার জন্যে সেই স্টুডিও পরবর্তী কালে তাদের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসে এবং সেই ছবি কোনোদিনই আর দিনের আলো দেখতে পায় না।
এর পরে, রবীন্দ্রনাথ তাঁর রাশিয়া সফরকালে সারজি আইনস্টাইনের ছবি ‘Battleship of Potemkin’    দেখেন এবং দেখার পর এতটাই প্রভাবিত হন যে তিনি মানবজাতির ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে আরও একটা ছবি বানানোর কথাও ভাবেন তিনি। যার জন্যে তিনি হলিউড চিত্র পরিচালক Alexander Corda র সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু তাও কোনো কারণে ফলপ্রসূ হয় না। এটা শুধু রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে নয়, সমগ্র ভারতীয় সিনেমার জন্যই চির আক্ষেপের বিষয় হয়ে থাকবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কপালে চিত্র পরিচালক হওয়ার যোগ ছিলই। তা ব্যর্থ হয় কি করে। তাঁরই লেখা দীর্ঘ কবিতা ‘পুজারিনী’ কে তিনি নাট্য রূপ দেন তাঁরই পুত্রবধূ প্রতিমা দেবীর অনুরোধে ১৯২৭ সালে। নাটকের নাম হয় ‘নটীর পূজা’।  প্রতিমা দেবী, কবির ৭০ তম জন্মদিনে সেই নাটক মঞ্চস্থ করতে চেয়েছিলেন। ছিল মূল চরিত্রে অভিনয় করার সুপ্ত ইচ্ছাও। প্রথম ‘নটীর পূজা’ জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে মঞ্চস্থ হয়। এবং তারপরে নিউ এম্পায়ার সিনেমায় কবির ৭০ তম জন্ম দিনের দিন দ্বিতীয়বারের জন্য মঞ্চস্থ হয় নাটকটি। নিউ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা-মালিক বি এন সরকার এই নাটক দেখে এতটাই আপ্লূত হন যে তিনি এটিকে চলচ্চিত্রায়িত করার ব্যাপারে তৎক্ষণাৎ মনস্থির করে ফেলেন। এবং তারপরে তিনি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকে এই ছবি পরিচালনার জন্য দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করলে রবীন্দ্রনাথও হ্যাঁ করে দেন। নিতীন বোস ছিলেন ক্যামেরায় এবং সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন সুবোধ মিত্র। রবীন্দ্রনাথ নিজে অভিনয় করেছিলেন এই ছবিতে। শান্তিনিকেতনে সেই দৃশ্যের চিত্রগ্রহন হয়েছিল। ১৯৩২ সালের ১৪ই মার্চ ‘নটীর পূজা’ মুক্তি পায়। চিত্রা টকিজে, ছবি মুক্তির দিন কবিকে চোখের দেখা দেখতে কোলকাতা শহরের লোক চিত্রা টকিজে একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।  
কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে দুর্ভাগ্য যেন কিছুতেই রবীন্দ্রনাথের সাথ ছাড়তে চায় না।
নিউ থিয়েটারে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তাই পুড়ে ছাই হয়ে যায় রবীন্দ্রনাথ পরিচালিত প্রথম ও শেষ ছায়াছবি ‘নটীর পূজা’ র ১০, ৫৭৭ ফুট দীর্ঘ চলচ্চিত্র ফুটেজ। 



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...