সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রেড রোডের র‍্যাম্পে, মা দুর্গা!

শাস্ত্রে আছে, কুপুত্র যদিও বা কুমাতা কখনো নয়। তারপরে আবার সেই মা যদি কোনো এক ব্যক্তির শুধু না হয়ে পুরো জগতের মা জগজ্জননী দুর্গা হন, তখন তো সন্তানদের আব্দার মেটানো ছাড়া তাঁর আর কোনো উপায় থাকে না। এক্ষেত্রেও তাই হল। এই কদিন আগে তিনি ফিরে গেছেন কৈলাসে। কিন্তু তাতে কি! সন্তানদের মনোবাঞ্ছা পূরণে, মা যে সদা প্রযত্নবান। আর তাই তো মা দুর্গাকে ফের বাপের বাড়ি আসার জন্যে, ইচ্ছে না থাকলেও সেই বাবার কাছে ছুটির আব্দার জানাতেই হল। যদিও আধবেলার জন্যে। কিন্তু তাহলেও বাবা মহাদেবের ঘরনীকে তো তাঁর সংসার ফেলে আসতে হবে সুদূর সেই কৈলাস থেকে এতটা পথ ডিঙ্গিয়ে। ভাবা যায়।  বাবা এমনিতে মাকে খুব একটা কাছ ছাড়া করতে রাজি হন না। আর এবার তো মাকে কোলকাতা শহরের রাজপথের উপর একেবারে র‍্যাম্পে হাঁটার মত করে হেঁটে যেতে হবে দেশী বিদেশী অতিথি অভ্যাগতদের সামনে! বাবা যদি জানতেন তো, আর একটা দক্ষ যজ্ঞ বাধিয়ে বসতেন নির্ঘাত। আসলে মা, আমাদের মার্কেটিং টা ভালোই বোঝেন। কারন বিশ্বায়নের যুগে আমরা সকলেই জানি, সেই  নিউইয়র্ক থেকে নরওয়ে সর্বত্রই মা আমাদের পূজিতা হন ভীষণ সমাদরে। কৈলাস থেকে যেমন এ বছর ঘোড়ায় আসলেও, কুমোরটুলি থেকে তাঁক...

গড়িয়ায় শুরু হয়েছে নব দুর্গার আরাধনা!

হৈ হৈ করে চলে এলো দুর্গা পূজা। আর প্রতি বছরের মতন এ বছরেও, গড়িয়া স্টেশন রোড সংলগ্ন বরদাপ্রসাদ হাই স্কুলের মাঠে আয়োজিত হচ্ছে সেই আদি ও অকৃত্রিম, সবার প্রিয় নব দুর্গার পুজো। কোলকাতা সহ সারা বাংলায় শারদীয় দুর্গা পূজার উৎসবে নবদুর্গা বলতে এক ডাকে লোকে গড়িয়ার নবদুর্গাকেই বোঝে।  শতাব্দী প্রাচীন মিতালী সংঘের পরিচালনায় এবারে এই পুজো, ৮৩ বছরে পদার্পণ করল। যদিও শুরুতে, অর্থাৎ ১৯৪০ সালে যখন প্রথম দুর্গা পূজা শুরু করে মিতালী সংঘ, তখন মায়ের মূর্তি এক চালারই ছিল। সাত বছর পরে দেশ স্বাধীন হল। আর স্বাধীনতার বছর থেকেই অর্থাৎ ১৯৪৭ থেকে এখানে শুরু হল মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গার সাথে সাথে দেবী পার্বতীর নয় ভিন্ন রূপের নটি মাটির মূর্তি তৈরি করে তাকে পুজো করার চল। সেই থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে, বহু বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও গড়িয়া মিতালী সংঘ তাদের নবদুর্গার আরাধনায় কোনোরকম আপোষ করে নি। থিম পুজোর লহর এসেছে। যখন পুজো প্যান্ডেলের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের মূর্তিরও অনেকরকম রূপান্তর লক্ষ করা গেছে। কিন্তু গড়িয়ার নবদুর্গার কোনো পরিবর্তন হয় নি। তাই এখনো পুজো পরিক্রমায় এক অনিবার্য গন্তব্য মিতালী সংঘের নবদুর্গা দর্শন। নব দুর্গা...

ভেঁপু বাবার পুজো প্ল্যান!

মহাতারকা, তারকা থেকে শুরু করে মিনি তারকাদেরও পুজো প্ল্যান আমজনতার কাছে পরিবেশিত হয় বেশ ফলাও করেই। কিন্তু সাধারন আম পাবলিকেরও তো থাকতে পারে পুজোর দিনগুলির জন্যে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা। ইতিহাস যেমন শুধু রাজা-মহারাজাদেরই কাহিনী হয়ে থেকে যায়, তেমনি পুজো-অনুষ্ঠানের বর্ণনায় ব্রাত্য থেকে যায় সাধারন মানুষের কথা। বছরকার কোনো বিশেষ পার্বণ ঘিরে সেই সব অখ্যাত সাধারনের আমোদআহ্লাদ অথবা দুঃখ –বেদনার কথাও কিন্তু কম চিত্তাকর্ষক নয় । যা থেকে যায় সবার অগোচরে। তাই এবার আলোর ফোকাসটাকে তথাকথিত খ্যাতিমানদের থেকে সরিয়ে অখ্যাতদের উপরেই ফেলে দেখার একটা ছোট্ট প্রচেষ্টা, এই পরিসরে । একটা কথা আছে, পাদপ্রদীপের আলোয় যারাই আসে তারাই সেলিব্রিটি হয়ে যায়। এ যেন জাদু কাঠির স্পর্শ। যার ছোঁয়ায় বাজারের সাধারন সব্জী বিক্রেতা থেকে মাধুকরী করে বেড়ানো আম গোঁসাই বাবা –এক লহমায় হয়ে যান দূরের নক্ষত্র ।   প্রখ্যাত মানুষেরা কখনো তাদের নির্দিষ্ট কক্ষ পথ ছেড়ে বেরুতে পারেন না। কিন্তু সাধারনেরা সে ক্ষেত্রে মুক্ত বিহঙ্গ। তাদের নেই কোনো প্রোটোকল রক্ষা করে চলার দায়। তারা মুক্ত ধূমকেতুর মত আছড়ে পড়তে পারে এ মহা ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র। তাদ...

এবারের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী, জন ফস চেয়েছিলেন রক গিটারিস্ট হতে!

নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়েতে তখন দুপুর ১ টা। দেশের পশ্চিম উপকূলের একটি শান্ত পথ, সমুদ্র খাঁড়ির (Fjord) ধার ধরে চলে গেছে হাউজসুণ্ডের দিকে। সূর্য মধ্যগগনে, তাই পথ ঘাট তেমন জনাকীর্ণ ছিল না, ফোর্ডের। গাড়ি, ঘোড়াও দেখা যাচ্ছিলো না সেভাবে। নিশ্চিন্তে ফোর্ডের পথ ধরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, প্রায় বার্ধক্যের দ্বারে উপনীত ৬৪ বছর বয়সি এক প্রৌঢ়। কিছুটা দূরেই ওনার বাসস্থান। গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে ভালোই উপভোগ করছিলেন নির্জনতার শান্তি। এমন সময়ে মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল, খানিক বেরসিকের মতন। মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নাম্বার, প্রৌঢ়ের কাছে অপরিচিত। ফোনটা ধরে, বিরক্তি সহকারে ‘হ্যালো’ বলতেই ওপার থেকে ভেসে এল এক রাশভারী কণ্ঠস্বর, “আমি কি জন ফসের সঙ্গে কথা বলছি?” “হ্যাঁ, বলুন।“ “আমি সুইডিশ নোবেল কমিটির পার্মানেন্ট সেক্রেটারি Mats Malm বলছি।“ প্রৌঢ় এবার একটু নড়ে চড়ে বসলেন। কণ্ঠ স্বরে বিরক্তির জায়গায়, আনন্দঘন বিস্ময়। কিন্তু তখনই আনন্দে ফেটে পড়তে যথেষ্ট দ্বিধাগ্রস্ত তিনি। কারণ গত দশ বছর ধরে তার নোবেল প্রাপ্তির সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও শেষ মুহূর্তে এসে তার নাম বাদ গেছে লিস্ট থেকে। এবার যাতে তেমন না হয়, ফস ফের এ...

ইয়া দেবী সর্বভূতেষূ শিউলি রূপেণ সংস্থিতা!

ইয়া দেবী সর্বভূতেষূ শিউলি রূপেণ সংস্থিতা! নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ ।। কিন্তু কেন শিউলি রূপেণ সংস্থিতা ? উত্তর দেওয়ার আগে, একটা গল্প বলি। গল্পের মূল চরিত্র একটি মেয়ে । তার নাম পারিজাতিকা। পারিজাতিকা চেয়েছিল, সূর্যকে ভালোবাসোতে। চেয়েছিল, সূর্যের উজ্জ্বল বুকে তার নরম আদরের স্পর্শ এঁকে দিতে। কিন্ত পারে নি। সূর্য যে তার প্রেমের প্রতি ভীষণ উদাস। সূর্যের এই প্রত্যাখ্যানকে পারিজাতিকা হয়তো উপেক্ষা করতে পারতো। কিন্তু  না, পারিজাতিকা তাও পারে নি । সূর্যের আকাশ সমান উন্নাসিকতার সামনে, তার নিখাদ প্রেমের এ হেন হেনস্থা সে কি করে সহ্য করবে! বিষাদের ধূসর মেঘ যে সহস্র ভুজঙ্গের ফনা মেলে তেড়ে আসছিল তার দিকে। গ্রাস করে নিতে চেয়েছিল তার সমগ্র সত্তাকে ।   নিরুপায় পারিজাতিকার তাই সূর্যকে হৃদয়সখা হিসেবে বরন করে নেওয়ার স্বপ্ন থেকে যায় অপূর্ণ। পরিবর্তে তাকে বরন করে নিতে হয় সেই অন্ধকারের ঠিকাদার, মৃত্যুকেই । হ্যাঁ, পারিজাতিকা আত্মহনন করে । এই পর্যন্ত এসে আপনাদের মনে হতে পারে এটা কোনো মামুলি টলিউডি সিনেমার গড়পড়তা প্রেমের গল্প ছাড়া কিছু নয় । কারণ এমনিতে এই কাহিনীতে কোনো নতুনত্ব তো নে...

রক্তবীজ, আসছে পুজোয়! কিন্তু কয়েকটি প্রশ্ন!

বাংলা সিনেমার একমাত্র চিত্র-পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যেভাবে তাদের পরবর্তী ছবি ‘রক্তবীজ’ কে ‘পুজোর ছবি’ আখ্যা দিয়ে বোধনের প্রাক সন্ধ্যায় ছবিটিকে রিলিজ করার কথা ঘোষণা করেছেন তা বেশ চমকপ্রদ। কারণ এই প্রথম দুর্গা পূজার সময় নন্দিতা-শিবপ্রসাদের কোনো ছবি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। ঘোষণা অনুসারে মুক্তির তারিখ - ১৯ শে অক্টোবর, মহাপঞ্চমীর দিন। খবরে প্রকাশ, রূপোলী পর্দায় ঝড় তুলতে ওইদিন একযোগে বাংলা, উড়িয়া, অসমীয়া সহ হিন্দি ভাষাতে মুক্তি পাচ্ছে 'রক্তবীজ'। গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তি পেয়েছে ‘রক্তবীজ’এর ট্রেলার। ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের এই ট্রেলার শুরুই হয় পিতৃপক্ষ অন্তে দেবীপক্ষের সূচনা দিয়ে। দেখা যায় মহালয়ার ভোরে, সূর্যোদয়ের ছবি। ভেসে আসে আকাশবানীতে প্রচারিত বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র বন্দনা ভাষ্য “আশ্বিনের শারদ প্রাতে জেগে উঠেছে আলোকমঞ্জীর ......”  কিন্তু তাল ভাঙে বিস্ফোরণের শব্দে। দেখা যায় কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার দাবাং অফিসার পঙ্কজ সিং কে। পর্দায় পঙ্কজ সিং এর চরিত্রে, আবীর চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যায় রিভলভার হাতে অপরাধীর পেছনে ধাওয়া ...