সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসঃ এক ওড়িয়া যুবকের গল্প!

সুভাষ বোস বাঙালি হয়েছেন ১৭ বছর বয়সে। নেতাজী হয়েছেন তারও অনেক পরে। সাধারণ জনমানসে, সুভাষের সঙ্গে ওড়িশার, বিশেষ করে ওড়িশার কটক শহরের সম্পর্ক, শুধুই সুভাষের জন্মস্থান হিসেবে। এ কথা ঠিক ১৮৯৭ সালের ২৩ শে জানুয়ারি, কটকের ওড়িয়া বাজার অঞ্চলে যে পেল্লাই দো-তলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন সুভাষের বাবা জানকীনাথ বোস, সেই বাড়িতেই মা প্রভাবতী দেবীর কোল আলো করে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন ভারতের এই বীর, মহান সন্তান। কিন্তু প্রায়শই আমরা ভুলে যাই জন্মের পরে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সুভাষকে একটু একটু করে নেতাজী করে গড়ে তোলার পেছনে কটকের জলহাওয়ার অবদান কতটা!


মহানদীর তীরে বসা কটক শহর, ভারতবর্ষের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৯৪৮ সালে, ভুবনেশ্বরে স্থানানন্তরিত হওয়ার আগে অবধি, কটকই ছিল ব্রিটিশ শাসনাধীন ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী। পরবর্তী কালে প্রশাসনিক অনেক কার্যালয় ভুবনেশ্বরে সরে গেলেও, ওড়িশার উচ্চ আদালত এখনও পর্যন্ত রয়েছে কটকেই। যে আদালতে ওকালতি করতেন সুভাষের বাবা। প্রখ্যাত আইনজীবী জানকীনাথ বোস তাঁর পৈতৃক ভিটে কোলকাতা সংলগ্ন, চাঙড়িপোতা, কোদালিয়া (বর্তমানে, সুভাষগ্রাম) থেকে ১৮৮০ সালে চলে আসেন কটক শহরে। সেখানেই জন্ম হয়  জানকীনাথের নবম সন্তান, সুভাষের।
সুভাষ তাঁর আত্মজীবনী, ‘An Indian Pilgrim’ এ কটক সম্বন্ধে যা লিখেছেন তাতে বোঝা যায়, সুভাষ কতটা উচ্চ ধারনা পোষণ করতেন তাঁর এই জন্মস্থান তথা তাঁর কৈশোর এবং যৌবনের সোনালী দিনগুলি যেখানে কেটেছে সেই ‘City of Silver’,  
কটক শহর সম্পর্কে।

কটকের বাড়ি, এখন নেতাজী মিউজিয়াম।

 ১৯৩৭ এর শেষের দিকে, ইউরোপ সফর কালে সুভাষ লিখেছিলেন তাঁর এই আত্মজীবনী। আত্মজীবনীতে, সুভাষ তাঁর দীর্ঘ কটক যাপনের কথা যার মধ্যে তাঁর শৈশব এবং স্কুলজীবন রয়েছে, তুলে ধরেছেন বেশ অকপট এবং গৌরবময় অনুভূতির রঙে।  
সুভাষের কটক সম্বন্ধীয় ধারনার আঁচ পেতে আত্মজীবনীর বিশেষ এই অংশটি এখানে তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। প্রথমে ইংরেজি, পরে বঙ্গানুবাদে।   
“Though at that time a comparatively small town with a population of 20,000, Cuttack had an importance of its own owing to a variety of factors. It had an unbroken tradition since the days of the early Hindu kings of Kalinga. It was de facto capital of Orissa which could boast of such a famous place of pilgrimage as Puri and glorious art relics as those of Konarka, Bhubaneswar and Khandagiri-Udayagiri. It was the headquarters not only for the British administration in Orissa, but also for the numerous ruling chiefs in that province. Although Cuttack afforded a healthy environment for the growing child, it had some of the virtues of both city and country life.”
“এ কথা ঠিক, মাত্র ২০,০০০ লোক সংখ্যা বিশিষ্ট কটক শহর, আয়তনের বিচারে তেমন বড় কিছু নয়। কিন্তু, গুরুত্বের দিক দিয়ে কোনোভাবেই একে খাটো করে দেখানো সম্ভব নয়।সেই কলিঙ্গ রাজাদের আমল থেকেই এই শহরের ঐতিহ্যমণ্ডিত ইতিহাস সর্বজনবিদিত। শুরুর থেকেই ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী হওয়ার গৌরবে গৌরবান্বিত এই শহর, যার অনতিদূরে রয়েছে পুরী ধামের মত জগতবন্দিত তীর্থ স্থান। এছাড়াও কোনারক, ভুবনেশ্বর কিংবা খণ্ডগিরি বা উদয়গিরির স্থাপত্যকলা সমৃদ্ধ নিদর্শন গুলিও আদিকাল থেকে গড়ে উঠেছে এই শহরকে কেন্দ্র করেই। ব্রিটিশ শাসনের আগেও দেশীয় নৃপতিরা কটক থেকেই তাদের রাজ্য পরিচালনা করেছেন। এই শহরের জীবন চর্যায় গ্রাম এবং শহর দুই ধারারই জীবন ধারার প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া যায়, খুব সহজে। সর্বোপরি, এই শহরের স্নিদ্ধ আবহাওয়া, শিশুদের জন্যে খুবই
 স্বাস্থ্যকর এবং তাদের বেড়ে ওঠার পক্ষে আদর্শের।" 


