সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Tiger 3 কি পারবে Jawan এর সাফল্যকে ছাপিয়ে যেতে?

সলমন খান তার নিজের ফেস বুক পেজে ঘোষণা করে দিয়েছেন আগামী দিপাবলীতেই (১০ই নভেম্বর) তার পরবর্তী ছবি Tiger 3 মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা হল গুলিতে। 

যশ রাজ ফিল্মসের এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই বছর এপ্রিলের ২১ তারিখে অর্থাৎ ঈদের মরশুমে। হিন্দি ছাড়াও, একই সঙ্গে ছবিটির তামিল এবং তেলেগু ভার্সন মুক্তি পাবে দক্ষিণ ভারতের হল গুলিতে। আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত এই ছবিটির শুটিং পর্ব ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ভারতীয় মুদ্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ছবিতে হিরো এবং হিরোইন হিসেবে যথারীতি দেখা যাবে Tiger পর্বের আগের দুটি ছবি ‘এক থা টাইগার’(২০১২) এবং ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ (২০১৭) এর নায়ক-নায়িকা সলমন খান এবং ক্যাটরিনা কাইফকেই। মনিশ শর্মা পরিচালিত টাইগার সিকুয়েলের এই তৃতীয় ছবিতে অবশ্য ইমরান হাসমিকে দেখা যাবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। এছাড়াও বলিউড কিং শাহরুখ খানকে দেখা যাবে একটা বিশেষ ভূমিকায়।

 যশ রাজ ফিল্মস থেকে বলা হয়েছে ‘Tiger 3’ একটি স্পাই থ্রিলার। ভারতবর্ষে, স্পাই থ্রিলার নির্মাণে নিজেদেরকে পথিকৃৎ বলে YRF এর পক্ষ থেকে তাদের সর্ব শেষ স্পাই থ্রিলার, শাহরুখ খান অভিনীত সুপারহিট ছবি ‘পাঠান’ এর উদাহরন দিয়ে দাবী করা হয়েছে Tiger 3 এর বক্স অফিস সাফল্য পূর্বের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলে। ট্রেড বিশেষজ্ঞদের মতে, যদিও ছবিটির ট্রেলার এখনও অনুরাগীদের কাছে উপলব্ধ নয়, তা সত্ত্বেও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই ছবি যখন শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাবে হল গুলিতে তখন একেবারে ভূমিকম্প অনুভূত হবে বক্স অফিসে।
যখন আমরা Tiger 3  নিয়ে এই সব কথা বলছি, তখন সারা দেশে এবং দেশের বাইরে চলছে শাহরুখ খানের Jawan নিয়ে দর্শকদের তুমুল  আগ্রহের ঝড়। বলিউড ফিল্মের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বক্সঅফিস সাফল্যের রুপকথা রচনা করে ফেলার কৃতিত্ব যখন শাহরুখের হোম প্রোডাকশন হাউস, রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট এর দখলে,  বাণিজ্যের দিক থেকে যখন সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘গদর ২’ এর সাফল্যকেও ছাড়িয়ে গেছে ‘জওয়ান’ এর সাফল্য, যখন শাহরুখেরই অপর সুপারহিট ছবি ‘পাঠান’ এর ব্যবসায়িক সাফল্যকে পেছনে ফেলে ‘জওয়ান’ আজ তার মুক্তি পাওয়ার ৯ দিনের পরে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা ঘরে তুলেছে যা ‘পাঠানের’ ৯ দিনের ব্যবসার পরিমানের থেকে প্রায় ৩৭ কোটি বেশি, তখন সত্যি সত্যিই Tiger 3,  Jawan এর সাফল্যকে ছাপিয়ে যেতে পারবে কিনা এই প্রশ্ন মিলিয়ন ডলারের। শুধু মুক্তির দিনেই ‘জওয়ান’ ব্যবসা করেছে ৭৫ কোটি টাকার, যা হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে সর্ব প্রথম। কিং খান, ‘জওয়ান’ এর সাফল্যকে ‘emotion’ বলে বর্ণনা করেছেন ।  দক্ষিণের এটলি (অরুন কুমার) পরিচালিত ‘জওয়ান’ যেন মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন জোগানের কাজটা করল, মত বলিউডের 'খিলাড়ী' হিরো অক্ষয় কুমারের। অভিনন্দন জানিয়েছেন সলমন খানও। কিন্তু সলমনের Tiger 3  কি পারবে Jawan কে বিট করতে? আশাবাদী সকলে। বিশেষ করে সলমন ভক্তরা তো এখন থেকেই যুদ্ধজয়ের ডঙ্কা বাজিয়ে দিয়েছে বাজারে।আর এর মধ্যে কোলকাতার প্রিয়া সিনেমা হলের মালিক অরিজিত দত্ত ফিল্ম পরিবেশক SVF এর দেওয়া শর্ত না মেনে ‘জওয়ান’ এর মত ছবিকে তার হলে রিলিজ করতে রাজি হননি। SVF দিপাবলীতে কোনো বাংলা ছবি রিলিজ করতে চাইছিল। আর অরিজিত দত্তের আপত্তি সেখানেই। দিপাবলীতে তিনি চান সলমন এর Tiger 3 মুক্তি পাক এবং তার বিশ্বাস এই ছবি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিতে সমর্থ হবে। এখন দেখা যাক সেই বিশ্বাস কতদূর সফল হয়। যেটা কেবল বলতে পারে আগামী সময়।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

'জল পড়ে, পাতা নড়ে' ঃ রবীন্দ্রনাথ না বিদ্যাসাগরের লেখা?

জল পড়ে, পাতা নড়ে - সহজ অথচ অমোঘ এমন দুটি লাইন মনে হয় কোনো উপনিষদীয় ঋষির স্বর্গীয় কাব্য সিদ্ধির অনুপম ফসল ছাড়া কিছু হতে পারে না।  বৃষ্টিপাতের সঙ্গে অনিবার্য ভাবে উচ্চারিত হওয়া এই শ্লোক কেবল সৃষ্টির আপন খেয়ালেই রচিত হতে পারে। সেই কবে থেকে এর অনন্য স্বাদ মস্তিস্কের কোষে কোষে এক অদ্ভুত ভালোলাগার মোহ তৈরি করা শুরু করেছিল তা আজও অটুট এবং সমানভাবে সক্রিয় , মোহ ভঙ্গের নামই নেই। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত এর জাদুময় মোহপাশ থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। যদিও রবীন্দ্রনাথই প্রথম এই দুটি লাইন লেখেন ‘জীবন স্মৃতি’ র পাতায়। মনে হয় স্রষ্টা যেন নিজেই তাঁর সৃষ্টির মহিমায় হতবাক হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এখানে একটা টুইস্ট আছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ এই দুটি লাইন লিখলেও লেখার শ্রেয় কিন্তু তিনি দিয়েছেন বিদ্যাসাগরকে। এখন প্রশ্ন, কেন! উত্তর - ভ্রান্তি সুখে। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। ‘জীবন স্মৃতি’ তে তাই দেখা গেল যতবার তিনি ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ লিখেছেন ততবারই তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রেখেছেন। অন্য কারোর লেখা লিখলে তাকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখাই দস্তুর। কিন্তু তাতে কি! শিশুবেলার মুগ্ধতা যেন কিছুতেই প্রশমিত হতে পারে...

১৯৪৭ এর ১৫ই আগস্ট, কোথায় ছিলেন গান্ধীজী?

১৫০/বি বেলেঘাটা মেন রোড। শিয়ালদহ স্টেশন ও ই-এম বাইপাস এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন কারী মূল রাস্তা - বেলেঘাটা মেন রোড তথা সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের ওপর পড়া এই বিশেষ ঠিকানা টি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে । বিশেষ করে, প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় আসন্ন হলে, এই ঠিকানার কথা স্মরণ না করে থাকা যা য় না। কারণ ১৯৪৭ এ গোটা দেশ যখন স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে স্বাধীনতা লাভের (১৫ ই আগস্ট) দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজিত হয়েছে অভূতপূর্ব রাজকীয় সমারোহের - যার শুভ সূচনা হয়েছে, ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে; ১৫ তারিখ পদার্পণ করতেই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়ে শুভারম্ভ হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালনের মহা নির্ঘণ্ট। এই উচ্ছ্বাস যদিও কাঙ্ক্ষিতই ছিল। কারণ দীর্ঘ ২০০ বছরের পরাধীনতার কৃষ্ণ কাল অতিক্রম করার পরেই দেশবাসীর কাছে এসে পৌঁছেছিল সে বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ। সমাগত হয়েছিল সেই মহা মুহূর্ত যখন প্রায় শত বর্ষ ধরে চলা স্বাধীনতাকামী মহাযজ্ঞে মুক্তিলাভের সিদ্ধি স্পর্শ করছিল তার চূড়ান্ত শিখর দেশ। কিন্তু এই যজ...

রবীন্দ্রনাথের চোখে বিদ্যাসাগর এবং দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ!

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যাকে আদিকবির আখ্যায় ভূষিত করেছেন, যার লেখা বইয়ের (বর্ণ পরিচয়) হাত ধরে তাঁর প্রথম পরিচয় বাংলা বর্ণ যোজনার সঙ্গে, মাত্র চার বছর বয়সে পড়া যার লেখার প্রভাব থেকে কোনোদিন পারেননি মুক্ত হতে, ৫১ বছর (১৯১২) বয়সে লেখা 'জীবন স্মৃতি' তে তাই যার লেখার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’ র মত বাংলা কাব্যের ইতিহাসে চির কালজয়ী দুটি লাইন সেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল মেট্রোপলিটন স্কুলে।   ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগর তখন মেট্রোপলিটন স্কুলের সভাপতি আর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামসর্বস্ব ভট্টাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃত ভাষার গৃহ শিক্ষক। রামসর্বস্ব পণ্ডিত ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ কে ‘ম্যাকবেথে’র বাংলা অনুবাদ  করে শোনাতেন, আর তা শুনে বাংলায় লিখিত তর্জমা করতে হত রবীন্দ্রনাথকে। তর্জমা সম্পূর্ণ হলে তার গুনমান বিচার করতে রামসর্বস্ব ছাত্র রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শরণাপন্ন হলেন বিদ্যাসাগরের কাছে। কেমন ছিল সেই প্রথম সাক্ষাৎ পর্ব! রবীন্দ্রনাথ তার আত্মজীবনী ‘জীবনস্মৃতি’ তে সে কথা লিখেছেন বিস্তারিত। ‘জীবন স্মৃতি’র ‘ঘরের পড়া’ অধ্যায়ে লেখা সে কাহ...