দন্ডকারেণ্য বনের পঞ্চবটি তলে , জনকনন্দিনী সীতা সহসা এক স্বর্ণ মৃগ কে তাদের পর্ণ কুটির সমক্ষে নিরীক্ষণ ক ' রে যারপরনাই আহ্লাদিত হয়ে উঠলেন এবং তৎক্ষণাৎ স্বামী রামের কাছে সেই সুদর্শন হরিণটিকে ধরে আনার জন্যে কাতর আবদার জানালেন। আচ্ছা আমি কি রামের কথিত বনবাস পর্বের পুনরুল্লেখ করতে বসেছি ? না । আসলে দস্যু রত্নাকর থেকে ঋষি হওয়া বাল্মিকী মুনি, এখনকার মতো ইউ টিউব বা ওটিটি প্লাটফর্ম পাননি যে তার এই মেগাহিট কাহিনীটি খুব সহজেই শুনিয়ে দেবেন। একান্তই লিখিত শব্দের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল তাঁকে। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে ফুটিয়ে তুলতে হয়েছিল দাক্ষিণাত্যের গোদাবরী নদীর তীরে বনবাস রত সীতা সহ রাম ও লক্ষণের সেই দিব্য যাপন কথা ; তাদের চোখের ভাষা , মুখের কথা এবং সর্বোপরি অরণ্যের রম্যরূপ বর্ণনায় , কেবল মাত্র শ্লোক-ছন্দে লেখনী লেপনই তাঁর কাছে এক এবং একমাত্র উপায় ছিল। যুগ পাল্টেছে। এখন চলচ্চিত্র শুধু নয় থিয়েটার মঞ্চে পর্যন্ত প্রেক্ষাপট তৈরি করতে এ আই বা কৃত্রিম মেধা ব্যাবহার বেশ প্রচলিত হয়ে উঠেছে। আগের দিনের মতো মঞ্চের পশ্চাতে শুধুমাত্র পর্দা বদল ও কুশলী আলোক প্রক্ষেপণের সাহায্যে পরিবেশ রচনার কথা ...