সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুভাষের মহানিষ্ক্রমণ ও সংবাদ পত্রে প্রকাশিত খবর!!

সুভাষের মহানিষ্ক্রমণের (১৬ই জানুয়ারী, ১৯৪১)  খবর সর্ব সমক্ষে আসে ১০ দিন বাদে, ২৬ শে জানুয়ারীর দিন, রবিবার। যদিও  ২৬ তারিখের অনেক আগেই সুভাষের এই মহানিষ্ক্রমণের খবরটি সর্বসমক্ষে চলে আসার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। দিনটি ছিল ২০ শে জানুয়ারী, সোমবার। সুভাষের মহানিষ্ক্রমণের তিন দিন পরে। সেদিন আলিপুর কোর্টে সুভাষের মামলা ওঠার কথা ছিল এবং সে কারনে সুভাষকে কোর্টে হাজিরা দিতে হত।  আগেই বলেছি, সুভাষ তাঁর ভাইপো শিশির কুমার বসুর কাছে, খুব বেশী হলে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ‘পগার পার হয়ে’ যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন। যদিও একই সঙ্গে তাঁর আদালতে হাজির হওয়ার দিনটিকে, যে করে হোক সপ্তাহ খানিক পিছিয়ে দেওয়ারও কথা বলে গিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত সুভাষ ‘পগার পার’ হয়ে যাওয়া মানে আফগান সীমান্ত পেরিয়ে তদানীন্তন সোভিয়েত টেরিটরির মধ্যে প্রবেশ করাকেই বুঝিয়েছিলেন। যাই হোক সুভাষের কৌঁসুলি দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সে যাত্রায় অবশ্য সুভাষ রক্ষা পেয়ে গিয়েছিলেন। কারণ দেবব্রত বাবু ম্যাজিস্ট্রেটকে বুঝিয়ে আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তাঁর ছদ্ম গৃহ বন্দী মক্কেলের জন্যে। পরে জানা গে...

মহানিষ্ক্রমণের পরেঃ ১৬ থেকে ২৬ শে জানুয়ারী!

সুভাষচন্দ্র বসুর মহা মহানিষ্ক্রমণ ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক বিরল অতিজাগতিক ঘটনা।  মহানিষ্ক্রমণের পরে নয় নয় করে পেরিয়ে গেছে আট দশকেরও বেশী সময় । কিন্তু মহানিষ্ক্রমণের রোমাঞ্চ, আজও ভারতীয় মননে এক অভিযান সংকুল বীরত্বের অনুভব বয়ে আনে।  যদিও   ১৯৪১ সালের ১৬ ই জানুয়ারীর রাত্রে ঘটে যাওয়া সেই রোমহর্ষক অন্তর্ধানের ঘটনা কিন্তু পাঁচ কান হতে বেশ সময় লেগেছিল । ইতিহাসবিদ তথা নেতাজীর ভ্রাতুষ্পুত্র শিশির বসুর ছেলে সুগত বসু তাঁর এক লেখায় লিখছেন -  প্রায় ১৪ জন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট এলগিন রোডের বাড়িটা ঘিরে রেখেছিল। তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছিল , সুভাষ ডিনারে কীসের স্যুপ খেলেন। কিন্তু আসল পরিকল্পনার কথা তারা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি । শুধু পরিকল্পনাই নয় , সুভাষ যে দোতলার ঘর থেকে বেরোলেন এবং তারপরে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে নেমে ওয়ান্ডারার গাড়িতে চেপে সন্তপর্ণে বাড়ির বাইরে চলে গেলেন , ব্রিটিশ গোয়েন্দারা তার কোনো কিছুই জানতে পারলো না।  তখন প্রায় রাত ১ টা ৩৫ , পূর্ব পরিকল্পনা মতো সুভাষচন্দ্র  তাঁর ৩৮ / ২ এলগিন রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে...

নেতাজীর জন্মদিনে সিঙাড়া ভোগ!

সাধারণত কোনো ভগবানের উদ্দেশ্যেই ভোগ নিবেদন করা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে নেতাজীকে সিঙাড়া ভোগ দেওয়ার কথা শুনে চমকে যাবেন না যেন। আসলে নেতাজী ভক্ত মানুষজনের কাছে নেতাজী যে ভগবানের চেয়ে কিছু কম নন এই নিয়ে সে অর্থে কোনো দ্বিমত নেই। যদিও এর পূর্বে এই ধরনের খবর সাধারনের নজরে আসেনি। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে অবস্থিত রায়েদের বাড়িতে এমনটাই হয়ে আসছে দীর্ঘকাল।   কারণ পূর্বস্থলীর এই রায় বাড়িতে, ১৯৩২ সালে একবার নেতাজী এসেছিলেন। রায় বাড়ির তখন দুই ভাই রমেশ্চন্দ্র এবং সুরেশ্চন্দ্র - সুভাষ চন্দ্রের অনুগামী হিসেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন স্বাধীনতার যুদ্ধে। এছাড়াও রমেশচন্দ্রের স্ত্রী শিবভাবিনী দেবী তখন জেলা কংগ্রেসের অন্যতম পদাধিকারীনী ও ছিলেন। প্রসঙ্গত নেতাজী তখনও জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হন নি ঠিকই কিন্তু ইতিমধ্যে (১৯২৩ সাল) সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। কাজ করেছেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ প্রতিষ্ঠিত ফরওয়ার্ড পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও। সুভাষ প্রথমবার গ্রেপ্তার হন ১৯২৪ এ, একেবারে শেষের দিকে। গ্রেপ্তার করে সুভাষকে বার্মায় পাঠিয়ে দ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে স্বামীজী! সম্পর্কের ওয়ানয়ে!

সুন্দরবনের মৌচাক থেকে আহৃত মধু কোলকাতার বাজার ঘুরে তবে ঝড়খালির হাটে এসে পৌঁছায় মধুগ্রাহীদের সামনে তার রূপ ও রসের উৎকর্ষতা তুলে ধরতে। জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রনাথের কাছে সিমলা স্ট্রীটের নরেন্দ্রনাথ দত্ত ও ছিলেন তেমনই মৌচাক ভাঙা মধু, রসাস্বাদনে অনুপযুক্ত। যতদিন পর্যন্ত না পাশের পাড়ার দুরন্ত ছেলেটি সন্ন্যাসীর বেশ ধরে স্বামীজী হচ্ছেন ততদিন অবধি রবীন্দ্রনাথের কাছে তিনি ‘মেঘে ঢাকা তারা’র মতই অনুন্মোচিত প্রতিভা।   নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে শিকাগো ফেরত বিবেকানন্দই সর্বপ্রথম রবীন্দ্রনাথের চোখে এক বিশেষ অনুপেক্ষণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিভাত হতে সক্ষম হন। সে হিসেবে বিবেকানন্দের ১৮৯৩ সালের শিকাগো ধর্মসভায় রাখা সেই বিখ্যাত বক্তৃতাদান এবং তৎপরবর্তী সময়ে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলিতে বিবেকানন্দকে নিয়ে তুমুল উৎসাহ এবং উদ্দীপনার পরিবেশ তৈরি হওয়া ছিল ১৯১৩ য় রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির প্রায় দুই দশক আগের ঘটনা। বিশ্বজয়ের চার বছর পরে, ১৮৯৭ য়ে স্বামীজী কোলকাতায় ফিরলে তাঁকে ঘিরে যে উৎসবের বাতাবরন তৈরি হয় তা ছিল অভূতপূর্ব। বয়সে বিবেকানন্দের চেয়ে দুবছরের বড় হলেও রবীন্দ্রনাথ তখন নেহাতই এক অখ্যাত কবি। কোলকাতার বু...

প্লাস্টিক বিউটি!

স্বপ্নের পেলবতা । মনে হয় ছুঁয়ে দেখি । ভাবি লজ্জা পাবে হয়তো , যেমন পায় লজ্জাবতী । এখন তো সময় বদলেছে। রোবটেরাও নাকি আজকাল প্রেম করছে। যন্ত্রের মস্তিস্কে ' সখি ভালোবাসা কারে কয় ' এই কূট প্রশ্নটাকে একবার সেট করতে পারলেই , কেল্লাফতে। ভগবান তো অনেক আগেই প্রস্তরীভুত হয়েছিলেন , এবার আরো ছিমছাম আরোও হ্যান্ডি , সবচাইতে লেটেস্ট - ভগবানের প্লাস্টিক অবতারে পরিনত হওয়া। অবিনশ্বর , অপরূপ কোনো অবস্থাতেই টাল না খাওয়া পরম শক্তিধর , অবতার শ্রেষ্ঠ পুরুষোত্তম। ' ভক্তের ভগবান ' কথাটা চালু আছে বটে তবে ঈশ্বর ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ' শর্তাবলী প্রযোজ্য ' বলে একটা ট্যাগলাইন ছোট্ট করে হলেও জুড়ে নিয়েছেন নিজের ইমেজের সঙ্গে। তা সে ভক্তের হৃদয়ে ভগবান বাস করে বলে যতই বাজার গরম করার চেষ্টা হোক না কেন ভগবান কিন্তু অবিচল। একদা ভৃগু মুনি ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে সটান ভগবান বিষ্ণুর বুকেই পদাঘাত করে বসেছিলেন। ভগবান কিচ্ছুটি মনে করেননি। বরং যত দিন গেছে ভগবান তাঁর সহ্য শক্তি ...