আকাশের ছাদ, নীল। আর মেঘের ছাদ - কখনো আমলকী-সবুজ রঙের ছানা কাটা দুধে ভরা উল্টানো কড়াই তো কখনো ফুলো ফুলো সাদা তুলোর মত সংযুক্ত রাষ্ট্রের ছেঁড়া মানচিত্র। কখনো শুভ্র ফেনিল উচ্ছ্বাস তো কখনো ধূসর, ঘন নিশ্চল ক্যানভাস। যে ক্যানভাসে হঠাৎ অশনির ঝিলিক - মেঘের ছাদ ভেঙে পডার বার্তা বয়ে আনে, মুগ্ধতার বিস্ময় ভেঙে।
আকাশের ছাদ গলে পড়া রোদ্দুর, কখনো বিকিনি বেলার আদুরে চুম্বন ধারা তো কখনো গলিত লাভার স্পর্ধিত, দুঃসহ ছ্যাঁকা। কখনো আঁধার মুক্তির আশার আশিস রেখা, কখনো ওজন মুক্ত অতি বেগুনি রঙের কর্কশ, কর্কট সংক্রান্তি রেখা। তবু যদি আকাশ ঢাকে মেঘের শামিয়ানায়, ছায়া তার শতরঞ্জি পেতে দেয় মাঠে, ঘাটে, বাজারে, ফুটপাথে। কিন্তু তাও তো স্থায়ী হয় না! কারণ মেঘের সে ছায়াসুখ, অচিরেই যে ছিন্ন হয়ে পড়ে। তখন মেঘের ছাদ গলে নেমে আসে, সজল বৃষ্টি ধারা। সুখের সুললিত জানালায় হয়তো তা পূর্ণিমার আলোর মতন রূপোলী জলপ্রপাত কিন্তু দুঃখের ছাদহীন শিয়রে তাই বিষমাখা জলবাণ পতনের সকরুন উৎপাত বৈ কিছু নয়।
তখন মাথা গোঁজার কেবল একটাই ঠাঁই থাকে অক্ষত - পাতায় পাতায় হাত ধরাধরি করা নিটোল, নিকষ ঘন সবুজ ছাদ যার নীচে নিশ্চিন্তে হেঁটে যায়, বসে রোদ পোহায়, শুয়ে থাকে শহরের যত বাঁধানো ফুটপাথ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন