ধরা যাক প্রেরণা নামের একটি মেয়ে সে সৃজন বলে একটি ছেলেকে ভালোবাসে। সৃজণের কাছে প্রেরণা যদি হয় তার যাবতীয় সৃষ্টির উদ্দীপনা তবে প্রেরণার কাছে সৃজণ ও তার উদ্দীপনার অহংকার। ব্যাপারটা আরো একটু খোলসা করে বললে সৃজণ আর প্রেরণার সঙ্গে যথাক্রমে ফুল আর তার শোভার সঙ্গে তুলনা করলে চলে। যে ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমরা বিমোহিত হই, সেই শোভা আসলে গাছের অনুপ্রেরণা যা তাকে ফুল ফোটানোর প্রণোদনা দেয়। সৃজণ যদি মূর্ত হয়, প্রেরণা তবে তার নেপথ্যে থাকা বিমূর্ত ভাবনা। সৃজণ যদি সৌন্দর্য হয়, তবে প্রেরণা সেই সৌন্দর্যের চেতনা। এই প্রেরণারা আবার এই পার্থিব জগতের ই যত ভালোলাগা - খারাপ লাগা, সুখ- দুঃখ, প্রেম - ঘৃনা, প্রাপ্তি - বঞ্চনা, আশা - হতাশা, প্রশংসা - নিন্দার হাত ধরে সৃজণের সামনে এসে উপস্থিত হয়। গভীর ঈশারায় কখনো তাকে আকৃষ্ট করে চাঁদের পানে উছলে ওঠা জোয়ারের মতো, কখনো বা গভীর খোঁচায় করে আহত, গোপন গোপনে ঝরায় রক্ত। সৃজণই বা চুপ করে থাকে কি করে। সে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে এর জবাব দেয়। তাই কখনো সে তুলে নেয় কলম, কখনো রং বা তুলি। প্রেরণার পরাগ নিয়ে কখনো সে ফোটায় ফুল, কখনো প্রেরণার কালি নিয়ে রচনা করে অপ...