সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পাকিস্তানে রামের এ আই বনবাস!

দন্ডকারেণ্য বনের পঞ্চবটি তলে , জনকনন্দিনী সীতা সহসা এক স্বর্ণ মৃগ কে তাদের পর্ণ কুটির সমক্ষে নিরীক্ষণ ক ' রে যারপরনাই আহ্লাদিত হয়ে উঠলেন এবং তৎক্ষণাৎ স্বামী রামের কাছে সেই সুদর্শন হরিণটিকে ধরে আনার জন্যে কাতর আবদার জানালেন। আচ্ছা আমি কি রামের কথিত বনবাস পর্বের পুনরুল্লেখ করতে বসেছি ? না । আসলে দস্যু রত্নাকর থেকে ঋষি হওয়া বাল্মিকী মুনি, এখনকার মতো ইউ টিউব বা ওটিটি প্লাটফর্ম পাননি যে তার এই মেগাহিট কাহিনীটি খুব সহজেই শুনিয়ে দেবেন। একান্তই লিখিত শব্দের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল তাঁকে। শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে ফুটিয়ে তুলতে হয়েছিল দাক্ষিণাত্যের গোদাবরী নদীর তীরে বনবাস রত সীতা সহ রাম ও লক্ষণের সেই দিব্য যাপন কথা ; তাদের চোখের ভাষা , মুখের কথা এবং সর্বোপরি অরণ্যের রম্যরূপ বর্ণনায় , কেবল মাত্র শ্লোক-ছন্দে লেখনী লেপনই তাঁর কাছে এক এবং একমাত্র উপায় ছিল। যুগ পাল্টেছে। এখন চলচ্চিত্র শুধু নয় থিয়েটার মঞ্চে পর্যন্ত প্রেক্ষাপট তৈরি করতে এ আই বা কৃত্রিম মেধা ব্যাবহার বেশ প্রচলিত হয়ে উঠেছে। আগের দিনের মতো মঞ্চের পশ্চাতে শুধুমাত্র পর্দা বদল ও কুশলী আলোক প্রক্ষেপণের সাহায্যে পরিবেশ রচনার কথা ...

সকালের চা চুম্বন ও বেকসুর বোহেমিয়ানা !

সকালে বাইরে বেরিয়ে একটুখানি এদিকে ওদিকে ঘোরার একটা ভালো দিক রয়েছে!  প্রাত ভ্রমণের নামে , রাস্তার পাশে কোনো চায়ের দোকানে বেশ জমিয়ে টুঁ মারা যায়।   পাকুড় গাছের ছায়ায় হয়তো - একলা একটা টি শপ । চায়ের সঙ্গে বিস্কুট , স্ন্যাকস বা এইরকম হালকা কিছু খেতে মন্দ লাগে না । ব্যস্ততার ফাঁকে একটুখানি অবসরের মস্তি । দিনগত পাপ ক্ষয়ের রুটিনে হঠাৎ যেন তালকাটার আকুলতা ঘিরে ধরে নিজেকে । ওই একটুখানি সময়ের জন্য মনে হয় যেন স্কুল পালিয়ে সিনেমা হলে ঢুকে পড়েছি । চা, সে  - লিকার না দুধ , নাকি চিনি ছাড়া সব নখদর্পণে দোকানীর । রেডিওয়   এফ এম চ্যানেল থেকে সম্প্রচারিত , সকালের মনচাহা   গান চলে মোবাইল সেট থেকে । মান্না দে ' র কন্ঠে " এ কি অপূর্ব প্রেম দিলে , বিধাতা আমায় "; কানে ঢুকতেই - মুহূর্তের মধ্যে , পরিবেশ আর মনের মধ্যে বওয়া ফুরফুরে আমেজ যেন এক বিন্দুতে এসে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে দেয় । সত্যিই , গানের মতো অত ভালো   মুড বানাতে  আর কেউ  পারে না ! ...

আহত উড়ান!

টানা দুই মাসের নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা, যে কোনো মূল্যে চ্যলেঞ্জ পূরণ করার অদম্য ইচ্ছা এবং বিজ্ঞানের আধুনিকতম উপকরণ ও প্রযুক্তির প্রয়োগে কোনোরকম কার্পণ্য না করার অনড় মানসিকতা নিয়ে, একদল মানুষ শেষ পর্যন্ত দেখিয়ে দিলেন যে মানুষ চাইলে পা কেটে বাদ দেওয়া মরালও আকাশ বেয়ে পুনরায় তার উড়ান ভরতে পারে। ঘটনার সূত্রপাত, এই বছরের ১৫ই মে; নবি মুম্বাই অঞ্চলে অবস্থিত নেরুল এন আর আই জলাভূমিতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল বন্যপ্রাণ ফটোগ্রাফার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। সেদিন হঠাৎ, অভিজিৎ বাবু, একটি ফ্লেমিংগোকে নায়লনের জালে, অসহায় ভাবে আটকা পড়ে থাকতে দেখে ভীষণ বিচলিত হয়ে পড়েন। জাল থেকে পা ছাড়াতে গিয়ে, পাখিটির বাম দিকের পা'টি একেবারে রক্তারক্তি অবস্থা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বন দপ্তরে খবর দেন। বন দপ্তর থেকে, অনতিবিলম্বে বিকাশ বৈরাগী নামের এক আধিকারিকের নেতৃত্বে অন্য আরোও কয়েকজন বন কর্মী ছুটে আসেন এবং পাখিটিকে উদ্ধার করেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পুনরায় তাকে জলাভূমিতে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু পাখিটি ওইখানে ওইখানেই চক্কর মারতে থাকে, বেশিদূর উড়ে যেতে পারে না। বিকাশ বৈরাগী এবং অভিজিৎ বাবুরা হয়তো তাঁদের প...

