গোলাকার হলেই কি তা পৃথিবীর সঙ্গে তুলনা করা যায়! ঠিক আছে, বোঝার জন্যে মানলাম বোঁটার দিকটা অর্থাৎ বৃন্ত চ্যুতির স্থানটি যদি খরমুজের উত্তর মেরু বা সুমেরু হয় তবে এর ঠিক উল্টো দিকে আছে দক্ষিণ মেরু বা কুমেরু। বেশ, তর্কের খাতিরে না হয় এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু সুমেরু কুমেরু যদি থাকে, দ্রাঘিমা রেখা গুলি তবে কোথায়?
আসলে, সেটা দেখানোর জন্যই তো খরমুজের ছবি নিয়ে আসা। একেবারে সাদা চোখে, পরিষ্কার করে দেখিয়ে দেবো দ্রাঘিমা রেখা গুলোকে। কিন্তু সেটা কিরকম!যতদূর জানি পৃথিবীতে দ্রাঘিমা রেখার অস্তিত্ব তো বিমূর্ত। বিশাল এই ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন স্থানের অবস্থানগত তারতম্য বোঝানো যখন বেশ দুষ্কর হয়ে পড়েছিল তখনই দিকচিহ স্বরুপ পৃথিবীর উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুকে জুড়ে মনে মনে এই বিমূর্ত রেখা গুলোকে কল্পনা করতে হয়েছিল, যাকে দ্রাঘিমা রেখা বলা হয়ে থাকে।
খরমুজের ক্ষেত্রে অবশ্য খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে উপর থেকে নীচ বরাবর টানা সবুজ রেখা গুলোকে। খরমুজের সাদাটে খসখসে গায়ে অনেকগুলো হলদেটে ছোপ দেখতে পাচ্ছেন কিন্তু সেগুলোর প্রকৃত অবস্থান বোঝাতে গেলে যেমন আপনাকে বিভিন্ন সবুজ রেখার অবস্থানের বিচারে কত ডিগ্রি পূর্বে অথবা পশ্চিমে বলতে হয় পৃথিবীর ক্ষেত্রেও কোলকাতা আর লন্ডনের অবস্থান ঠিক করতে গেলে দ্রাঘিমাংশ ধরে নির্ণয় করতে হয়। এখানেই শেষ নয়, খরমুজের এই সবুজ রেখা গুলি নাকি যত গাঢ় রঙের হবে তত নাকি মিষ্টি আর সুস্বাদু হবে খরমুজ। বুঝুন তাহলে, এই গরম পড়তে শুরু করেছে। খরমুজ খেয়ে খানিক উষ্ণতা প্রশমনের ইচ্ছে হলে আগে ভালো করে দেখে নিতে হবে খরমুজের সবুজ দ্রাঘিমা রেখার রং কতটা প্রগাঢ় নাকি ফিকে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন