সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মাতৃভাষায় জেনারেশন গ্যাপ!

মাতৃভাষা মায়ের ভাষা, আমার ভাষা তবে কি? প্রশ্নটা কি একটু অর্বাচীনের মত করা হয়ে গেল? বোধহয় নয়। আমার ভাষায় তো মা কথা বলেন না, আমিও মায়ের ভাষায় কথা বলি থোড়িই। তাহলে কি দাঁড়ালো, মাতৃভাষায় - জেনারশন গ্যাপ ! সে গদগদ স্বরে যতই বলি না কেন মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান কিন্তু সে  তো জন্মের পরে ছয়মাস অবধি। তারপরে? সব গুবলেট হয়ে যাচ্ছে তো? সারা পৃথিবী জুড়ে মাতৃভাষা দিবস পালনের এত ঘটা, অমর একুশে বলে চেঁচিয়ে আকাশ বাতাস ফেড়ে ফেলা, মাতৃভাষা রক্ষার লড়াইয়ে মৃত্যু বরণ করা বীর শহিদদের কথা মনে করে গৌরবে বুক ফুলে ওঠা এ সবের কি তবে কোনো তাৎপর্য নেই? আছে, অবশ্যই আছে। পৃথিবীর সমস্ত সংরক্ষণ যোগ্য বস্তুর নামেই ইউনেস্কো এক একটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনের ফতোয়া দিয়ে রেখেছেন। সে মাতৃ দিবস হোক কি মাতৃভাষা দিবস। মায়েদের ঠিকানা যেমন বৃদ্ধাশ্রমে, মাতৃভাষার অস্তিত্ব ও তেমনি আজ সাহিত্যের চতুরাশ্রমে নির্বাসিত হয়েছে। তবে হ্যাঁ, গ্রামীন চাষাভুষা মানুষের মুখে এখনও বাংলাই একমাত্র ভাব বিনিময়ের মাধ্যম। সেও উপায়ান্তর নেই বলে। আজকাল গ্রামের লোকেরাও তাদের ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করানোর পক্ষে। যেখানে বাংলা আবার মুখ্য ভাষা নয়, দ্বিতীয় ভাষা। তাহলে দিনের শেষে কি দাঁড়াচ্ছে, শহর –মফস্বল থেকে আগেই উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া বাংলা ভাষা যদিও বা গ্রামীন মানুষের মুখে কোনোরকম বেঁচে বর্তে ছিল সেখানেও যদি অদূর ভবিষ্যতে গৃহহারা হয়ে পড়ার ভয় ঢুকে পড়ে তাহলে রইল কি - হাতে পেন্সিল আর বইয়ের তাকে  মূল বাল্মিকী রামায়ণের মতো রবীন্দ্রনাথের নোবেল জয়ী কাব্যগ্রন্থ 'গীতাঞ্জলী'র অরিজিনাল বাংলা ভার্সন ছাড়া? এখন প্রশ্ন, একটা ভাষা কি শুধুমাত্র সাহিত্যের গণ্ডীতেই আবদ্ধ থেকে বেঁচে থাকতে পারে? এ কথা ঠিক মানুষের মনের অব্যক্ত ভাবনাগুলি কেবল সাহিত্যের ভাষাতেই প্রকাশিত হতে পারে। কিন্তু কখনো কখনো সাহিত্যও মানুষের মুখের ভাষা থেকে সমৃদ্ধ হয়। ভাষা রক্ষায় এরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হলেও এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট শিক্ষক ও চিন্তাবিদ অমলেশ মিশ্রের দেওয়া একটি উপমা ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। তিনি একটি বক্তৃতায় বলেছিলেন, কুকুরের মাথা চাইলে লেজ নাড়াতেই পারে কিন্তু লেজ চাইলেও মাথা নাড়াতে পারে না। এ ক্ষেত্রে মাথা যদি মানুষের মুখে মুখে ফেরা নিত্যদিনের মৌখিক ভাষা হয়,  সাহিত্যের ভাষা সেখানে নেহাতই এক মননঋদ্ধ যাপনের সঙ্গী হয়ে থেকে যায়; প্রান ভরানোর কৃতজ্ঞতায় গদগদ হয়ে লেজ নাড়ানো ছাড়া তার আর কোনো ভূমিকাই থাকে না। প্রশ্নটা আসলে, ভাষাকে সমৃদ্ধ করার নয়; প্রশ্নটা ভাষাকে বাঁচানোর। দেখা গেছে সেনাবাহিনীর সাধারন সৈন্যরা সংখ্যায় বেশী হলেও, ওপর তলার গুটিকয় আধিকারিকের কথাই মেনে চলে তারা। একটা ভাষা গোষ্ঠীরও নীচের তলায়  থাকা মানুষজন সবসময় পিরামিডের ওপরে থাকা কতিপয় শিক্ষিত মানুষের কথাই অনুসরন করে শুধু নয় তাদের মতো করে বলার চেষ্টা করে। এইজন্যে দেখা গেছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সামনে ফুচকা বিক্রি করে লোকটা কখনো কখনো মানে না বুঝেই বলে, “ওকে ইট ডাস নট ম্যাটার”। রোমান হরফে বাংলা লেখার কথা না হয় ছেড়েই দিলাম শুধুমাত্র বলার ক্ষেত্রে যেভাবে মুখের ভাষা ক্রমশ বাংলিশ থেকে হ্যাংলা (হিন্দি মিশ্রিত বাংলা) হয়ে উঠছে তাতে বাংলাই বা যায় কোথায়।  

তার মানে ভাষা যে কেবল বদ্ধ জলাশয়ের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শুকিয়ে পড়বে তাও তো নয়; আমাদের মতো বহু ভাষাভাষী দেশে যেখানে সকাল সন্ধ্যা দুবেলা চলা হিন্দি সিরিয়াল ছাড়াও হিন্দি সিনেমা ও হিন্দি গানের দৌলতে আমাদের মুখের ভাষায় প্রতি মুহূর্তে ঢুকে পড়ছে দলে দলে শিষ্ট অশিষ্ট হাজারো হিন্দি শব্দের কাতার, তাতে বাংলা কতটা সমৃদ্ধ হচ্ছে না দিনে দিনে হাঁফিয়ে উঠতে উঠতে শেষ হয়ে যাচ্ছে সেটা অবশ্যই দেখার বিষয়। ভাষা যখন অন্য ভাষা থেকে কোনো নতুন শব্দ আহরণ করে তখন তা অবশ্যই তার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, কিন্তু যখন তার কথন ভঙ্গীতে পরিবর্তন আসে তখন সে ভাষার আয়ু নিয়ে চিন্তা হয় বৈকি। এবং সে ক্ষেত্রে তাকে আর কতদিন বাংলা বলা যাবে নাকি বাংলার অপভ্রংশ হিসেবে অন্য কোনো ভাষার উদ্ভব হচ্ছে বলে ধরে নিতে হবে সেই নিয়ে ভাববার সময় এসে গেছে এখন।
কারণ বাংলা ভাষারও উদ্ভব হয়েছিল মাগধী প্রাকৃত ভাষার অপভ্রংশ থেকে। তবে এই বিষয়ে ভাষাবিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলা ভাষার অন্য আর এক প্রথিতযশা ভাষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ শহিদুল্লাহের মতের অমিল খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ শহিদুল্লাহের মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি প্রাকৃত ভাষার থেকে হলেও তা হয়েছিল গৌড়ীয় প্রাকৃত অপভ্রংশ থেকে। সে প্রায় ৪৫০ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যেকার সময় যখন বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়; যদিও এই সময়কাল নিয়ে দুজনের কোনো মতবিরোধ নেই। কিন্তু সেই প্রাকৃত ভাষাও তো কারোর মাতৃভাষা ছিল।  
খ্রিষ্ট জন্মের প্রায় ৬০০ বছর আগে থেকে এই প্রাকৃত ভাষাই ছিল মানুষের মুখের ভাষা; প্রাকৃত ভাষা গুলির মধ্যে আবার পালি ভাষা ছিল অন্যতম। ভারতীয় উপমহাদেশের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের একমাত্র কথ্য ও লিখিত ভাষা ছিল এই পালি। যে ভাষায় লেখা হয়েছিল বৌদ্ধ জাতকের গল্প। প্রাকৃতরও পূর্বে ছিল সংস্কৃত, যে ভাষায় লেখা হয়েছিল রামায়ণ মহাভারতের মতো মহাকাব্য, এমনকি মহাকবি কালিদাস ও তাঁর অমর কাব্যগ্রন্থ গুলো লিখেছিলেন এই সংস্কৃত ভাষাতেই।   কিন্তু তথাকথিত দেবভাষায় কথা বলার লোক এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ একসময় সংস্কৃত ভাষায় কথা বলা মানুষগুলোর উত্তরসূরিরাই আজ  কেউ বাংলাভাষী, কেউ ওড়িয়া, কেউ বা হিন্দি আবার কেউ বা গুজরাটি ভাষাভাষী।  প্রসঙ্গত  সংস্কৃত ভাষারও পূর্বে যদি দেখা যায় তাহলে এর উৎপত্তি ইন্দো ইরানিয়ান ভাষা গোষ্ঠী থেকে হয়েছিল। সমগ্র আর্যাবর্ত জুড়ে একসময় সংস্কৃতের আধিপত্য থাকায় সংস্কৃত কে বলা হয় ইন্দো অ্যারিয়ান ভাষা। আগেই বলেছি সংস্কৃতের জন্ম হয়েছিল ইন্দো ইরানিয়ান ভাষা গোষ্ঠী থেকে। কিন্তু মায়ের ও তো মা থাকে। সন্ধান করতে গিয়ে গিয়ে দেখি, এই ইন্দো ইরানিয়ান ভাষা আসলে ইন্দো ইউরোপিয়ান ভাষা গোষ্ঠী থেকে উৎপত্তি হওয়া একটি স্বতন্ত্র ভাষা গোষ্ঠী। তাই বাংলার বংশলতিকায় সংস্কৃতকে 
বাংলার মাতামহী ভাষা বলা যেতে পারে। খ্রিষ্ট পূর্বের ২০০০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে এক বিশাল জন গোষ্ঠীর মানুষের একমাত্র মুখের ভাষা ছিল এই সংস্কৃত, যে ভাষা আজ কেবল সাহিত্যে আর শাস্ত্রের পাতাতেই টিকে রয়েছে। তাই ভাষার ইতিহাস, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীর গতিপথের মতই এক ভাষাকুল ভেঙ্গে আর এক ভাষাকুল গড়ে নেয়। যদিও মাতৃভাষা, একটা না একটা থেকেই যায়। শুধু জেনারেশন গ্যাপের সুযোগ নিয়ে হয়তো উদ্ভব হয় নতুন কোনো মাতৃভাষার। তাই চিন্তা কি। বাংলা না হয়ে, অন্য কিছু তো থাকবেই। 

কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন আমি একটু বেশীই ভেবে ফেলেছি, তবে  কিনা আমিও চাই আমার মাতৃভাষা বাংলাই থাক এবং মুখে ভাতেই থাক, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। 


তথ্য সুত্রঃ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রনীত ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’         

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...