মহালয়ার সন্ধ্যায়, মেঘ যেন ধরিত্রীর উদ্দেশ্যে তার বৃষ্টি তর্পণ শুরু করেছে। কথায় বলে, একা অমাবস্যায় হয় না, কৃষ্ণ মেঘ দোসর। একে তো আকাশ আজ চন্দ্রহীন, তারপরেও ওইরকম টিমটিম করে জ্বলা, কয়েক পুঞ্জ নক্ষত্রকেও যদি, মেঘ তার কালো কম্বলের তলায় ঘুম পাড়িয়ে রাখে তো আর রইলোটা কি, হাতে হ্যারিকেন ছাড়া! মা আসছেন, বেতার ভবন থেকে, দেবীপক্ষের সূচনা ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন, বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু কিছু মজা আসছে না। বৃষ্টির ছাঁট, ট্রেনের জানালা দিয়ে, পুজোর চাঁদা তুলতে আসা পাড়ার মাতব্বরদের মতো ছিটপিট করে ঢুকে পড়ছে , আর চোখ মুখ ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। দিনের আলো থাকতে, রূপনারায়ণের দুই পাড়ে - খানিক কাশের দোল খাওয়া দেখা যেত। বর্ষা উত্তর, রূপনারায়ণের ভরা যৌবন; আর তাতে জোয়ারের সময় কেমন কাশ ফুল গুলো ডুবে ডুবে জল খায়, তাও দেখা যেত মন্দ নয়। কিন্তু এখন জানালার বাইরে শুধুই অন্ধকার। নিকষ কালো। সমুদ্রের মতন। দূরে মাছের ভেড়িতে জ্বলে থাকা আলো গুলো যেন ছোট ছোট খেয়া নৌকার মতো টলমল করছে। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের চকমকি, আঁধারের কেশগুচ্ছ কে যেন ছিঁড়ে, ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলছে। সাথে গুরু গুরু কন্ঠে, মেঘের উচ্চা...