সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঋষি সুনাক পেরেছেঃ বিবেক রামস্বামীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ কতটা মসৃণ?

আগস্টের ১৯ তারিখ, সকালবেলা; যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংবাদপত্র ‘দি হিল’ এর পাতায় প্রকাশিত একটা খবরে যাকে বলে বিস্ময়ের প্রায় বিস্ফোরণ ঘটে যেতে দেখা গেল বিশ্ব জুড়ে। আমেরিকার আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন - ২০২৪ উপলক্ষে, মার্কিন  Grand Old Party -   রিপাবলিকানদের  তরফ থেকে উঠে আসা সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপর করা সর্বশেষ এক সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় খবরটিতে এবং তার জেরে ফাঁস হয়ে যায় সে দেশের  রাজনৈতিক কর্মপন্থা ঠিক করার অন্যতম Super কমিটি (PAC) - 'Never Back Down' এর সভায় নেওয়া একটা গোপন রণনীতির কথাও। সে কথায় একটু পরে আসছি। বিস্ময়ের মূল কারণটা আসলে  সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় একজনের খুব দ্রুত গতিতে সমর্থকদের প্রিয় হয়ে ওঠার চমকদার তথ্যের মধ্যে নিহিত। খবরটা প্রকাশিত হওয়ার এক দিন বাদে তাই দেখা গেল, এই খবরের উপরে ভিত্তি করে ছোট বড় বিভিন্ন প্রতিবেদনের একেবারে জোয়ার লেগে গেল ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। কিন্তু, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম কেন? কারণ এই বিস্ময়ের উৎসে থাকা ব্যক্তিটি - একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক, যার নাম বিবেক গণপতি রামস্বামী। খবরে প্রকাশ, মাত্র ৩৯ বছর বয়স্ক এই তরতাজা আম...

টমেটোর যুদ্ধে, বাজার পতনের পথে!

  চলতি বছরের জুন মাসের শুরুর দিকে হঠাৎই বাঙালীর রান্নাঘরের ডার্লিং সব্জী, টমেটোর দাম ঊর্ধ্বগামী হওয়া শুরু করে। এবং অল্প কিছু দিনের মধ্যে প্রায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে সটান হাউইয়ের পেছনে আগুন দিলে যেমন দ্রুততার সঙ্গে উপরে উঠে যায় তেমনি এক কেজি টমেটোর দাম পৌঁছে যায় একেবারে ২৫০ টাকায়, যা এককথায় সর্বকালের রেকর্ড। বাজারে যে কোনো জিনিসেরই দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ চাহিদা আর জোগানের মধ্যে ফারাক। বিশেষ করে যদি জোগান কমে যায়, তাহলে চাহিদা না বাড়লেও দাম বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। বাজারে কোনো পণ্যের আমদানিতে যদি হঠাৎ করে টান পড়ে তাহলে তার পেছনে থাকা অন্য অনেক কারণের মধ্যে ওই নির্দিষ্ট পণ্যের উপরে মুনাফা খোর কালোবাজারিদের কুনজর পড়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু কৃষিজ পণ্যের ক্ষেত্রে, রহস্যজনক ভাবে কালোবাজারিরা পার পেয়ে যায়। কারণ জোগান কমে যাওয়ার জন্যে হাতের কাছে প্রকৃতির বিরূপতা তো রয়েছে যত দোষের, নন্দ ঘোষ, যাকে খুব সহজেই ভিলেন বানানো যায়। এ  ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কৃষি বিপণন টাস্ক ফোর্স এর সভাপতি কমল দে Times of India কে বলেছেন, এবছর প্রচণ্ড গরমের কারণে হিমাচল এবং কর্ণাটক...

৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের ভোরে, বাজারের পথে এই অধীন!

৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের ভোরে, সাইকেল চালিয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। মোড়ে, মোড়ে ফুল-মালায় সুসজ্জিত বেদীতে উত্তোলিত হচ্ছিল ত্রিবর্ণ পতাকা, দারুন সাড়ম্বরে। চারদিক - মুখরিত করে, মাইকে তারস্বরে বাজছিল 'হর ঘর ত্রিরঙ্গা' গান।  হয়তো বা আজকের দিনে, ঘরে ঘরে ত্রিরঙ্গা উড়ছে পত পত করে, কিন্তু ঘরের মধ্যেকার সুখদুঃখগুলো, হাসিকান্নাগুলো, অভাব-অভিযোগ গুলো কি চাপা পড়ে যাচ্ছেনা ত্রিরঙ্গা পতাকার আড়ালে?  যারা ঘরের বাইরে - বেঘর, যারা ফুটপাথে, যারা শরণার্থী শিবিরে অথবা যারা যাযাবর তারা কি ত্রিরঙ্গার এই আদিগন্ত দোল খাওয়া তরঙ্গ ধারায় নিজেদের একাত্ম করবে না?  মনে হল, ত্রিরঙ্গাকে আরো - সেই সব নিভৃতজন, সেই সব অব্যক্ত অনুভূতিদের নামে উৎসর্গীকৃত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।  যেতে যেতে, পথে এক সুন্দরী মহিলার গালে, তার বান্ধবী কে ত্রিরঙ্গার ছবি সেঁটে দিতে দেখলাম, পরম যত্নে। কিন্তু কোথাও যেন সেই সুন্দর মুখের আড়ালে একটা দুর্বোধ্য দুঃখবোধ, গালে মাড়ানো ত্রিবর্ণ পতাকার ছবিটিকে, আনন্দের সঙ্গে তাকে বহন করে নিয়ে যেতে দিচ্ছে না। মনে মনে তাই সর্বেশ্বরের কাছে - রবি ঠাকুরের গানের ভাষায় প্রার্থনা জানাই, "তোমার পতাকা যারে দ...

ভেনিসের পথে পর্দায় বঙ্গজ হিরো অভিষেক!

  ভেনিস আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে, বরাবরই বাঙালী তার দাপট দেখিয়ে এসেছে। ইটালির ভেনিস শহরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই চলচ্চিত্র উৎসব, কৌলীন্যের দিক থেকে পৃথিবীর প্রাচীনতম। সেই ১৯৩২ সাল থেকে প্রতি বছর আয়োজিত হয়ে আসা এই ফিল্ম ফেস্ট (মাঝখানে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে বন্ধ থাকা কয়েক বছর বাদ দিলে), এবার তার ৮০ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। চলচ্চিত্র ইতিহাসের শুরু থেকেই, বাঙালী তার প্রতিভার উৎকর্ষ দেখিয়ে এসেছে চিত্র নির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।  সে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোনো পরিসরেই হোক না কেন, বাঙালীর মেধার বিচ্ছুরন থেকে বঞ্চিত হয় নি কেউই। বিশেষ করে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টে দেখানো বিভিন্ন সময়ের বাংলা ছবিগুলি যে বারে বারে ইটালির এই ভাসমান নগরীর হৃদয়কে জয় করে নিয়েছে অবলীলায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।  যেমন ১৯৩৪ সালে দেবকী কুমার বসু পরিচালিত ছবি ‘সীতা’। ছবিটি, ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো প্রথম ভারতীয় ছবি ছিল। আর প্রথম বারেই জিতে নিয়েছিল Honorary Diploma Award.   তারপরে এল সেই ১৯৫৭ সাল, বাংলা ছবির ইতিহাসে যে সালের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চির কাল।  কারণ ওই বছর, ভেনিস ফিল্ম ...

অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পঃ নয়া রূপান্তরের পথে শিয়ালদহ স্টেশন?

  একসময়ের জলা জঙ্গলে ভর্তি  নীচু  জমি , শোনা যেত শেয়ালের ডাক। তাই নাম ছিল শেয়াল - দিহি  (জলে ঘেরা  ভূ - খণ্ড ) । ক্রমে ক্রমে তা সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে শিয়ালদহ বা শিয়ালদা নামে।   ১৮৬২ সালে Eastern Bengal Railway Company কোলকাতা থেকে কুষ্ঠিয়া পর্যন্ত রেল পথের সূচনা করে। আর কোলকাতার টার্মিনাল স্টেশন তৈরি করতে বেছে নেওয়া হয় এই শিয়ালদহকেই।  শুরুতে  একটা   ছোট টিনের চালা দেওয়া ঘরেই চালানো হত স্টেশনের কাজকর্ম। সেই  শুরু , সেদিনকার সেই অখ্যাত শিয়ালদহের আজকের দিনে পৌঁছে  ভারতবর্ষের অন্যতম বৃহৎ এবং ব্যস্ত রেলওয়ে টার্মিনাল হয়ে ওঠার  সু দীর্ঘ যাত্রাপথের। আসলে   অবস্থান গত কারণে , বিশেষ করে   শহরতলীর বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে, শিয়ালদহ ক্রমশই  অপরিহার্য  হয়ে ওঠে তদানীন্তন রেল কোম্পানির কাছে। যার ফলে ১৮৬৯ সালে ৪ প্ল্যাটফর্ম বিশিষ্ট নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ করতে হয়  ও খানে। যার নকশা তৈরি করেন Mr. Walter Glanvi...