১৫৭ ফুট
উঁচু এই মিনারের সর্ব্বোচ শিখরে রয়েছে তুর্কী স্থাপত্য শৈলীর
আদলে নির্মিত একটি গম্বুজ। গম্বুজের তলায় ওপর নীচে পরপর দুটি গোলাকার ব্যালকনি
রয়েছে। ওপরের ব্যালকনি তে পৌঁছতে পেরোতে হবে ২২৩ খানা সিঁড়ি। ঋজু, নলাকার মিনারের গা বেয়ে উঠে গেছে সেই কালো পেঁচানো সিঁড়ি।
স্বাধীনতার
২২ বছর পরে অর্থাৎ ১৯৬৯ সালের আগস্ট মাসে (৯ই আগস্ট) এই সৌধের নাম বদলে ওকটারলোনী মনুমেন্টের
বদলে শহীদ মিনার রাখা হয় এবং সৌধটিকে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের
স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত করা হয়।
মিনার
সংলগ্ন ফাঁকা স্থান যেটিকে শহীদ মিনার ময়দান বলে বলা হয় সেখানে সারাবছরই নানারকম
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সভা,
ধর্ণা ইত্যাদি চলে, যার প্রথম সূচনা হয়েছিল কিন্তু ১৯৩১ সালে।
হিজলী জেলে বন্দী থাকা তরুন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নারকীয় হত্যার বিরুদ্ধে সেই
সভা আয়োজিত হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই সভার সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ও হ্যাঁ এই
মিনারে শেষ সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী।
কারণ ১৯৯৭ সালে এক পর্যটক মিনারের ওপর থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে পুলিশের বিশেষ
অনুমতি ছাড়া ওপরে ওঠা নিষিদ্ধ রয়েছে।
কোনো এক অখ্যাত ফুটপাতে দাঁড়িয়ে, একটু অন্য দৃষ্টিকোন থেকে - গাছ গাছালির ডালা পালার মধ্য দিয়ে শহিদ মিনার কে দেখার এবং দেখাবার চেষ্টা করলাম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন