সাহিত্যিক সমরেশ বসু , শিল্পী রামকিঙ্কর বেজের জীবন আয়নায় দেখতে চেয়েছিলেন নিজের জীবনকে । নিজের জীবনের পাওয়া আঘাত গুলোকে রামকিঙ্করের জীবনের আঘাত গুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। কারণ সমরেশ বসু আর রামকিঙ্কর বেজ দুজনেরই প্রাথমিক জীবন ছিল দারিদ্র্য ক্লিষ্ট। দুজনেই ছিলেন ‘ মধ্যবিত্ত ভণ্ডামি ’ র কাছে অসহায় যদিও জীবন যুদ্ধে তাঁরা কেউই পলাতক সৈন্য ছিলেন না । স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল এই দুজনের জীবনেই বিতর্কের ঢেউ বয়ে যেত কারণে অকারণে । তাই কি ‘ দেশ ’ সম্পাদক সাগরময় ঘোষের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর না করেননি সমরেশ বসু ? এ কথা ঠিক জহুরী সাগরময় ঘোষও জহর চিনতে ভুল করেননি। সঠিক ভাবেই তিনি চিনেছেলেন সমরেশের অবচেতনের মধ্যে বসে থাকা আহত রামকিঙ্করকে । তাই দেশিকোত্তম পুরস্কারে ভূষিত ভাস্কর তথা চিত্রশিল্পী রামকিঙ্করের জীবনের ওপর উপন্যাস লেখার প্রশ্নে সমরেশ কেই তিনি রেখেছিলেন তাঁর বিবেচনার শীর্ষে । সমরেশ বসু তারপরে দীর্ঘ দশ বছর লাগিয়ে দেন , শিল্পী রামকিঙ্কর কে পুরোপুরি আবিষ্কার করতে । এখানে একটু বলে নেওয়া ভালো যখন সমরেশ লেখা শুরু করার ব্যাপারে মনস্থির করেছেন তখন...