ছোট্ট সুভাষ, পরিবারের সবার সঙ্গে।

সুভাষের যখন পাঁচ বছর বয়স, অর্থাৎ সাল ১৯০২ য়ে ছোট্ট সুভাষ ভর্তি হন Protestant ইউরোপিয়ান স্কুলে। স্কুলটি ছিল কটকে, সুভাষের বাড়ির কাছেই। ছোট্ট সুভাষ দাদাদের হাত ধরে, হেঁটে হেঁটে পৌঁছতেন স্কুলে। এর পরে, ১৯০৯ সালে সুভাষ তাঁর প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে, ভর্তি হন ঐতিহ্যময় রেভেনশা কলেজিয়েট স্কুলে। এবং সেখান থেকেই তিনি তাঁর মেট্রিকুলেশন কমপ্লিট করেন ১৯১২ সালে। নিঃসন্দেহে সুভাষের এই দীর্ঘ স্কুল জীবন, পরবর্তী কালে তাঁকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রধান শত্রু হিসেবে পরিণত করার পেছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছিল। সুভাষ তাঁর আত্মজীবনীতে, কলেজিয়েট স্কুলের কথা উল্লেখও করেছেন সবিশেষে। সর্বোপরি কলেজিয়েট স্কুলের তখনকার হেড মাষ্টার বেনীমাধব দাসের কথা, সুভাষ তাঁর আত্মজীবনীতে স্মরণ করেছেন বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে। বেনীমাধব দাস যেমন সুভাষের মেধায় ছিলেন মুগ্ধ, সুভাষও তাঁর জীবনের আদর্শ এই হেড মাষ্টার মশাইয়ের প্রভাব স্বীকার করেছেন অক্লেশে।
"I secretly said to myself that if I wanted an ideal for my life it should be to emulate him’   সুভাষ লিখেছেন ‘An Indian Pilgrim’ এ।

ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার এক বছর পরে, অর্থাৎ ১৯১৩ সালে, উচ্চশিক্ষার জন্যে ১৭ বছরের ওড়িয়া যুবক সুভাষ, অবশেষে আসেন বাংলার কোলকাতায়। ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে।
সুভাষের বাবা, মা সহ পুরো পরিবার, তখনো কটকেই। তাই ওড়িয়া সুভাষের, বিভিন্ন ছুটির অবসরে কোলকাতার প্রবাস ছেড়ে বাড়ি ফেরা চলতো অবিরাম।
সুভাষ নিজেও বোধহয় তাঁর ওড়িয়া আইডেন্টিটিকে নিয়ে বেশ সপ্রতিভই ছিলেন। সবথেকে বড় কথা, সুভাষ নিজেকে কখনো বঙ্গ সন্তান বলে পরিচয় দেননি। সে যতই বাঙালীরা সুভাষকে বাংলার সন্তান বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করুক না কেন, সুভাষ কিন্তু উৎকল সন্তান বলেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন সবসময়। 
“Being a son of Utkal, my heart is always there...”
এ কথা তো সত্যি, জীবনের সেরা সময়টা তিনি ওড়িশাতেই কাটিয়েছেন; সুভাষ সে কথা স্বীকারও করেছেন অকপটে।  The best part of my life was spent in Odisha...”,
ওড়িয়া সুভাষ কি ওড়িয়া জানতেন? বলতে পারতেন ওড়িয়া? কারণ, তাঁর স্কুল জীবন কটকে কাটলেও, তিনি কিন্তু কোনো ওড়িয়া মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেননি। প্রথম থেকেই পড়েছেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। আর স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরলে, বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যাবতীয় কথোপকথন চলতো বাংলাতেই। 
তাই প্রশ্ন থেকেই যায়। আর এই প্রশ্নের নিরসন করতে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করা খুব দরকার এখানে। ১৯২০ তে সুভাষ, উৎকল বন্ধু পণ্ডিত গোপবন্ধু দাসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওড়িয়া শ্রমিক-মজদুরদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষে এবং বিশেষ করে তাদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে একটা সভা ডাকেন কোলকাতা শহরে। সেখানে সুভাষ বক্তব্য রাখেন শুদ্ধ ওড়িয়ায়। সভাস্থল ফেটে পড়ে হাততালিতে এবং উপস্থিত শ্রমিকদের তুমুল হর্ষ ধ্বনিতে। 
সুভাষ শেষ বারের মত কটকে এসেছিলেন ১৯৩৯ সালের ৫ই আগস্ট। রেভেনশা কলেজের সভায় বক্তব্যও রেখেছিলেন সেদিন। 
তারপরে আর সুভাষের ‘ঘরে ফেরা’ হয়নি ঠিকই, কিন্তু কটক শহর, শহরে অবস্থিত হাই কোর্ট, হাই কোর্ট সংলগ্ন সেই ‘জানকিভবন’ যা এখন ওড়িশা সরকারের কল্যানে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়েছে, রেভেনশা কলেজিয়েট স্কুল, মহানদী, মহানদীর পাড় এখনও যে সেই ওড়িয়া যুবক সুভাষের অপেক্ষায় প্রহর গোনে। 

তথ্য সুত্রঃ Subhas Chandra Bose: The star of Cuttock, The Telegraph India.

Netaji Subhas had an undying love for Odisha, The Pioneer 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...