সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নবাব - কৃষ্ণচন্দ্র বিরোধ ও কৃষ্ণচন্দ্রের হিন্দু পোস্টার বয় হয়ে ওঠা নিয়ে বিতর্ক!

 রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে বাংলার নবাবের বিরোধের কথা সর্বজনবিদিত। ১৭৫৪ সালে মুর্শিদাবাদের নবাব আলিবর্দি খাঁয়ের হাতে এমনকি বন্দী পর্যন্ত হতে হয়েছিল রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে, যা নবাব এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের মধ্যেকার তিক্ত সম্পর্কের কথাই স্পষ্ট করে ঘটনাচক্রে সেবার কৃষ্ণচন্দ্র, মুর্শিদাবাদ থেকে নবাবের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে কৃষ্ণনগরে ফিরছিলেন জলপথে, বজরা থেকেই শারদীয় দুর্গাপূজার বিসর্জনী কাঁসর ঘণ্টা ও ঢাকের ধ্বনি শুনতে পান তিনি এবং সেবারের মতো দুর্গা পুজায় অংশগ্রহণ না করতে পারার মনোবেদনায় ভীষণ কাতর হয়ে পড়েন। তবে সেই বিজয়া দশমীর রাত্রেই এক রক্ত বর্না, চতুর্ভুজা দেবীর স্বপ্নাদেশ পান কৃষ্ণচন্দ্র। যা পেয়ে কৃষ্ণচন্দ্র পরবর্তী শুক্লা নবমীতেই দুর্গার আর এক রূপ দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজার আয়োজন করেন রাজপ্রাসাদের ঠাকুর দালানে সেই থেকে বাংলায় শুরু হয় জগতের অধীশ্বরী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। আজও কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রীর কেবল নবমী পুজোই হয়, এবং নবমী অন্তে দশমীর ভোরে জলঙ্গির জলে বিসর্জন দেওয়া হয় মাতৃমূর্তিকে।

প্রসঙ্গত রাজবাড়ির ঠাকুর দালানের প্রবেশপথে জগদ্ধাত্রী পূজা প্রচলনের এই নেপথ্য কাহিনীর কথা ছবি সহ উল্লেখ করা রয়েছে। সাধারনের জন্যে রাজবাড়ির দুর্গা মণ্ডপ কেবল মাত্র শারদীয় উৎসবের দিনগুলি, জগদ্ধাত্রী পূজার দিন এবং চৈত্র সংক্রান্তি তে আয়োজিত বারোদোল উপলক্ষে কয়েকটি দিনই খোলা থাকে।  
অন্যদিন গুলিতে রাজবাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায় না।
 এই প্রসঙ্গে বলি, ২০১২ সালের দুর্গা নবমীর দিন আমার সৌভাগ্য হয়েছিল রাজবাড়ির ঠাকুর দালান দর্শনের। রাজবাড়ির মহিমা মণ্ডিত দুর্গা প্রতিমা দেখে আমার সেদিন মনে হয়েছিল যেন স্বর্গীয় আভার বিভাস বিকিরিত হচ্ছে মূর্তির গা থেকে; প্রতিমার সামনে সাজানো পূজা উপকরণ গুলি থেকে চুইয়ে চুইয়ে পড়ছিল রাজ আভিজাত্যের ঝলক। বিশাল বিশাল পিতলের সুদৃশ্য রেকাবী গুলো ছিল ফল, ফুল, মালা সহ ষোড়শ উপাচারে ভরা। 
দীর্ঘকায় স্বর্ণ কান্ত পিলসুজে প্রজ্বলিত ছিল হলুদাভ প্রদীপ শিখার অপরূপ সজ্জা। সর্বোপরি মন্দির গাত্রের রাজকীয় ভাস্কর্য এবং দালানের কারুকার্য মণ্ডিত স্তম্ভ গুলি এক অনির্বচনীয় মুগ্ধতা তৈরি করেছিল, যার রেশ এখনো আমার স্মৃতিতে প্রবহমান।  সেবারের রাজবাড়ির দুর্গা প্রতিমা দর্শনের সবথেকে উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ যা এখনো মনে পড়লে শিহরিত হই সেটা হোল গর্ভ গৃহের সামনে শ্বেতশুভ্র চাদরে মোড়া সুশোভন আসনে বসে নিরবিচ্ছিন্ন সানাই বাদনের দৃশ্য সেই অনুপম দৃশ্যের সবথেকে বড় কন্ট্রাস্ট হোল সানাই বাদক এবং তাকে সঙ্গতকারী তবলচি উভয়েই ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের।  কিন্তু সানাইয়ের সুরে ভক্তিরসের অভাব অবশ্য অনুভূত হয় নি কোনো ভাবে।   

সেবারের কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি এবং দুর্গা প্রতিমা দর্শনের দিনটি আরও যে বিশেষ কারণে স্মরনীয় হয়ে আছে আমার কাছে সেটি হোল সেইদিনকার ভোর রাতেই বাংলার সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনাবসান হয়ে যায়। দিনটি ছিল ২০১২’র ২৩ শে অক্টোবর। নীল মৃত্যুর ছোবলে, নীললোহিত সুনীল সেদিন লীন হয়ে যান চিরকালের মত।  সেদিনকার সেই দিনের কথা আমার আগের একটি লেখাতেও আমি লিখেছি।  প্রায়শই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের তথাকথিত মুসলিম নবাব বিরোধী মনোভাবের কথা টেনে তাকে কট্টর হিন্দু আইডেন্টিটির অন্যতম আইকন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ কথা ঠিক রাজা হিসেবে কৃষ্ণচন্দ্রের বিভিন্ন সময়ে নেওয়া নানা কট্টর রক্ষণশীল মনোভাব তাঁর এমন আইডেন্টিটি গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল।  যেমন একবার বর্ধমানের বিক্রমপুরের জমিদার রাজবল্লভ সেন তাঁর বিধবা মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে কৃষ্ণচন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিলেন। সেবার কৃষ্ণচন্দ্র বর্ধমান থেকে আসা সমস্ত অতিথিদের জন্য গোমাংস আহারের ব্যবস্থা করেছিলেন। বলাই বাহুল্য কেউই সেই গোমাংস খেতে রাজি হন নি। এই সুত্র ধরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বুঝিয়েছিলেন যে হিন্দুদের পক্ষে যেমন গোমাংস খাওয়া সম্ভব নয় তেমনি তাঁর পক্ষে বিধবা বিবাহে সম্মতি জানানও একপ্রকার অসম্ভব। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে তথাকথিত হিন্দুত্ববাদের পোস্টার বয় হিসেবে তুলে ধরার প্রবনতা কিন্তু একেবারেই বিতর্ক মুক্ত নয়। তার কারণ রাজবাড়ির মন্দির প্রাঙ্গনে মুসলিম ওস্তাদের দ্বারা সানাই বাদনের ঐতিহ্য কিন্তু আজকের নয়, বহু পুরনো। সেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমল থেকে চলে আসছে এই প্রথা। এই প্রসঙ্গে বলে নেওয়া ভালো, জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবর্তন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র করলেও রাজবাড়িতে শারদীয়া দুর্গা পূজা করা শুরু করেন কিন্তু কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপিতামহ রুদ্র রায়। তখন ছিল মোঘল সম্রাট আকবরের রাজত্ব কাল।  

এখন প্রশ্ন, কৃষ্ণচন্দ্রের চালু করা যে সানাই বাদনের রীতি রাজবাড়ির দুর্গা পূজার একটি অন্যতম উপাচার হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে আজ প্রায় দুশো বছরেরও বেশী সময় ধরে, সেটাকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের তথাকথিত হিন্দুত্ববাদী ছুঁৎমার্গের সঙ্গে কোনোভাবে মেলানো যায় কি?  এখানেই শেষ নয় রাজবাড়ির প্রধান ফটকের সামনেই রয়েছে বৃহৎ, সুদৃশ্য নহবত খানা, যেখান থেকে সানাই বাদনের মাধ্যমে রাজবাড়িতে আগত অতিথিদের সম্বর্ধিত করার রেওয়াজও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমল থেকেই চালু হয়। 

প্রসঙ্গত এই প্রধান ফটকের ওপরে বা সামনে স্বতন্ত্র নহবত খানা নির্মাণের ধারনা কিন্তু দিল্লীর মোঘল শাসকদের অবদান। মোঘল সম্রাটদের রাজমহল নির্মাণের সংস্কৃতিতে নহবত খানা এক অপরিহার্য অঙ্গ ছিল। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র যে মোঘল সংস্কৃতির দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত ছিলেন সে কথা বলাই বাহুল্য। চতুর্দিকে গভীর পরিখা কাটা সুবিস্তৃত কৃষ্ণনগরের রাজপ্রাসাদের প্রধান তোরণ থেকে শুরু করে নহবত খানা এবং চার চক বলে কথিত চারটে হুবহু একই দেখতে প্রবেশ দ্বারের নির্মাণ শৈলী তেও উল্লেখযোগ্য ভাবে  ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর প্রভাব দেখা যায়। ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর আদলে নির্মিত একাধিক গম্বুজ যেমন প্রধান ফটকের মাথায়, নহবত খানার ওপরে এবং চার চকের চুড়া হিসেবে দেখা যায় তেমনি  রাজ প্রাসাদ থেকে শুরু করে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নির্মিত অন্যান্য সৌধ গুলোর নির্মাণ শৈলীর মধ্যে খিলানের আধিক্যও দেখা যায় যথেষ্ট পরিমানে। 

সম্প্রতি প্রধান ফটক এবং নহবত খানার সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  যদিও চার চক এখনও ভগ্ন অবস্থাতেই রয়েছে। অনবদ্য এই স্থাপত্য শৈলীকে সংরক্ষিত করার কাজ শুরু করতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এবং এই লক্ষে সরকারের সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ কৃষ্ণনগরের এই রাজবাড়িকে হেরিটেজ বিল্ডিং এর মর্যাদা দেওয়া। 


 প্রথম পর্ব পড়ুন -
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড় সমাচার! গোপাল ভাঁড় কি 'কাল্পনিক চরিত্র'?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...

জনগণমনঃ জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠার ইতিহাস ও কিছু প্রশ্নের উত্তর!

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ব্রহ্ম সঙ্গীত ‘ জনগণমন অধিনায়ক’ কে দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মান্যতা দেওয়ার সর্ব সম্মীলিত সিদ্ধান্ত হয় ১৯৫০ সালের ২৪ শে জানুয়ারি । কিন্তু কেন এত দেরী? দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও কেন তিন বছর সময় লেগেছিল জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন করতে? ‘ভারত বিধাতা’ শিরোনামে লেখা, স্বদেশ পর্যায় ভুক্ত (গীতবিতান অনুসারে) এই রবীন্দ্রগীতিটি কিভাবে -  দেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার পথে একটু একটু করে এগিয়ে গেল! ‘জনগনমন’র জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠার নেপথ্য কাহিনীই আজ আমরা ফিরে দেখবো এই প্রবন্ধে।  ১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট - দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরে অবশেষে দেশবাসীর ভাগ্যাকাশে এসে উপস্থিত হোল বহু আকাঙ্খিত সেই দিনটি। উদিত হোল স্বাধীনতার নতুন সূর্যের।   স্বাধীন হোল দেশ। কিন্তু সদ্য ব্রিটিশ অধীনতা মুক্ত দুটি দেশ ভারত এবং পাকিস্থান তখনও পায় নি স্বতন্ত্র সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা। ১৯৪৭ এর ১৮ই জুলাই তারিখে লাগু হওয়া ভারতীয় স্বাধীনতা আইন অনুসারে নিজ নিজ সংবিধান প্রণয়নের আগে পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্থান এই দুটি ভূখণ্ড কমনওয়েলথ দেশের অধীনস্থ দুটি অধিরাজ্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারা...