সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইচ্ছে মৃত্যু হয়, ইচ্ছের নয়!

ইচ্ছেমৃত্যু হয়; যেমন গঙ্গা পুত্রের হয়েছিল! কিন্তু ইচ্ছের মৃত্যু হয় না কোনোদিন! ইচ্ছের দম থাকলে, স্বয়ং ঈশ্বরও সেই ইচ্ছেপূরণের জন্য তাঁর সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। অপূর্ণ ইচ্ছের স্রোত, মৃত চেতনাতেও প্রবাহিত হয় নিরন্তর। পার্থিব শরীরের বিনাশ, ইচ্ছেকে মূল্যহীন করতে পারে না। আসলে, আন্তরিক ইচ্ছে অবিনশ্বর ও চির অমর। মৃত্যুর পরেও সক্রিয় থাকে তার পূর্ণ হওয়ার দাবী।

যেমনটি হলো ৭৬ বছর বয়সী সঞ্চিতা বক্সীর জীবনে; বেঁচে থাকতে, একান্তে জানিয়েছিলেন তাঁর ইচ্ছের কথা। কিন্তু সেটা পূরণ হোল, তাঁর জীবনাবসানের পরে। না, আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ব্যাপারে, কোনো ইচ্ছে পত্র করে যাননি তিনি। মায়ের ইচ্ছের কথা শুধু জানতেন তাঁর চক্ষুবিদ মেয়ে ও জামাই। পাশাপাশি, তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে, তাঁর মনের গোপন ইচ্ছের কথা বারবার প্রত্যয়িত হতে দেখা গেছে, মৃত্যু পরবর্তী অঙ্গদান সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠানে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি ও তাঁর দেওয়া সেইসময়কার বিভিন্ন বক্তৃতায়। এই বিষয়ে তাঁর সপ্রশ্রয় দৃষ্টিভঙ্গি সেই কথারই প্রমান দিয়ে এসছে বারবার। তিনি নিজেও ছিলেন পেশায় ডাক্তার; জন্ম, আসানসোলের মাতুলালয়ে। কিন্তু বাবা, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর স্থিত অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আধিকারিক থাকার সুবাদে, তাঁর পড়াশোনা, বড় হওয়া সবই সম্পন্ন হয় জব্বলপুরে। বড় মেয়ে, অনিন্দিতা বিশ্বাস জানালেন জব্বলপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকেই, তাঁর মা, এম বি বি এস পাশ করেন। পরবর্তী কালে পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারে রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগে যোগদান করেন এবং অবসরের আগে পর্যন্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন। প্রায় তিন দশক ধরে যুক্ত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে। পালন করেছেন রাজ্য যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া অধিকর্তার ভূমিকা। কৃষ্ণনগরের দইয়ের বাজারে শ্বশুরবাড়ি, সঞ্চিতা দেবী, নদীয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার দায়িত্বও পালন করেছেন ২০০৬ সাল অবধি। দৃঢ় প্রশাসক হিসেবে পরিচিত, শ্রীমতী বক্সী সেখান থেকে সরাসরি নিযুক্ত হন, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বোচ্চ পদে। ২০০৯ সালে অবসর নেওয়া অবধি, তিনি বহাল ছিলেন রাজ্য মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদে।

তাঁর মৃত্যুর খবর আজ (১৫/৯/২০২৫) যখন টাইমস্ অব ইন্ডিয়ার সকালের কাগজে পড়ি তখন বেশ চমকে যাই। কারণ, কর্মসূত্রে আমার ফার্স্ট পোস্টিং, নদীয়ার পলাশীপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে তিনি ভিজিটে এসেছেন, তবে তা যতটা না প্রশাসনিক অনুসন্ধানের জন্য তার থেকে বেশী আত্মীয়তার সূত্রে । তিনি বলতেন এটি আমার মেয়ের বাড়ির হাসপাতাল। কারণ পলাশীপাড়ায় তাঁর বড় মেয়ে অনিন্দিতার শ্বশুর বাড়ি। সেই সময়ের ব্লক মেডিকেল অফিসার, ডঃ পবিত্র ব্যাপারি কে বিকেলে খবরটা জানাতে তিনিও বেশ আশ্চর্য হলেন। বললেন, যখনই হাসপাতালের প্রয়োজনে স্বাস্থ্য ভবনে গিয়েছি, ম্যাডাম ভীষণ তৎপরতায তা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। খুবই সিনসিয়ার অফিসার ছিলেন, বিশেষ করে পলাশীপাড়া হাসপাতালের জন্য একটা সফ্ট কর্ণার ছিল উনার মনে। বললেন এমন অফিসার পাওয়া খুবই দুর্লভ এখন। শোক ব্যক্ত করলেন।
জানতে চাইলেন কি হয়েছিল। খবর কাগজের সূত্র ধরে বললাম, সেরিব্রাল স্ট্রোক। ঘটনার সূত্রপাত,
মঙ্গলবার (১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ভোর রাতে; হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে, দ্রুত তাঁর নিউ টাউনের বাসস্থল থেকে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। যদিও অস্ত্রোপচার বা অন্য কিছু করা সম্ভব হয়নি। পরের দিন, ১১ই সেপ্টেম্বর, সকাল ১১ টা ৩০ নাগাদ, ডাক্তাররা জানিয়ে দেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে, মস্তিস্কের কোষগুলিকে আর পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ ব্রেন সেল গুলো আর বেঁচে নেই।
আর এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর ইচ্ছে পূরণ করার ভাবনা চিন্তা। স্বামী, অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার অসিত রঞ্জন বক্সী থেকে শুরু করে দুই মেয়ে এবং জামাই ডাক্তার রূপক বিশ্বাস, সকলে মিলে স্থির করেন তাঁর দেহ দানের কথা। কারণ তিনি নেই। কিন্তু তাঁর ইচ্ছে পূরণ করার দায়, একান্ত ভাবেই তখন এসে বর্তায় তাঁর নিকটজনের ওপর। যার সারা জীবনের ব্রত ছিল, মানুষের কল্যানে পরিকল্পনা রচনা করা ও তার সফল রুপায়ণের মাধ্যমে নিজের জীবনের পরিপূর্ণতা খুঁজে পাওয়া, মৃত্যুর পরেও, তিনি মুমূর্ষু মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার নতুন আলো হয়ে তাঁর অগ্রনী ভূমিকা পালন করলেন।
আত্মীয়জনের সম্মতি লাভের পরে, যথারীতি অঙ্গ রিট্রিভ করার প্রস্তুতি শুরু হয়। এবং শেষমেষ, তিনি না থাকলেও তাঁর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে যেভাবে সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হয় তা আলোড়িত করেছে সকলকেই।
অনতিবিলম্বে, খবর যায় ROTTO East এর দপ্তরে। এবং ডাক্তারদের একান্ত সহযোগিতায় সঞ্চিতা বক্সীর দুটো কিডনি, লিভার এবং চোখের কর্ণিয়া সংরক্ষিত করা সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, কথায় বলে না - ইচ্ছে থাকলে কি না হয়, ঐ দুটো কিডনিকে এমনকি এক ৪৯বছর বয়সী রোগিনীর শরীরে সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত করাও সম্ভব হয়। লিভারটি পান পিজি হাসপাতালে ভর্তি এক ৪৮ বছর বয়সী পুরুষ রোগী। কর্ণিয়া দুটি, আপাতত এক বেসরকারী হাসপাতালের আই ব্যাঙ্কে সংরক্ষিত করা হয়েছে।
সঞ্চিতা বক্সীর ছোট মেয়ে, পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অনুস্মিতা বক্সী সাংবাদিককে বলেছেন, তাঁর মায়ের এই ইচ্ছাপূরণ আগামী দিনে সমাজের বহু মানুষকেই উদ্দীপিত করবে দেহদানের মত মহৎ কাজে ব্রতী হতে। পেশায় হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, সম্পর্কে সঞ্চিতা বক্সীর বেয়াই, বিবেকানন্দ মণ্ডল কে আমি চিনতাম আমার পলাশীপাড়ায় থাকাকালীন সময় থেকে। সেই সুত্রে, আমার ফোন পেয়েই বিবেকানন্দ বাবু ওরফে চাঁদু দা আবেগ তাড়িত হয়ে বললেন, গত বছরই সঞ্চিতা বক্সীর বিবাহ বার্ষিকীতে গিয়ে কত আনন্দ করেছিলেন, সেই কথা; বললেন, পলাশীপাড়ায় মেয়ের বাড়িতে এলে, তার সঙ্গেই বেশী সময় কাটাতেন। "একদম ঘরোয়া এবং সাদাসিধে মানুষ ছিলেন সঞ্চিতা দি; অথচ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে কত গম্ভীর।" বিবেকানন্দ বাবুর বন্ধু তথা স্বাস্থ্য কর্মী গিরিধর বিশ্বাস, সুব্রত পণ্ডিতেরাও সঞ্চিতা দেবীর মৃত্যুর খবরে গভীর শোক প্রকাশ করে, একজন সহৃদয় প্রশাসক হিসেবে সঞ্চিতা বক্সীর স্নিগ্ধ ব্যক্তিত্বের কথা, অত্যন্ত শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করলেন।
এই প্রসঙ্গে, পূর্বাঞ্চল ROTTO থেকে যে পরিসংখ্যান মিডিয়াকে জানানো হয়েছে তাতে সঞ্চিতা বক্সীর মৃত্যু পরবর্তী অঙ্গদানের ঘটনা একটা বৃহত্তম নজির সৃষ্টি করেছে ব'লে বলা যায়। কারণ, বৃদ্ধ বয়সে দেহদানের ঘটনা বিরল না হলেও, মৃত্যু পরবর্তী কোনো সত্তরোর্ধ্ব শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গদানের ঘটনা এই প্রথম; এবং সর্বোপরি সেই অঙ্গের যেভাবে সফল প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়েছে, তা এর আগে হয়নি, একেবারেই বেনজির।
আসলে ইচ্ছে যদি মহৎ হয় তবে তা পূরণে স্বয়ং ভগবান ও সহায় হন।

প্রয়াত স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্রীমতী সঞ্চিতা বক্সীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন; যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় হয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে; মাত্র চার বছর বয়সে পড়া - যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি তিনি মুক্ত হতে; ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন, ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইনের কথা - সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘ...

জনগণমনঃ জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠার ইতিহাস ও কিছু প্রশ্নের উত্তর!

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ব্রহ্ম সঙ্গীত ‘ জনগণমন অধিনায়ক’ কে দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মান্যতা দেওয়ার সর্ব সম্মীলিত সিদ্ধান্ত হয় ১৯৫০ সালের ২৪ শে জানুয়ারি । কিন্তু কেন এত দেরী? দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও কেন তিন বছর সময় লেগেছিল জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন করতে? ‘ভারত বিধাতা’ শিরোনামে লেখা, স্বদেশ পর্যায় ভুক্ত (গীতবিতান অনুসারে) এই রবীন্দ্রগীতিটি কিভাবে -  দেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার পথে একটু একটু করে এগিয়ে গেল! ‘জনগনমন’র জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠার নেপথ্য কাহিনীই আজ আমরা ফিরে দেখবো এই প্রবন্ধে।  ১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট - দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরে অবশেষে দেশবাসীর ভাগ্যাকাশে এসে উপস্থিত হোল বহু আকাঙ্খিত সেই দিনটি। উদিত হোল স্বাধীনতার নতুন সূর্যের।   স্বাধীন হোল দেশ। কিন্তু সদ্য ব্রিটিশ অধীনতা মুক্ত দুটি দেশ ভারত এবং পাকিস্থান তখনও পায় নি স্বতন্ত্র সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা। ১৯৪৭ এর ১৮ই জুলাই তারিখে লাগু হওয়া ভারতীয় স্বাধীনতা আইন অনুসারে নিজ নিজ সংবিধান প্রণয়নের আগে পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্থান এই দুটি ভূখণ্ড কমনওয়েলথ দেশের অধীনস্থ দুটি অধিরাজ্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারা...