সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

‘মিথ্যেবাদী’ ইয়াকুব ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়!

কল্পনা আসলে এক রকমের আগুন। যে আগুন সব মানুষের মধ্যেই থাকে, তবে ছাই চাপা হয়ে। কল্পনার আগুন ছাড়া এমনকি বিজ্ঞানেও নতুন কোনো আবিষ্কার সম্ভব নয়। সাধারণত শিশু বয়সে যদি সেই আগুন উসকে ওঠার সুযোগ পায় তাহলেই ভবিষ্যৎ জীবনে কল্পনা প্রবণ মানুষ হিসেবে বড় হয়ে ওঠার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। বিশেষ করে সাহিত্য কলা বা শিল্প সংস্কৃতির জগতে, যেখানে নিত্য কল্পনার চাষ, সেখানে সফল হতে গেলে অবশ্যই একজনকে কল্পনা শক্তির অধিকারী হতে হয়। যদিও কল্পনা প্রবণদের অন্যদের তুলনায় অনেক বেশী দুঃখ সহ্য করতে হয় কারন কল্পনাতে আকাশ আর জমিন সহজে মিশে যেতে পারলেও বাস্তবে তা গাঁজাখুরি ছাড়া কিছু নয়।
বয়স বাড়লে কিন্তু হাজার প্রণোদনাতেও কল্পনার আগুন আর জ্বালানো সম্ভব হয় না।  কারন বাস্তবের রূঢ় অভিজ্ঞতা সেই আগুনকে স্ফুরিত হতে দেয় না, আমৃত্যু দমিয়ে রাখে তাকে।  
এবারে প্রশ্ন শিশুবেলার সেই অবোধ বিস্ময় ঠিক কোন রসায়নে কল্পনার রসদে পরিনত হয়,  যা দিয়ে শিল্প সাহিত্যের আঙিনায় ফুটে ওঠে কালজয়ী সব ফুল? সম্ভবত রূপকথার গল্প – সে বইয়ের মুদ্রিত অক্ষরে হোক কিংবা ঠাকুরদা ঠাকুমার মুখ থেকে শোনা পুরানের কাহিনী থেকে। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন অডিও-ভিসুয়াল মাধ্যমে দেখা রূপকথার গল্প কিন্তু কোনোভাবেই কল্পনাকে প্রাণিত করতে পারে না। কারন যা কিছু এখানে ঘটে সবটাই চোখের সামনে তাই এ ক্ষেত্রে কল্পনার বিশেষ প্রয়োজন পড়ে না


রবীন্দ্রোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটবেলা কেটেছে দারিদ্র্য এবং অভাবের মধ্যে। মধ্যবয়সে পৌঁছে সুনীল তাঁর লেখা আত্মজীবনী ‘অর্ধেক জীবন’ এ সে কথা লিখেছেন।অন্যদিকে ঠাকুরদা ঠাকুমা কিংবা দাদু দিদাদের কাছ থেকে রূপকথার গল্প শুনেছেন বলেও তাঁর আত্মজীবনীর কোথাও তিনি উল্লেখ করেননি রইল বাকি গল্পের বই। তাও পড়ার বিশেষ সুযোগ পান নি।  কিশোর বেলায়  গ্রাম থেকে কোলকাতা শহরে আসার পর স্কুলের সহপাঠী আশুতোষ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে সর্বপ্রথম ছোটদের গল্পের বই পড়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। “আশুদের বাড়ির লাইব্রেরীতে অনেক ছোটদের বই পেয়ে আমি দারুন ক্ষুধার্তের মত কামড়ে কামড়ে খেতে শুরু করেছি। সেই প্রথম আবিষ্কার করি হেমেন্দ্র কুমার রায়কে, শিবরাম চক্রবর্তী কে”।আত্মজীবনীতে সুনীল তাঁর মায়ের বই পড়ার নেশার কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর মা এর ওর বাড়ি থেকে চেয়ে চিন্তে গল্পের বই এনে পড়তেন। কিন্তু তাঁর বাবা এই ব্যাপারে ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন।  “আমার বাড়িতে গল্পের বই প্রায় ছিলই না। বাবার এদিকে ঝোঁক নেই।  সময় ও পেতেন না," ‘অর্ধেক জীবন’ এ সুনীল লিখেছেন সে কথা।
সুনীলের ছোটবেলা কি তাহলে কোনোরকম কল্পনার জাল বোনা ছাড়াই অতিবাহিত হয়ে গেছে? এইখানে একটা টুইস্ট আছে। ছোটবেলায় গল্প বই না পেলেও সুনীল পেয়েছিলেন এক গল্প বলিয়ে সহপাঠীকে। সুনীলের তখন প্রায় আট নয় বছর বয়স। তার থেকে দু বছরের বড় সেই সহপাঠীটির নাম ছিল ইয়াকুব।  যে কথায় কথায় গল্প বানাতে পারতো। সুনীলের ভাষায়,  “ওই বয়সে এমন দুর্ধর্ষ মিথ্যেবাদী সারা পৃথিবীতেই দুর্লভ।" ইয়াকুবের সেই বেবাক মিথ্যা মিশ্রিত গল্প গুলো তাই গাল গল্প হিসেবে ধরা যেতে পারে। কিন্তু তা যে সুনীলের কল্পনা শক্তি উন্মেষে বিশেষ সহায় হয়েছিল সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।  সুনীল সেই গালগল্পের কয়েকটি উদাহরণ হিসেবে লিখেছেন ‘অর্ধেক জীবন’ এ। “পুঁটি মাছের ঝাল খেয়ে এসে সে বোয়াল মাছের ঢেঁকুর তোলে। তার স্কুলে আসতে দেরি হয়, কারন এক বুনো ভাল্লুক তাকে তাড়া করে। তাদের পুকুরে নাকি কুমিরের উপদ্রব হয়েছে।" ইত্যাদি। বিদ্যালয়ের অন্য সহপাঠীরা এবং শিক্ষক মশাই সকলেই ইয়াকুবকে মিথ্যে বলার জন্য গালমন্দ এমনকি মারধর পর্যন্ত করতেন। একমাত্র সুনীল ই তার ব্যতিক্রম। “আমি কিন্তু ইয়াকুবের প্রতি ক্রমশ আকৃষ্ট হয়ে পড়ছিলাম”।
আসলে ইয়াকুবের অন্তহীন নানা গালগল্পের মোহে, সুনীল যেন ক্রমশই আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিলেন। কখনো সে বলছে তার চাচা অনেক দূরের হাট - হাসিমারা থেকে হরিন শাবক নিয়ে এসেছেন বাড়িতে অথচ বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল গ্রামের হাট থেকে একটা ছাগল কিনে এনেছেন তার চাচা। কখনো বা বলছে আকাশ থেকে মাটিতে বিদ্যুৎ এসে পড়লে তা একটা সাদা আলোক রেখায় পরিনত হয়ে যায়, যে আলোক রেখা আবার তার বাড়িরই পেছনে থাকা একটা ছাই গাদার মধ্যে ঢুকে পড়ে আর তারপরেই সেখান থেকে স্পষ্ট একটা বাচ্চা মেয়ের খিলখিল করা হাঁসির শব্দ শোনা যায়।
ইয়াকুব কি শুধু মজা পাওয়ার জন্যই দিনরাত এমন নিখাদ মিথ্যে কথা গুলো বলে যেত নাকি কল্পনার লাগমহীন ঘোড়ায় চেপে শিশুমনের অপার বিস্ময় সুখের আনন্দকে নিজের মতো করে উপভোগ করার জন্যই চালিয়ে যেত এমন উদ্ভট কল্পনার বেসাতি!  


সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার শিশুবেলার সেই সহপাঠীটির এমন অবান্তর  আচরনের ব্যাখ্যা পরিনত বয়সে এসেও খুঁজে পাননি। তাঁর কাছে পুরোটাই রহস্যজনক মনে হয়েছে। “কোনও এক রহস্যময় কারনে ওই এগারো বছরের ছেলেটি বাস্তবকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সর্বক্ষণ কল্পনার জগতেই থাকতে চায়”।
কিন্তু এ হেন ইয়াকুব যে তাঁর শিশুমনের কল্পনার খোরাক জোগাতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছিল তা অবলীলায় স্বীকার করে নিয়েছেন সুনীল। ইয়াকুবের গল্প গুলোর মধ্যে মায়ের কোল থেকে তার ডাকাতদলের দ্বারা চুরি হয়ে যাওয়ার গল্পটি বেশ জমকালো।  সিলেটের নবাব বাড়ি থেকে ডাকাতেরা তাকে চুরি করে নিয়ে এসে একটা গুহায় লুকিয়ে রাখে যেখানে তাকে পাহারা দিত একটি চিতা বাঘ। পুলিস এসে চিতাবাঘটিকে মেরে তাকে উদ্ধার করে এবং ঘোষণা করে কোনো পরিবার যদি তাকে নিয়ে লালন পালন করবে বলে তবে  সেই পরিবারকে এক হাজার টাকা ইনাম দেওয়া হবে। এই কাহিনীটি যে বইতে পড়া কোনো রূপকথার গল্পের থেকে কম চিত্তাকর্ষক নয় সে কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন সুনীল তার আত্মজীবনীতে।
“সত্যি হোক বা না হোক কাহিনীটা আমার মনের মধ্যে গুঞ্জরিত হতে থাকে। স্পষ্ট যেন দেখতে পাই মশাল নিয়ে হইহই করে ছুটে আসছে দস্যুদল, একটা শিশুকে কোলে নিয়ে ছুটছে, একটা গুহার সামনে গরগর করতে করতে ঘুরছে একটা চিতাবাঘ।"   
শিশুবেলায় রূপকথার গল্প পড়ার হয়তো সৌভাগ্য হয় নি সুনীলের। কিন্তু সেই অপূর্ণতা মিটিয়ে দিয়েছিল ইয়াকুবের বলা মিথ্যে কাহিনীগুলোই। প্রজ্বলিত করেছিলো তাঁর শিশুমনের কল্পনার আগুনকে, যার কুসুম প্রভায় আগামী দিনে ভাস্বর হয়ে উঠেছিল বাংলা সাহিত্যের সুবিশাল আঙিনা।   
সুনীল কিন্তু তাঁর কৃতজ্ঞতার ঋণ শোধ করতে ইয়াকুবকেই তাঁর কল্পনা উসকে দেওয়ার দীক্ষাগুরু হিসেবে অভিহিত করেছেন।  কি বলেছেন, সুনীল?
“মানুষ বয়সের সঙ্গে পা ফেলতে ফেলতে অনেক কিছু শেখে। সব মানুষের জীবনেই বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যাপারে এক একজন দীক্ষাগুরু থাকে। আমার কল্পনা উসকে দেওয়ার প্রথম দীক্ষাগুরু ওই ইয়াকুব”।
সুনীল ‘অর্ধেক জীবন’ এ লিখেছেন সারাজীবনে ইয়াকুবকে  আর কখনো দেখেননি তিনি। তবে সারাজীবনে যে কখনো তাকে ভুলতেও পারেননি সে কথা ও জলের মতো পরিষ্কার। 
 



 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্কে আরও লেখা পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...