রবীন্দ্রনাথ যে সুদর্শন ও সুঠাম শরীরের অধিকারী ছিলেন সে কথা বোধহয় ঘুরিয়ে বলার দরকার নেই। বিদেশীদের কাছে তিনি ছিলেন সাক্ষাৎ প্রভু যীশুর মুখ। দেশীয়দের মধ্যেও কেউ কেউ তাই মনে করতেন। যেমন কবি নবীনচন্দ্র সেন, যিনি বলেছিলেন - কবির মুখাবয়ব দেখলে চিত্রিত খ্রিস্টের মুখ মনে পড়ে, যা বিশেষ ভাবে প্রণিধানযোগ্য এ ক্ষেত্রে। কিন্তু ওরকম সজনে ফুলের মত সাদা শশ্রুগুম্ফ মণ্ডিত মুখাবয়ব কেবল আমাদের পুরানের সময়কার মুনি ঋষিদের মুখের সঙ্গেই তুলনীয় । শুধু একটা বৈপরীত্য ছাড়া। রবীন্দ্রনাথের চুল ছিল মাথার মাঝখানের সিঁথি দিয়ে দুদিকে কানের ওপর আঁচড়ে টেনে নিয়ে আসা কোঁকড়ানো, বাবরী চুল। সেখানে মুনি ঋষিদের জটাজুট থাকতো, মাথার তালুর ওপরে খোঁপার মত, কুণ্ডলীকৃত । আধ্যাত্মিক চেতনায় সমৃদ্ধ মহাত্মা গান্ধী , সেই জন্যই বুঝি প্রথম দর্শনে রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব বলে সম্বোধন করেছিলেন। অত্যন্ত স্টাইল সচেতন রবীন্দ্রনাথ যিনি ব্যক্তির স্টাইলকে তাঁর মুখশ্রীর সঙ্গে তুলনা করছিলেন ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসে, তিনি নিজে তাঁর ওই পুরানীয় মুনিঋষি মার্কা মুখশ্রীর ব্যাপারে কতটা সচেতন ছিলেন? এর উত্তর হোল, ছিলেন; বলা যায় – খানিক বেশিই ছিলেন। এ...