সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রক্তবীজ, আসছে পুজোয়! কিন্তু কয়েকটি প্রশ্ন!

বাংলা সিনেমার একমাত্র চিত্র-পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যেভাবে তাদের পরবর্তী ছবি ‘রক্তবীজ’ কে ‘পুজোর ছবি’ আখ্যা দিয়ে বোধনের প্রাক সন্ধ্যায় ছবিটিকে রিলিজ করার কথা ঘোষণা করেছেন তা বেশ চমকপ্রদ। কারণ এই প্রথম দুর্গা পূজার সময় নন্দিতা-শিবপ্রসাদের কোনো ছবি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। ঘোষণা অনুসারে মুক্তির তারিখ - ১৯ শে অক্টোবর, মহাপঞ্চমীর দিন। খবরে প্রকাশ, রূপোলী পর্দায় ঝড় তুলতে ওইদিন একযোগে বাংলা, উড়িয়া, অসমীয়া সহ হিন্দি ভাষাতে মুক্তি পাচ্ছে 'রক্তবীজ'।

গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তি পেয়েছে ‘রক্তবীজ’এর ট্রেলার। ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের এই ট্রেলার শুরুই হয় পিতৃপক্ষ অন্তে দেবীপক্ষের সূচনা দিয়ে। দেখা যায় মহালয়ার ভোরে, সূর্যোদয়ের ছবি। ভেসে আসে আকাশবানীতে প্রচারিত বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র বন্দনা ভাষ্য “আশ্বিনের শারদ প্রাতে জেগে উঠেছে আলোকমঞ্জীর ......”  কিন্তু তাল ভাঙে বিস্ফোরণের শব্দে। দেখা যায় কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার দাবাং অফিসার পঙ্কজ সিং কে। পর্দায় পঙ্কজ সিং এর চরিত্রে, আবীর চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যায় রিভলভার হাতে অপরাধীর পেছনে ধাওয়া করতে।
এখন প্রশ্ন পুজোর ছবিতে কেন এই বিস্ফোরণ? কেনই বা এই পুলিশি তৎপরতা? তার উত্তর পেতে পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২ রা অক্টোবর, মহাঅষ্টমীর দিনে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনায়। ঘড়িতে সময় তখন দুপুর বারোটা, পুজোর অঞ্জলী মন্ত্রে মুখরিত চারদিক, আর সেই সময় হঠাৎ - এক ভয়ানক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে বর্ধমানের খাগড়াগড় অঞ্চল। ঘটনাস্থলে মারা যায় দুজন জঙ্গি, আহত হয় একজন। ‘রক্তবীজ’ এর কাহিনীকার ত্রয়ী নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং জিনিয়া সেন এই ছবির গল্প এগিয়ে নিয়ে গেছেন ২০১৪ সালে ঘটা এই সত্য ঘটনার উপর ভর করেই। ছবিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়িকা থেকে রাজনিতিক হওয়া মিমি চক্রবর্তী। পর্দায় তাকে দেখা যাবে পুলিশের পোষাকে, বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপারের ভূমিকায়।
একদিকে পুজোর আবহ আর তার মধ্যেই ঘটে  যাওয়া ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, এবং তারপর ঘটনার পুলিশি তদন্ত ঘিরেই কি আবর্তিত হতে থাকবে ছবির গল্প? উত্তর পাওয়ার আগেই পর্দা জুড়ে আবির্ভূত হয় লম্বা গাড়ির কনভয়। গ্রামে ফিরছেন প্রেসিডেন্ট, বাড়ির পুজোয়। প্রেসিডেন্টের চরিত্রে, আন্তর্জাতিক বাঙালী অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে অভিনয় করতে। অনেক দিন পরে, ভিক্টরকে আবার বাংলা সিনেমায় দেখা যাবে বলে ইতিমধ্যে দর্শক মহলে দারুন উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। যে অভিনেতা একসময় হিরো হিসেবে, বাংলায় অনেক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন, আবার চমৎকার চরিত্রাভিনেতা হিসেবেও যিনি জগৎবিখ্যাত, সেই ভিক্টরকে এই ছবিতে দেখা যাবে মাতৃ মূর্তির সামনে কখনো পঞ্চপ্রদীপ হাতে আবার কখনো চামর হাতে আরতি করতে। হয়তো, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বেঁচে থাকলে ‘বেলাশেষে’ এবং ‘পোস্ত’র পরিচালক জুটি ভিক্টরের স্থানে সৌমিত্রকেই ভাবতেন কিনা, এ প্রশ্ন সম্ভবত অনুত্তরিতই থেকে যাবে।
আসলে ভিক্টরের আগমনের পরে, কাহিনীতে আসে অন্য টুইস্ট। ট্রেলারের পরতে পরতে পাওয়া যায় তার আঁচ। শত্রুর পাতা ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় পদে পদে। প্রশ্ন ওঠে, ভিক্টরের নিরাপত্তা নিয়ে। প্রেসিডেন্টের জীবনের উপরে কি আসতে পারে কোনো থ্রেট? বার বার দর্শকমনে উঁকি দেওয়া এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকে থ্রিলার ধর্মী এই ছবির প্রতি মুহূর্তে তৈরি হওয়া হাড় হিম করা সাসপেন্স ঘন পরিবেশে। ছবির সংলাপেও পাওয়া যায় তার আঁচ। কখনো আবার ছবির দুই মূল চরিত্র আবীর এবং মিমির কথাবার্তায়  উঠে আসে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের চেনা ছবি।
ভিসন রিলিফ হিসেবে এ ছবিতে যেমন দেখা যায় দীগন্ত বিস্তৃত সবুজ ধানখেতের ছবি, শোনা যায় মন ভালো করা দোহারের গান তেমনি থাকে অস্ত্রের কোপে মানব শরীরের ফালা ফালা হওয়ার ভয়ানক দৃশ্যও। শোনা যায় গোলাগুলির আওয়াজ, সন্ত্রস্ত করে মূর্তিমান আতঙ্কের ক্রুর চাহনি।
কিন্তু এতসবের পরে যে প্রশ্নটি স্বাভাবিক ভাবে উঠে আসে সেটি হল এই ছবির প্রযোজক সংস্থা উইন্ডোজ প্রোডাকশন কতটা নিশ্চিত, ছবির বক্স অফিস সাফল্য নিয়ে। কারণ মুক্তির দিন থেকেই ‘রক্তবীজ’ কে লড়াই করতে হবে ইতিমধ্যে ১০০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলা শাহরুখ খান অভিনিত সুপারহিট ছবি ‘জওয়ান’ এর সঙ্গে। একই সঙ্গে লড়াই করতে হবে পুজোর মরসুমে সিনেমা হল বিমুখ বাঙালীর বহু পরিচিত ‘বদ অভ্যাসের’ বিরুদ্ধেও। এর পাশাপাশি ওই একই দিনে অন্য একটি বড় বাজেটের ছবি, দেব অভিনীত 'বাঘা যতীন' এর রিলিজ হওয়ার ঘোষণায় তৈরি হয়েছে দর্শক আগ্রহের ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনাও। যদিও ‘রক্তবীজ’কে নিয়ে এখনই তৈরি হওয়া কৌতূহল এবং উৎসাহ হয়তো আগামী দিনে অন্য ইতিহাস রচনা করবে। কিন্তু সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকটা দিন।
এবার যে প্রশ্নটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল, পরিচালকের দাবী মেনে ‘রক্তবীজ’ এর কি পুরোপুরি পুজোর ছবি হয়ে ওঠা হল?  
পরিচালক শিবপ্রসাদ এক জায়গায় ‘রক্তবীজ’ কে তাঁর পুজোর ছবি বলার পেছনে কারণ হিসেবে বলছেন যে দুর্গা পূজার নেপথ্যেও রয়েছে সেই হানাহানি, যুদ্ধ আর ন্যায়-অন্যায়ের বিরোধ। পরিশেষে যদিও ন্যায়েরই জয়লাভ হতে দেখা যায় আসুরিক শক্তির বিনাশের মাধ্যমে। তাই সবশেষে অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটানো শুভ শক্তির পুজা বা উপাসনার পর্বও আসে অবধারিতভাবে। 
শুধু তাই নয়, ছবির নামকরণেও দেখা যায় সেই লড়াইয়েরই দ্যোতনা নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা। কারণ স্কন্দ পুরান বা মার্কণ্ডেয় পুরান অনুসারে, 'রক্তবীজ' আসলে ছিলেন এক মহা পরাক্রমশালী অসুর। যার কাছে ছিল ব্রহ্মার বর। তার শরীর থেকে নির্গত রক্ত মাটিতে পড়লেই তার মত দেখতে এবং তার মত  ক্ষমতাশালী শত সহস্র নকল রক্তবীজ এর জন্ম হত। তাই তিনি প্রায় অবধ্য ছিলেন। এমনকি যুদ্ধে হারিয়ে দেবতাদের তিনি করেছিলেন স্বর্গচ্যুত। এবং সবশেষে, মা পার্বতী কে প্রেম প্রস্তাব পাঠিয়ে  আগুনে ঢেলেছিলেন ঘি। ফলশ্রুতিতে শুরু হয়েছিল প্রচণ্ড যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে মা পার্বতী কালীর রূপ ধরে রক্তবীজের সমস্ত রক্ত তাঁর লম্বা জিহ্বা দিয়ে শুষে নিয়েছিলেন এবং রক্তশূন্য করে শেষ পর্যন্ত নিধন করেছিলেন এই অত্যাচারী অসুররাজ রক্তবীজকে।
কিন্তু এই ছবিতে রক্তবীজ কি কোনো ব্যক্তি? নাকি রক্তবীজ কোনো অবিনাশ যোগ্য সর্বনাশের ভাবনা? যাকে রবীন্দ্রনাথ বর্ণিত আদর্শ ছোট গল্পের মত শেষ করেও শেষ করা যায় না?
পুরানের পাতায় যদিও দেবীর হাতে রক্তবীজের বিনাশ হতে দেখা যায়। কিন্তু ছবিতে কি রক্তবীজের বিনাশ ঘটানো যাবে? আর যদি ঘটানো যায় তবে কে সেই বিনাশকারী শক্তি? মিমি নাকি আবীরকে দেখা যাবে এই ভূমিকায়? নাকি রক্তবীজেরা থেকে যাবে রক্তের মধ্যেই , নতুন কোনো রক্তবীজের জন্ম দিতে? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অপেক্ষা করেতেই হবে ১৯ শে অক্টোবর পর্যন্ত। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...