সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সৃজনের অবসাদ নিয়ে দুচার কথা!

  ধরা যাক প্রেরণা নামের একটি মেয়ে সে সৃজন বলে একটি ছেলেকে ভালোবাসে। সৃজণের কাছে প্রেরণা যদি হয় তার যাবতীয় সৃষ্টির উদ্দীপনা তবে প্রেরণার কাছে সৃজণ ও তার উদ্দীপনার অহংকার। ব্যাপারটা আরো একটু খোলসা করে বললে সৃজণ আর প্রেরণার সঙ্গে যথাক্রমে ফুল আর তার শোভার সঙ্গে তুলনা করলে চলে। যে ফুলের সৌন্দর্য দেখে আমরা বিমোহিত হই, সেই শোভা আসলে গাছের অনুপ্রেরণা যা তাকে ফুল ফোটানোর প্রণোদনা দেয়। সৃজণ যদি মূর্ত হয়, প্রেরণা তবে তার নেপথ্যে থাকা বিমূর্ত ভাবনা। সৃজণ যদি সৌন্দর্য হয়, তবে প্রেরণা সেই সৌন্দর্যের চেতনা। এই প্রেরণারা আবার এই পার্থিব জগতের ই যত ভালোলাগা - খারাপ লাগা, সুখ- দুঃখ, প্রেম - ঘৃনা, প্রাপ্তি - বঞ্চনা, আশা - হতাশা, প্রশংসা - নিন্দার হাত ধরে সৃজণের সামনে এসে উপস্থিত হয়‌। গভীর ঈশারায় কখনো তাকে আকৃষ্ট করে চাঁদের পানে উছলে ওঠা জোয়ারের মতো, কখনো বা গভীর খোঁচায় করে আহত, গোপন গোপনে ঝরায় রক্ত। সৃজণই বা চুপ করে থাকে কি করে। সে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে এর জবাব দেয়। তাই কখনো সে তুলে নেয় কলম, কখনো রং বা তুলি। প্রেরণার পরাগ নিয়ে কখনো সে ফোটায় ফুল, কখনো প্রেরণার কালি নিয়ে রচনা করে অপ...

মিশন মঙ্গলঃ কল্পবিজ্ঞানের ভরা বাজার!

  ১৬১০ সালেই গ্যালিলিও তাঁর দূরবীনে চোখ রেখে বৃহস্পতি গ্রহের চারটি উপগ্রহকে দেখতে পান। আর তার পরেই শুরু হয় চর্চা - বৃহস্পতির চারটে উপগ্রহ থাকলে মঙ্গলের উপগ্রহ সংখ্যা কটি? একটি না দুটি? কারণ পৃথিবীর একটি উপগ্রহ থাকার কথা তখন জানা হয়ে গেছে। এই নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান অথবা অনুমান নির্ভর (কল্পনা!) জ্যোতির্বিজ্ঞান যাই বলি না কেন, যাবতীয় লেখালেখি আবর্তিত হতে থাকে মঙ্গলের উপগ্রহ  সংখ্যাকে ঘিরেই । এর মধ্যে ১৬৫৫ সালে শনি গ্রহের একটি উপগ্রহ – টাইটান আবিষ্কৃত হয় এবং এর ৩০ বছর পরে বাকি আরও চারটে উপগ্রহ ধরা পড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের চোখে। কিন্তু মঙ্গল কে নিয়ে তখনও রহস্য থেকে যায় অধরাই।  ১৭২৬ এ জনাথন সুইফট ‘গুলিভার’স ট্রাভেল’ নামক একটি বই লেখেন যেখানে তিনি দাবী করেন লাপুটার অধিবাসীদের দ্বারা মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ আবিষ্কৃত হওয়ার কথা। পরে  সত্যি সত্যিই  মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ -  ফোবস এবং ডেইমোস এর কথা প্রমানিত হয় বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণে।  কিন্তু  ১৭৪৪ এ জার্মান জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ান কিন্দারম্যান মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ থাকার কথা নস্যাৎ করে একটি বই লেখেন, সেখানে তিনি মঙ্গলের এ...

বিজ্ঞাপন লেখকের সংশয় সত্যি হোল, সমরেশের জীবনে!

  দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল অবশেষে ‘দেশ’ এর পাতায় ফুটে উঠল ‘ রৌদ্রদগ্ধ দীর্ঘ বেলার একদিন’ হয়ে । বাংলা সাহিত্যের প্রথম জীবনীমূলক উপন্যাস ‘দেখি নাই ফিরে’ র প্রথম কিস্তি এই উপশিরোনামেই পৌঁছল পাঠকের দরবারে। শিল্পী রামকিঙ্কর বেজের সাথে কবি গুরুর প্রথম সাক্ষাতের গল্প দিয়ে শুরু হোল সমরেশ বসু  রচিত ধ্রুব উপন্যাস ‘দেখি নাই ফিরে’। এখানে ধ্রুপদী’র পরিবর্তে ধ্রুব শব্দটি ব্যবহারের কারণ হিসেবে কিছু কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলা সাহিত্যে ধ্রুপদী অর্থাৎ ক্লাসিক উপন্যাস অনেক লেখা হয়েছে এবং আগামী দিনে আরো লেখা হবে। কিন্তু ‘ধ্রুব’ অর্থাৎ এক এবং একমাত্র উপন্যাস হিসেবে ‘দেখি নাই ফিরে’ কে প্রথম চিহ্নিত করেছিলেন আর কেউ নন, বাংলা সাহিত্য পত্রিকার সর্বকালের অন্যতম সেরা সম্পাদক,  সাগরময় ঘোষ। প্রায় দুশোর মতো ছোট গল্প এবং একশোর কাছাকাছি উপন্যাস লেখার সফল কারিগর সমরেশ বসু নিজেও যেন সর্বস্ব পণ করেছিলেন এই উপন্যাস লিখতে। যার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাক্ষী ছিলেন, সম্পাদক সাগরময় ঘোষ।   ১৯৮৭ সালের ৩রা জানুয়ারী, ‘দেশ’ এর সাপ্তাহিক সংখ্যায় ‘দেখি নাই ফিরে’র প্রথম পর্ব বেরোতেই সাড়া পড়ে...

ভাবনার বিরাম, কলমের ছুটি!

ভাবনার বিরাম, কলমের ছুটি! আসলে ভাঁড়ারে যখন টান পড়ে তখন সধবারও একাদশী করতে ইচ্ছা হয়। এটা অনেকটা সেইরকমই। কলমে টান পড়েছে। আর ভাবনা গুলো দিব্যি এদিক ওদিক চরে বেড়াচ্ছে আশ্বিনের আকাশে উড়ে বেড়ানো মেঘের মতো। হয়তো সব গুলো একসাথে হলে একটা পাহাড় হতে পারতো, হতে পারতো কোনো মন্দির বা মসজিদের চূড়া বা কোনো তুষারাবৃত উপত্যকা। অন্তত শ্রাবণের মেঘ হতে পারতো পুরো আকাশ ছেয়ে আসা। তারপরে ঝমঝমে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে পারতো কলমের সূচীমুখ দিয়ে। আসলে ভাবনা গুলো ভীষণ স্বাভিমানী। হাজার সুখেও, কলমের মজুরির দায় সে নেবে না যে। আবার জোর করে তাকে বাধ্য করানোর মধ্যে একধরনের দেমাকী ধর্ষকাম কাজ করে বটে কিন্তু তাতে সৃষ্টি সুখের সম্ভোগ থাকে না। প্রাণহীন শরীরের সাথে সহবাস করার মতো, দিনগত পাপক্ষয় ছাড়া তাকে আর কিই বা বলা যায়। আসলে সৃষ্টি কোনো বেসাতি করার পন্য নয়। আর ভাবনা কে যারা সৃষ্টির কাঁচামাল ভাবে তারা হয়তো বিদ্বান বা বড় পন্ডিত কিন্তু সৃজনশীল মননের সঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধির মানসিকতার একটি মূলগত তফাৎ আছে। সে যাই হোক, মনের এই ভাবনাটা কে এখানে আজ যতটুকু শেয়ার করতে পারলাম, সবই ভাবনা ভাবার খেয়ালে। এই খেয়াল আবার ...

মিশন মঙ্গলঃ সূচনা লগ্নে প্লেগের দেবতা!

লক্ষ, মঙ্গল। আর এই লক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন সময়ে পাড়ি জমিয়েছে মঙ্গলের পথে। কিন্তু ভারতবর্ষই একমাত্র দেশ যে কিনা সাফল্যের মুখ দেখেছে তার প্রথম প্রয়াসেই।  বাকি দেশ গুলি যাদের মধ্যে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জাপান, চিন মায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত সকলেই কিন্তু সাফল্য পেয়েছে বেশ কয়েক বার চেষ্টা করার পরে। কিন্তু সে সাফল্য - ব্যর্থতার কথায় একটু পরে আসছি। তার আগে জেনে নেওয়া যাক ভারতবর্ষের লাল গ্রহ অভিযানের শুভ সূচনা হয় কবে। তারিখটা ছিল ৫ই নভেম্বর, ২০১৩ সাল। লক্ষ ছিল মঙ্গলের কক্ষ পথে অবতরণ করা।  কিন্তু তার জন্য সময় লাগে প্রায় এক বছর। ২০১৪ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর ছিল সেই দিন, যে দিন মার্স অরবিটে সফল ভাবে অবতরণ করে ভারতীয় মঙ্গলযান Polar Satellite Launch Vehicle – XL, সংক্ষেপে PSLV – XL.  ২০২২ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, PSLV –XL এর সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’র যোগাযোগ ছিল অটুট। সম্প্রতি চাঁদের বুকে সফল অবতরণ করেছে ভারতীয় চন্দ্র যান – ৩. ২০২৩ এর ২৩ শে আগস্ট, চাঁদের মাটি ছোঁয় ল্যান্ডার বিক্রম এবং তার অব্যবহিত পরে রোভার প্রজ্ঞান। ইতিমধ্যে ২০২১ ...