নিরন্তর শ্রাবণ ধারায় জায়মান ২২শে'র শোক!

"সেদিন প্রভাতের  আলোকে মৃত্যুর যে রূপ দেখিলাম তাহা সুখসুপ্তির মতোই প্রশান্ত ও মনোহর”! রবীন্দ্রনাথের জীবনে প্রথম মৃত্যুর আঘাত এসেছিল ১৪ বছর বয়সে। ১৮৭৫ সালে, দীর্ঘ রোগভোগের পরে, মা সারদাসুন্দরী দেবী যখন ইহলোক ছেড়ে চলে গেলেন তখন গভীর রাত্রি। পরের দিন সকালে, বাইরের বারান্দায় এসে দেখলেন, সামনের প্রাঙ্গনে - সুসজ্জিত খাটের ওপর  শোয়ানো রয়েছে তাঁর মায়ের মৃতদেহ। কিশোর রবীন্দ্রনাথের চোখে, তা শুধুই সুখ নিদ্রা যাপনের নিশ্চিন্ত শয়ান মুদ্রা ছাড়া কিছু ছিল না। “জীবন হইতে জীবনান্তের বিচ্ছেদ” তখনো স্পষ্ট করে প্রতিভাত হয় নি তাঁর চোখে। না বুঝেই সেদিন যেভাবে দৃশ্যমান মৃত্যুর সামনে নিরুদ্বিগ্ন ও অবোধ দর্শকের মত অবিচল এবং অশোকবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, পরবর্তীকালে বৌঠান কাদম্বরী দেবী থেকে স্ত্রী মৃণালিনী দেবী এবং আরও প্রিয়জনদের হারিয়েও কি এমনই নির্বিকার থাকতে পেরেছিলেন তিনি?  এই প্রশ্নের উত্তরে সকলেই হয়তো একবাক্যে স্বীকার করবেন, হ্যাঁ পেরেছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর মত চির বিচ্ছেদের শোক বন্ধন থেকে মুক্তি পাওয়া যে অত সহজ ছিল না, তা রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘জীবন- স্মৃতি’র পাতায়, অকপটে স্বীকার করেছেন, “শিশুবয়সের...

আবার 'শোলে' ম্যাজিক! এবার আন-কাট!

সেই  ' শোলে '  যার বিখ্যাত দুই নায়ক - নায়িকা জুড়ি ,  এমনকি রিয়েল লাইফেও একে অপরকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ,  সেই অমিতাভ বচ্চন - জয়া ভাদুড়ী কিংবা ধর্মেন্দ্র -হেমা মালিনীরা আজ তাঁদের সর্ব কনিষ্ঠ উত্তরসূরিদের কাছে ,  হয় ঠাকুরদা নয ঠাকুমা হিসেবে বিবেচিত। কারণ ,  বেলায় বেলায়  ' শোলে  ' ও   তার মুক্তির ৫০ বছর পূরণ করতে যাচ্ছে ,  আর মাত্র কয়েক দিন অতিবাহিত হলেই। অর্থাৎ  ' শোলে '  এবার প্রকৃত অর্থেই তিন পুরুষের ছবি হতে যাচ্ছে। অমিতাভ বচ্চনদের সমসাময়িক মানুষ জন থেকে শুরু করে তাদের পরের প্রজন্মের কাছে  ' শোলে '  র চার্ম নতুন কিছু নয়। এবার বর্তমান প্রজন্মের কাছেও আর অবরুদ্ধ থাকছে না  ' শোলে ' র জাদু। তবে পুনরুদ্ধার কৃত। তারই গল্প আজ। এছাড়াও থাকছে আরোও অনেক কথা ,  বিদেশের সংবাদ মাধ্যমেও ,  এই নিয়ে   শুরু হয়েছে চর্চা।   এই সব নিয়েই আজকের নিবন্ধ, পুনরুদ্ধার ‘শোলে’।    ভারতীয় সে অধিবাসী , প্রবাসী কিংবা অভিবাসী যেই হোন না কেন , একটা বিষয়ে সকলেই এক। প্রত্যেকেই কিন্তু এক বা এক...