আসলে ভাঁড়ারে যখন টান পড়ে তখন সধবারও একাদশী করতে ইচ্ছা হয়। এটা অনেকটা সেইরকমই। কলমে টান পড়েছে। আর ভাবনা গুলো দিব্যি এদিক ওদিক চরে বেড়াচ্ছে আশ্বিনের আকাশে উড়ে বেড়ানো মেঘের মতো। হয়তো সব গুলো একসাথে হলে একটা পাহাড় হতে পারতো, হতে পারতো কোনো মন্দির বা মসজিদের চূড়া বা কোনো তুষারাবৃত উপত্যকা। অন্তত শ্রাবণের মেঘ হতে পারতো পুরো আকাশ ছেয়ে আসা। তারপরে ঝমঝমে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে পারতো কলমের সূচীমুখ দিয়ে।
আসলে ভাবনা গুলো ভীষণ স্বাভিমানী। হাজার সুখেও, কলমের মজুরির দায় সে নেবে না যে। আবার জোর করে তাকে বাধ্য করানোর মধ্যে একধরনের দেমাকী ধর্ষকাম কাজ করে বটে কিন্তু তাতে সৃষ্টি সুখের সম্ভোগ থাকে না। প্রাণহীন শরীরের সাথে সহবাস করার মতো, দিনগত পাপক্ষয় ছাড়া তাকে আর কিই বা বলা যায়। আসলে সৃষ্টি কোনো বেসাতি করার পন্য নয়। আর ভাবনা কে যারা সৃষ্টির কাঁচামাল ভাবে তারা হয়তো বিদ্বান বা বড় পন্ডিত কিন্তু সৃজনশীল মননের সঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধির মানসিকতার একটি মূলগত তফাৎ আছে।
সে যাই হোক, মনের এই ভাবনাটা কে এখানে আজ যতটুকু শেয়ার করতে পারলাম, সবই ভাবনা ভাবার খেয়ালে। এই খেয়াল আবার গন্ধরাজের সুবাস বয়ে নিয়ে আসা হাওয়ার মতো, কখন আসে, কখন হারিয়ে যায় কেউ জানে না। আমি শুধু এই খেয়ালেরই খেয়াল রাখি। কারণ ভাবনা যদি কারোর দাসত্ব করে সে একমাত্র ওই খেয়ালের। কিন্তু খেয়াল? সেই বা কবে আসবে ভাবনার খরা কাটাতে, উন্মত্ত কালবৈশাখী ঝড় হয়ে কখন আসবে, তপ্ত চৈত্রের বন্ধ্যা স্থবিরতা কাটাতে?
সেই খেয়াল আসার আশাতেই বসে আছি, সব হারানো ভিখারীর মতো। দেখি কি হয়!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন