সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ট্রেন পথে বশীকরণ, 'নীলঞ্জনা ক্লাব' এবং বুড়ো ভাম!

বশীকরনের একেবারে পসরা সাজিয়ে লিপস্টিকের মত সাঁটানো, ট্রেন কামরার আনাচে কানাচে। প্রলুব্ধ আপনি হবেনই। বেছে নেবেন কাউকে আপনার পছন্দ মতন। সত্যি কথা বলতে কি, ব্যর্থ প্রেমে সফলতা পেতে কে না চায়। এটা আরও সত্যি, লোকাল ট্রেনের ভিড়ে-চাপটা ডেলি ‘পাষণ্ড’ দের ক্ষেত্রে, কারণ এমনিতে তো চারদিক থেকে ধেয়ে আসা পদাঘাতগুলো থেকে তাদের রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তাই বশীকরনেই রক্ষা। শত্রু দমন থেকে সংসারে অশান্তি, হাতে অর্থ না থাকা থেকে ছেলেমেয়েদের পড়ায় মন না বসা – সবকিছুতেই তো পেরে না ওঠার অস্থিরতা, তাই টাঁক মাথা, ঘর্মাক্ত, নুয়ে পড়া, এলেবেলে ব্যর্থকামদের জীবনে বশীকরনের হাতছানি উপেক্ষা করার সাধ্য কোথায়! সেটা জানেন সমঝদাররা। তাই আয়োজনের কোনো খামতি রাখেননি তারা। গেট থেকে শুরু করে ট্রেন কামরার দেওয়াল, ছাদ – ছাড়েননি সম্ভাব্য নজরে পড়ার মতন কোনো স্থানকেই। গাঢ় রঙের আয়তাকার কাগজের বুকে ততোধিক রঙিন ফোলানো অক্ষরে ভরা এই তন্বী-বহ্নী লিফলেট গুলো যে এক নজরে যাত্রী বেচারাদের তাদের রূপের ঘনঘটায় বশীভূত করে ফেলবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সর্বোপরি সমস্ত সমস্যার - সে দাম্পত্য কলহ থেকে শুরু করে সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন, ব্যবসায় ক্ষতি-চাকুরি হারানো- জটিল রোগ- বিদ্যায় বাধা- অবাধ্য সন্তান- মামলা মোকদ্দমা সহ সব কিছুরই যখন এক জানালা সমাধান – বশীকরণ, কাঁহাতক  আর এই পরাজয় দীর্ণ জীবনকে শুধু শুধু টেনে নিয়ে যাওয়া যায়।
এক কথায় বললে - 
বশীকরণের এরকম মারকাটারি মাইলেজ; তার উপরে আবার সব বড় বড় নামের বশীকরণ গুরু! কেউ কামাক্ষা তন্ত্রে সিদ্ধহস্ত তো কেউ তারা তন্ত্রে; কেউ কালা জাদু করে বাজিমাত করার কথা বলে তো কেউ ডাকিনী তন্ত্রে পাগল করা বশীকরনের কথা বলে একেবারে তাক লাগিয়ে দেয়বশীকরণের প্রতিযোগিতায় কেউ কেউ আবার মোহিনী তন্ত্র বা চিতা তন্ত্র প্রয়োগে কিস্তিমাৎ করার কথা বলে একটু আলাদা আকর্ষণ কুড়োতে চায়। এক কথায় বশীকরণ হবেই। এমনকি বিফলে মূল্য ফেরতের আশ্বাস। কিন্তু কত সময়ে? হেরো মানুষ গুলো আবার দ্রুত সমাধান চায়। এটা বুঝে ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে কাজে নামা প্রখ্যাত তান্ত্রিক জ্যোতিষেরা রীতিমত সময়ের যুদ্ধে নেমে পড়েছেন। প্রচার পত্রের লেখায় একে অপরকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। কেউ বলছে সাত দিনের মধ্যে ফল বোঝা যাবে, তো আর একজন দাবী করছেন তিন দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবেই। কিন্তু সে সাত হোক কিংবা তিন, দিন তো। এত সময় ধৈর্য রাখা যাবে না। প্রতিশ্রুতি তাই নেমে চার ঘণ্টার, বা তারও কম তিন ঘণ্টার মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে প্রচার পত্রে দাবী করা হচ্ছে ফলাও করে। এমনকি এক ঘণ্টায় ম্যাজিক দ্যাখা যাবে বলে দাবী করেও পিছিয়ে পড়ছে কাল পর্যন্ত এগিয়ে থাকা বশীকরণ স্পেশালিষ্টরা। কারণ মুহূর্তে বশীকরণ হবে এই মর্মে প্রচার পত্র পড়ে গেছে লোকাল ট্রেনের কামরায়।  এ যেন পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ ছেড়ে ওয়ান-ডে, এবং তাতেও মন না বসে শেষমেশ সুপার-জলদি'র টি- টোয়েনটি ম্যাচ শুরু হয়ে গেছে বশীকরণের জমজমাট ময়দানে। এ বলে আমায় দ্যাখ তো ও বলে আমায়। তবে বশীকরণের মহাগুরু হিসেবে, শাস্ত্রী- আচার্যদের ভিড়ে, তারানাথ তান্ত্রিক কিন্তু একদম ভাবের ঘরে চুরি না করে নিজের নামের সঙ্গে তান্ত্রিক কথাটি জুড়ে নিয়েছেন অকপটে। কি জানি, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প হয়তো উনি পড়েছেন। তাই তাঁর এই বিশ্বাস জন্মাতেই পারে যে মক্কেলদের কাছে নিজের পরিচয় দিতে খুব বেশি গৌরচন্দ্রিকা করতে হবে না। যদিও বিভূতিভূষণের তারানাথ তান্ত্রিক ছিলেন হিন্দু গুহা জাদুবিদ্যার অনুশীলনকারি এক জাদুকর.
[নিচের ভিডিও-টি এক চলন্ত লোকাল ট্রেনের। যে ট্রেনটিকে আমরা একটা বিশেষ নাম দিয়েছি। সেটা কি - জানতে অবশ্যই ক্লিক করুন।]
এবারে চোখ ফেরানো যাক তাদের দিকে, যারা বশীকরণে বিশ্বাস রাখেন না কিন্তু বশ করার ইচ্ছা আছে একশোয় একশো। আর সেটা করতে চান নিজের কেতা দেখিয়েই। কিন্তু পেরে উঠছেন না – অফার টা তাদের জন্য। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, এই ধরনের লোকেদের বেশির ভাগেরই আবার প্রেমে জিরো পাওয়ার ইতিহাস আছে। তবে সুযোগ পেলে স্টার মার্ক পেয়ে চিরকালের মত এই কলঙ্ক মুছে ফেলতে এরা একেবারে একপায়ে খাড়া। কিন্তু চাইলেই তো পাওয়া যায় না। এবার মনে হয় তাদের এই দুঃখের অবসান হতে চলেছে। লোকাল ট্রেনের কামরায় যে নীলাভ প্রাচার পত্র আজকাল দ্যাখা যাচ্ছে তাতে কামিনী সঙ্গ করে কাঞ্চন লাভের কথা একেবারে জ্বলজ্বল করছে বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইনের মত। আর সেটাই কারণ, যে বাসনা প্রায় গ্রীষ্ম কালের কুয়োর তলায় পড়ে থাকা জলের মত ছিল হঠাৎই এই ‘নীলঞ্জনা ক্লাবের’ অ্যাডে যেন বর্ষার জল পাওয়া নদীর মতন উপছে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ফোন নাম্বার সহ প্রচারপত্রের শুরুতেই বলা হচ্ছে আপনি যদি আর্থিক কষ্টে ভোগেন তাহলে দেরী না করে 'নীলঞ্জনা ক্লাবে' আসুন। এখানে এলে র্থিক সমস্যার সমাধান হবে শুধু তাই নয়, থাকছে দেদার আমদানির প্রতিশ্রুতিও। এখন প্রশ্ন, কি ভাবে? কোনো রকম রাখঢাক না রেখে ফলাও করে বলা হচ্ছে "সুন্দরি মহিলাদের সঙ্গে গোপন চাহিদা মিটিয়ে।" তাও পরিচয় গোপন রেখে। বুঝুন! 
আসলে অলীক কল্পনার দাবী অলীকই হয়। আর সেই দাবী মেটানোর প্রতিশ্রুতি ও অলীক না হয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু ব্যর্থতার শেষ বিন্দুতেও থাকে একটা ম্যাজিক স্পর্শের চাহিদা। তার থেকেই চারিদিকে পাতানো মরুদ্যানের এত রমরমা কারবার।
ম্যাজিশিয়ান পি সি সরকার তাঁর বিখ্যাত জাদু বলে আস্ত একটা ট্রেনকে কয়েক মিনিটের জন্য অদৃশ্য করে দিয়েছিলেন। ট্রেন কামরার লিফলেট-বাসী এই বশীকরণ বাদশাদের কাছে কি আছে এরকম কোনো বশীকরণ বল, যা দিয়ে অফিস টাইমের ভিড় ট্রেন গুলি নিমেষে হয়ে যেতে পারে ভিড়মুক্ত? অথবা কোনো তন্ত্র শক্তি, যা দিয়ে ভিড়টাকে পুরোপুরি হজম করা না গেলেও, অন্তত খানিক জব্দ  করার জন্য মিলতে পারে মোক্ষম কোনো দাওয়াই
পরিশেষে একটি দারুন মজার সংরক্ষণের কথা বলে শেষ করবো। এমনি তে তো লোকাল ট্রেনে সে অর্থে রিজার্ভেশন হয় না। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এবং শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য কামরার শেষ প্রান্তে দেওয়াল ঘেঁষে টানা সিটের ব্যবস্থা থাকে বটে। কিন্তু সেখানেও শ্রেণীবিন্যাস! শুনে চমকে যাবেন না। কারণ এটা রেল কর্তৃপক্ষের করা কিছু নয়। কোনো রসিক যাত্রী মার্কার পেন দিয়ে জানালার দিকে এক কোনায় সিটের মাথায় লিখে রেখেছেন সংরক্ষণের শর্ত - ‘বুড়ো ভাম, ৪০%'। নিঃসন্দেহে বেশ মজার ব্যাপার। এবং বলাই বাহুল্য, এটি দ্যাখা মাত্র দৈনিক যাত্রাপথের সমস্ত ক্লান্তি ধুয়ে, নিমেষে যেন একটা আনন্দের ঢেউ বয়ে যায় শরীরে জুড়ে।
পাশাপাশি যখন দেখি সেই মুহূর্তের অর্ধবয়স্ক মানুষটিকে,  যিনি বসে আছেন ওই সিটটায়, জানেনই না যে দিনে দিনে তিনি একটা বিশেষ সংরক্ষণের কাবিল হয়ে উঠেছেন কোনোরকম মেহনত ছাড়াই। বেশ লাগে। 


আরো পড়তে....!আরো পড়তে ...

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...