শিশির ছড়ানো পথ বড় কোমল এক রূপোলী চিত্রপট, অপাপবিদ্ধ তৃণ দল পরম যতনে ধরে রাখে সে রূপোর উষ্ণীষ। রাতের অন্ধকারে শ্বাপদ জন্তু দের থেকে বাঁচিয়ে রাখে তাদের অক্ষত কৌমার্য। কেউ আসবে ভোররাতে, বড় আকাঙ্খিত। তখনো অপাদবিদ্ধ শিশির ভেজা সেই পথে রেখে যাবে তার প্রথম পায়ের চিহ্ন। হৃদয়ের হাওয়ায় ছড়িয়ে থাকা আর্দ্রতা শীতের রাতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে হতে চায় সম্পৃক্ত। সে সম্পৃক্ততা এক সময় সকল সহন সীমা ছাড়িয়ে স্খলনের অভিলাষে হয়ে পড়ে উন্মুখ। এবং অবশেষে সে নিদারুন পতন ঘটে ঘনীভূত আবেগের; ভোররাতের পথে, পথে পাতানো তৃণ শয্যায় ছড়িয়ে পড়ে রজত শুভ্র শিশিরের কণা। ভোররাতের শিশির ধোয়া পথ রাতের ক্লেদ মুক্ত ঝরঝরে, নবারুনের নরম আলোয় শুচিশুদ্ধ। পথের পাশে শিউলি গাছ সে পথে অবলীলায় ঝরিয়ে দেয় কমলা বৃন্তের সাদা ফুল। এমন সিক্ত পথের বুকে মধুর পেলবতা মাড়িয়ে যেতে যে বড় বাধে। অনেক কাল আগে, মুনিঋষিরা আদুল পায়ে ভোররাতের শিশির ঝরা পথে হেঁটে যেতেন নদীর ঘাটের দিকে। দূর্বা ঘাসের শিশির শুদ্ধ গালিচায় সেই সকল পরম পুরুষদের দৃপ্ত পদচারনা আজ রূপকথা। বর্তমান যারা এ পথের পথিক, তারা কেউ ক...